সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


অমর সুরস্রষ্টা সমর দাস : অশ্রু বড়ুয়া


প্রকাশিত:
২১ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:১৫

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫৩

ছবিঃ সমর দাস

 

গত ১০ ডিসেম্বর ছিল বাংলা গানের কিংবদন্তী সুরস্রষ্টা সমর দাস'র ৯১তম জন্মবার্ষিকী

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের রক্তের দাগ মুছে গেছে সেই কবে। কিন্তু স্বাধীনতার গান আমাদের স্মৃতিতে আজও সমুজ্জ্বল ও জাজ্বল্যমান। যে গান এখনো নাড়া দেয় রক্তে। যে গান মিশে আছে আমাদের চেতনায়। মিশে আছে অস্তিত্বে। সহজে কী ভোলা যায় জন্মযুদ্ধের সেই গান! হ্যাঁ, জন্মযুদ্ধের গান তো বটেই।
যে যুদ্ধ আমরা অনেকেই দেখিনি তবু ১৯৭১ মানেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বছর। একটি স্বাধীন দেশের জন্মের বছর।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার অন্যতম উৎস ছিল সঙ্গীত। মুক্তিকামী মানুষের বিদ্রোহী সত্ত্বাকে জাগ্রত করতে যুদ্ধদিনে সুর-তরঙ্গের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। স্বাধীন বাংলা বেতারের সঙ্গীত সংশ্লিষ্টরা রীতিমতো যুদ্ধ করেছেন অগ্নিগর্ভ সময়ে। স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রচারিত দেশের গান যেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল সঞ্চার করেছে তেমনি বাংলাদেশের অবরুদ্ধ মানুষের মনে জাগিয়েছে আশার আলো আর শরণার্থীদের যুগিয়েছে প্রেরণা।

সে-ই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের তিনি ছিলেন-অন্যতম প্রধান প্রাণপুরুষ। যাঁর গানে জ্বলত আগুন। যাঁর গান দিত মুক্তির খোঁজ। যাঁর সুর করা অসংখ্য গান একাত্তরে মুক্তিবাহিনী ও সাধারণ মানুষকে শিখিয়েছে নতুন ভাবে বাঁচতে। শিখিয়েছে শত্রুর মোকাবেলা করতে। যিনি মিশে আছেন আমাদের চেতনায়-মিশে আছেন অস্তিত্বের সঙ্গে। তিনি? বাংলাদেশের অমর সুরস্রষ্টা সমর দাস।

শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে
অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
নয়া বাংলার নয়া সকাল
নয়া সকাল, নয়া সকাল...

আমাদের শোষণের দিনগুলো শেষ হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রচিত গানগুলো রয়ে গেছে প্রেরণার উৎস হয়ে। কি কঠিন সময় পেরিয়ে এই স্বাধীনতা এসেছে তা আমরা অনুভব করতে পারি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গানের কথা আর সুরে। সেদিনের সেই সব গান প্রতিবাদের বীজ বুনে দিয়েছে আমাদের। মাথায় গেঁথে থাকা সুর রক্তাক্ত একাত্তরকে ভুলতে দেয় না। কিন্তু আমরা কজনইবা চিনি তাঁদের যারা লিখেছিলেন সেসব গান? কিংবা সেই অমর সুর স্রষ্টাদের। যারা দুর্দান্ত সব গানের কথায় প্রাণ দিয়েছিলেন?
যে প্রাণের টানে নতুন উদ্যমে জীবন বাজী রাখত মুক্তিযোদ্ধারা। বুলেটের সামনে বুক পেতে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তৈরি করত নতুন করে সূর্য ওঠার পথ?
অমর সুরস্রষ্টা সমর দাস-তাদেরই একজন।

