সিডনী মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৩রা বৈশাখ ১৪৩১


সিডনিতে বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান তরুণীর মরদেহ উদ্ধারঃ কমিউনিটিতে শোঁকের ছায়া


প্রকাশিত:
২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৯

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৭

 

সিডনির নর্থ প্যারাম্যাটার পেনান্ট হিলস রোডের একটি ইউনিটে এসিড দিয়ে পুড়ানো অবস্থায় বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান তরুণী আনিমা হায়াৎ এনির (১৯) মরদেহ পাওয়া গেছে। আনিমা হায়াৎ এনির মৃত্যুর দায়ে স্থানীয় সময় আজ ৩১ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুরে ব্যাঙ্কটাউন থানায় হাজির করার পর ২১ বছরের মেরাজ জাফর নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আনিমা হায়াৎ এনির লাশ উদ্বার পুলিশের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তারা এসে ইউনিটের ভিতরে রাসায়নিক পদার্থ দেখে প্রথমে পিছু হটে। পুলিশ ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ এনএসডব্লিউ থেকে বিশেষজ্ঞ হাজমত অফিসারদের ডেকেছিল, যারা অ্যাপার্টমেন্টে বেশ কয়েক ঘন্টা কাটিয়েছিল এবং এরপর মৃতদেহ উদ্বার করে। ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশনের জন্য পুলিশ এ ইউনিটের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে এবং একটি বিড়ালও উদ্ধার করে যথাযথ বিভাগে হস্তান্তর করে।

সিডনি জুড়ে মিৎসুবিশি Fuso ট্রিপার ট্রাকে এক দাড়িওয়ালা তরুনের ছবি দিয়ে মিডিয়াতে সাহায্য চাওয়ার পর মেরাজ জাফর নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এছাড়াও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য গ্রীণ একর থেকে আসামীর একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর MAKKAC যা রেজিস্টার করা আছে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নাম এবং জাফর সেই ব্যবসার মালিক। ট্রাকের সামনে থেকে সিলভার রঙের ডাক্ট টেপ, একটি ইয়াকুলট প্রোবায়োটিক মিল্ক এবং ফেস মাস্ক ছিল।

ল্যাকেম্বার ব্যবসায়ী ও অধিবাসী অবু হায়াৎ ও আফ্রাহ রুমার বড় মেয়ে তানিমা হায়াৎ সিডনির ওয়েস্টার্ণ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষে শিক্ষারত ছিলেন। এনি ওয়েস্টার্ণ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল।তাঁর মৃত্যুর পর বাংলাদেশি কমিউনিটিতে নেমে এসেছে শোঁকের ছায়া।
মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী , তানিমা এবং জাফর ওই ফ্ল্যাটে একসাথে বসবাস করতো। আমিনার বাবা ও মা সিডনির লাকেম্বাতে বসবাস করে। ডি ডেইলি টেলিগ্রাফের তথ্য মতে , জাফরের নামে কিছুদিন আগে তনিমা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর রিপোর্ট করেছিল।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top