সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


ঢাকার ৯০ ভাগ ফুচকা ও ঝালমুড়িতে টাইফয়েডের জীবাণু


প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:৪০

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৩

ঢাকার ৯০ ভাগ ফুচকা ও ঝালমুড়িতে টাইফয়েডের জীবাণু

ঢাকা শহরের শতকরা ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ ভেলপুরি, ফুচকা ও ঝালমুড়িতে কলেরার জীবাণু ই-কোলাই’র উপস্থিতি পাওয়া গেছে।  এরমধ্যে ৫টি ভেলপুরি ও ৩টি ঝালমুড়ির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু সালমোলিনা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে খাবারের মান পরীক্ষায় দেশের একমাত্র রেফারেন্স প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি (এনএফএসএল)।  এছাড়া ৩০টি ফুচকার নমুনায় শতভাগ, ১২টি ভেরপুরির নমুনায় ৭৫ ভাগ, ঝালমুড়ি ১৩টি ও ৪টি আচারের নমুনায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় ঈস্ট পাওয়া গেছে যা স্বাভাবিকের








 চেয়ে বেশি।  গতকাল শনিবার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে খাদ্য নিরাপত্তা সমীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায়ের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।







গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এনএফএসএল-এর প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী।  তিনি বলেন, ঢাকা শহরের ৪৬টি থানায় অবস্থিত স্কুলের সামনে থেকে ৪৬টি ঝালমুড়ি, ৩০টি ফুসকা, ১৬টি ভেলপুরি ও ৪২টি আচারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  সংগৃহীত নমুনার মাইক্রোবায়লোজিক্যাল পরীক্ষার জন্য ঈস্ট ও মোল্ড, কলিফর্ম, সালমোনিলা, ই-কোলাই’র উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়।  এতে ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ ভেলপুরি, ফুচকা ও ঝালমুড়িতে ই-কোলাই’র উপস্থিতি পাওয়া যায়।



এক বছর ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার ৪৬টি স্কুলের সামনে থেকে ঝালমুড়ি, ফুচকা, ভেলপুরি ও আচারের নমুনা সংগ্রহ করে এনএফএসএলের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে মাইক্রো-বায়োলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়।  এতে কৃত্রিম রং, ইস্ট, ই-কোলাই, কলিফর্ম, মাইকোটক্সিন, সালমোলিনার মতো শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে।



রাজধানীতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫৫টি নুডুলসের গুণগতমান পরীক্ষা করে দেখা গেছে ১৪টি নডুলসে নির্দিষ্টমাত্রার চেয়ে প্রোটিনের পরিমাণ কম আছে।  লেডের পরিমাণ নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম ও অনেকগুলোতে শূন্য মাত্রায় পাওয়া গেছে এবং বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টিং সল্ট পাওয়া গেছে।  আরো ৪৬৫টি খাবারের নমুনার গুণগত মান পরীক্ষা করে তাতে টেস্টিং সল্ট, পেস্টিসাইড, রং, আলফা টক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়।  ২০১৬-১৭ সালে এই পরীক্ষা করা হয়।



অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোঃ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফুড সেফটি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাডভাইজার অধ্যাপক শাহ মনির হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বেসিক সায়েন্স অ্যান্ড প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস কে রায়, মোঃ  মাহফুজুল হক প্রমুখ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top