বাংলা গানের কিংবদন্তী সুরস্রষ্টা, ক্ষণজন্মা সমর দাস'র ৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ। সঙ্গীত জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অসংখ্য গানের কালজয়ী সুরস্রষ্টা সমর দাস'র বর্ণিল স্মৃতির প্রতি জানাই এক হৃদয়ের অসীম শ্রদ্ধা ও অতল ভালোবাসা।

ইংরেজি ১৯২৯ সাল ১০ ডিসেম্বর। পুরনো ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের নবদ্বীপ বসাক লেনে এক সঙ্গীতশিল্পী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন  সমর দাস। তাঁর পিতার নাম-জিতেন্দ্রনাথ দাস এবং মাতা কমলিনী দাস। পারিবারিকভাবে সঙ্গীতের আবহে বেড়ে ওঠেন সমর দাস। পিতার ছিল বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসা আর মা ছিলেন শিক্ষিকা।
পূর্বপুরুষদের বসতভিটা বরিশাল জেলার গৌরনদীর ছবিখাঁরপাড়ে। সমর দাস'র ঠাকুরদাদার নাম-রামদয়াল দাস এবং ঠাকুরমা মেঘমালা দাস। বাদ্যযন্ত্র ব্যবসার কারণেই সমর দাস'র পিতা জিতেন্দ্রনাথ ঢাকা লক্ষ্মীবাজারে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। পিতা ছিলেন সেই সময়ের নামকরা পিয়ানো টিউনার।

ছোটবেলা থেকেই সমর দাস ঝুঁকে পড়েছিলেন সুরের ভুবনে।
সংগীতপিপাসু বাবা'র চার সন্তানের মধ্যে কেবল সমর দাসই ছিলেন সংগীত-অন্তঃপ্রাণ। তবুও সব পিতার মতো তিনিও চাইতেন সমর দাস পড়াশোনা করে সম্মানজনক কাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক। কিন্তু সমর দাস'র মন পড়ে থাকতো পিয়ানোর রিডে আর গিটারের সুমধুর তারে। সে সুরের টানে তিনি বুঁদ হয়ে থাকতেন অহর্নিশি।

জেঠাতো ভাই রবীন্দ্রনাথ দাস হাওয়াইন গিটার বাজাতেন। আর সেই বাজনা দেখেই এই বিষয়ে উৎসাহিত হয়ে ওঠেন -সমর দাস। যদিও আনাড়ি হাতে ওই গিটার ধরার জন্য সমর দাস'র অনুমতি ছিল না। বিষয়টি সমর দাস'র বাবা জিতেন্দ্রনাথ লক্ষ্য করেছিলেন এবং ছেলেকে কথাও দিয়েছিলেন একটি গিটার তিনি  কিনে দেবেন। অবশ্য সেই কথা তিনি রেখেছিলেন। বেশ কিছু বছর পর তিনি ছেলেকে কিনে দিয়েছিলেন গিটার। প্রথমে পিতার কাছেই বেহালা বাদন শেখেন। পরে নর্থ ফিল্ড নামের এক মিশনারীর কাছে শেখেন পিয়ানো, গিটার এবং বাঁশি। সেই সঙ্গে অন্যান্য যন্ত্রসঙ্গীতেও দক্ষতা অর্জন করেন সমর দাস। অল্প বয়সেই গিটার ও পিয়ানো বাজানোর কারণে চারদিকে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।

ইংরেজি ১৯৪৫ সাল।  মাত্র ষোল বছর বয়সে সমর দাস তৎকালীন অল ইন্ডিয়া রেডিও’র ঢাকা কেন্দ্রে বংশীবাদক হিসেবে সংগীত জীবনের সূচনা করেন এবং কলকাতা বেতারসহ কলকাতা এইচ.এম.ভি গ্রামোফোন কোম্পানিতেও যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। এ গ্রামোফোন কোম্পানিতে তিনি কমল দাসগুপ্ত, অনুপম ঘটক, কালিপদ বসু প্রমুখ সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পীর সান্নিধ্য লাভ করেন যা তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

