সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


করোনার টিকার আওতায় এলেও সীমান্ত খোলার সম্ভাবনা নেই অস্ট্রেলিয়ার


প্রকাশিত:
১৯ জানুয়ারী ২০২১ ১৯:১৭

আপডেট:
১৯ জানুয়ারী ২০২১ ১৯:১৮

 

প্রভাত ফেরী: “বহু মানুষকে যদি আমরা টিকার আওতায় আনতেও পারি, তবুও আমরা জানি না এটি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেবে কি না।” এ কথা সোমবার ‘অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’কে বললেন অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ব্রেনডেন মারফি।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া গত বছর মার্চে সীমান্ত বন্ধ করেছিল। ব্রেনডেন বলেন, “আমি মনে করি, এ বছরও বেশিরভাগ সময় জুড়েই আমরা সীমান্তে বিস্তৃত পরিসরে এই কড়াকড়ি বহাল রাখব।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নরওয়েতে ফাইজারের টিকা গ্রহণে বয়স্ক কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর এই টিকার বিরূপ প্রভাবের দিকটিও বিবেচনায় রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।

তাই এর পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রমণকারীদের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম আরও কিছু সময় বহাল থাকা দরকার বলেও মনে করেন ব্রেনডেন।

অস্ট্রেলিয়ায় কেবল সেদেশের নাগরিক, স্থায়ী অধিবাসী এবং যাদের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় আছে তাদেরকেই দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে যারা ফিরতে চান তাদেরকে হোটেলে নিজের খরচে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে।

বিবিসি জানায়, এ বছরের জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হতে পারে ভেবে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনস কান্তাস এ মাসের শুরুর দিকে বুকিং নিতে শুরু করেছিল। পরে তারা বলেছে, পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে অস্ট্রেলিয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর।

গত বছর শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়া কেবল প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত খুলেছিল। কিন্তু বর্তমানে কেবল সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার ফ্লাইট চালু রয়েছে।

তাছাড়া, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি খুব কম এমন কয়েকটি দেশ, যেমন তাইওয়ান, জাপান ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভ্রমণ চালু রাখা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আলোচনা করছে।

অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী মাস থেকে অস্ট্রেলিয়ায় টিকাদান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস অনুষ্ঠিত হতে চলা ভিক্টোরিয়া রাজ্যে চার বিদেশির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা সবাই টেনিসের সঙ্গে জড়িত।

তাদের নিয়ে মোট ৯ বিদেশির ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর কর্তৃপক্ষ ৭০ জনের বেশি খেলোয়াড়কে হোটেল রুমে আইসোলেশনে রেখেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউনসহ নানা কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্য অনেক দেশের চেয়েই মহামারী পরিস্থিতি ভালভাবে সামাল দিয়েছে। সোমবার দেশটির স্থানীয় পর্যায়ে কারও ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার এই সাফল্যর বেশিরভাগটাই সম্ভব হয়েছে দ্রুত সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া এবং দেশটিতে কারও প্রবেশের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিনের নিয়ম চালু রাখার কারণে।

হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়ম ভঙ্গের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মেলবোর্নে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঘটেছে এ কারণেই।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top