ইংরেজি ১৯৪৭ সাল। দেশভাগের পরে ঢাকা কেন্দ্রিক নাগরিক সঙ্গীত ঐতিহ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার সমর দাস'র অবদানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।

ইংরেজি ১৯৫৩ সালে ঢাকা বেতারে এবং ১৯৬১ সালে তৎকালীন রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রে রেডিওর নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন সমর দাস।

ইংরেজি ১৯৬৬ সালে তিনি কিছুকাল করাচীতে পিআইএ সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানে চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে উঠলে তিনি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যুক্ত হন এবং মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত কাজ করেন।

রেডিও-টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের জন্য তিনি অসংখ্য বাংলা গানের সংগীত পরিচালনা করেন। তিনি ছিলেন সফল সুরকার। তাঁর সংগীত সাধনার বিকাশ ষাটের দশক-পূর্ব যুগে। ওই সময় প্রযুক্তির অভাব সত্ত্বেও নিজ সৃজনশীলতা ও স্বকীয়তায় সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছেন সমর দাস। গান, বাণী, সুর, লয়, শিল্পী ও অর্কেস্ট্রা মিলিয়ে তিনি সৃষ্টি করতেন অনুপম সুরলহরি ও সংগীত।
সমর দাস-ছিলেন পূর্ণমাত্রায় শুদ্ধতা অর্জনে বিশ্বাসী একজন সঙ্গীতজ্ঞ। অত্যন্ত ধৈর্য নিয়ে তিনি গানগুলোর সুর করতেন। যন্ত্রবাদনের সঙ্গে আনতেন সাযুজ্য এবং কঠোরতার সঙ্গে শিল্পীর কাছ থেকে আদায় করতেন কাজ।

বাংলা ছায়াছবির সংগীত পরিচালক হিসেবেও সমর দাসের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৫০ সালে কলকাতার বাংলা ছবি লটারি’র অন্যতম সংগীত পরিচালক ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ ছায়াছবির সংগীত পরিচালনা করেন।
এছাড়া মাটির পাহাড়, আসিয়া, গৌরী, ধীরে বহে মেঘনা, রাজা এলো শহরে-সহ আরও অনেক ছবির তিনি ছিলেন সফল সুরকার ও সংগীত পরিচালক। নদীর সন্তান, নবারুণ, বীরাঙ্গনা সখিনা, সোনার সবুজ গাঁয়ে ছবির নৃত্যনাট্যের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন তিনি। লাহোরে অনুষ্ঠিত আফ্রোএশিয় সঙ্গীত সম্মেলনে (১৯৬৪) উপস্থাপিত সোনার সবুজ গাঁয়ে নৃত্যনাট্যের প্রযোজনা ও সঙ্গীত পরিচালনা এবং লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ উৎসবে (১৯৬৬) সানস অব রিভার নৃত্যনাট্য পরিবেশিত হয় সমর দাসের পরিচালনায়। সমর দাসের মধ্যে মানবিক গুণেরও পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯৭০ সালে বঙ্গোপসাগরের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাস হলে দুর্গত মানুষকে সহায়তা করার জন্য পল্টন ময়দানে ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো’ নামে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমর দাস ছিলেন এর প্রধান উদ্যোক্তা।


মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর সুর করা অসংখ্য দেশের গান যোদ্ধাদের মনোবল সঞ্চার যেমন করেছে তেমনি অবরুদ্ধ মানুষের মনে জাগিয়েছে আশার আলো-যুগিয়েছে প্রেরণা।

-পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
-নোঙর তোল তোল
-ভেবো না গো মা তোমার ছেলেরা
-ওরা আমাদের সবুজ ধানের শীষে
-চিরদিন আছে মিশে

ওইসব গান আজো স্বাধীনতার চেতনাকে বহন করে উজ্জ্বল বহ্নিধারায়।
আমাদের গর্বের অর্জন জাতীয় সংগীতেরও অর্কেস্ট্রেশন তাঁর হাতে হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে সুরবিন্যাস করে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ মূল গানটি বিবিসি লন্ডন থেকে সামরিক ব্রাশব্র্যান্ডে রেকর্ড করার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৭২ সালে কলকাতার এইচ.এম.ভি কোম্পানি ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ নামে একটি লংপ্লে রেকর্ড প্রকাশ করে যাতে রয়েছে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ২৬টি গান। সমর দাস ছিলেন এ রেকর্ডের সঙ্গীত পরিচালক।
কিংবদন্তী কন্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়সহ এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের গান নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের গানগুলো গ্রন্থিত হয়েছিল।
নবগঠিত বাংলাদেশ বেতারের সিগনেচার টিউন বা সূচনা সঙ্গীত সমর দাসের কম্পোজ করা। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ নামে দুটি এল.পি ডিস্ক প্রকাশ করার উদ্যোগ নিলে একজন সংগঠক ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সমর দাস সেটাকে সফল করে তোলেন।

-তন্দ্রাহারা নয়ন আমার : শিল্পী হাসিনা মমতাজ
-পুরোনো আমাকে খুঁজে : শাহনাজ রহমতউল্লাহ
-লাজুক লাজুক চোখ মেলে : ফেরদৌসী রহমান
-কাঁকন কার বাজে রুমঝুম : বশির আহমেদ
-কত যে ধীরে বহে মেঘনা : হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

রেডিও-টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের জন্য তিনি অসংখ্য বাংলা গানের সংগীত পরিচালনা করেন। তাঁর সুরারোপিত বহু গান এক অনির্বচনীয় সুর-সৌকর্যের জগতে নিয়ে যায় শুদ্ধ সঙ্গীত শ্রোতাদের। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য দুই হাজারেরও বেশি গানে সুর করেছেন।
তিনি নিজে কয়েকটি বাদ্যযন্ত্র অত্যন্ত হূদয়গ্রাহী ও নিখুঁতভাবে বাজাতে পারতেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইলেকট্রিক হাওয়াইয়ান গিটার, পিয়ানো ও পিয়ানো অ্যাকোর্ডিয়ান।

তিনি বিশ্বাস করতেন ‘মানুষের জন্য মানুষ’। ১৯৯১ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের সময় এবং ১৯৯৮ সালে ভয়াবহ বন্যার সময় তাঁর ভূমিকা অপরিসীম।

১৯৮৫ ও ১৯৯৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ গেমস সূচনা সংগীতের সুরও তিনি করেন।

ইংরেজি ১৯৯০ সাল। সৃষ্টি হয় - বাংলাদেশ সংগীত পরিষদ। জন্মলগ্ন থেকে আমৃত্যু সমর দাস এ সংগঠনের সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন। সংগঠনের জন্য পরিণত বয়সেও সমর দাসের প্রেরণা, সহযোগিতা, পরিশ্রম ও ভূমিকা ছিল অসাধারণ।

সমর দাস তাঁর কর্মবহুল জীবনে দেশে-বিদেশে বহু সম্মান পেয়েছেন। ১৯৭৯ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘স্বাধীনতা পদক’ লাভ করেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন।

ইংরেজি ২০০১ সাল ২৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন সমর দাস। মৃত্যুর পরে তাকে ঢাকার ওয়ারীস্থ খৃষ্টান গোরস্থানে সমাহিত করা হলেও যাঁর স্মৃতি আজও সমুজ্জ্বল। যাঁর সৃষ্টি এখনো বাজে মর্মে মর্মে। যতদিন বাঙালি থাকবে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে। ততোদিন স্বাধীনতার গান যেমন বেঁচে থাকবে আর পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার মতোই তিনিও যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন আমাদের চেতনায়- আমাদের অস্তিত্বে।



অশ্রু বড়ুয়া
গীতিকবি, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক
বাংলাদেশ টেলিভিশন

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top