সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ইতিহাসে প্রথম: যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতিতে তেলের দাম শূন্য ডলার


প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২০ ২১:৪৭

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২০ ২১:৫৬

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম কমে দেশটির স্মরণকালের ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০ এপ্রিল সোমবার মার্কিন শেয়ারবাজারে অপরিশোধিত তেল কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমেছে ২০ শতাংশ। ফলে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ ডলারের নিচে। তবে ফিউচার মার্কেটে আগামী মে মাসের জন্য করা চুক্তিতে তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি 'শূন্য' ডলারেরও নিচে।

অর্থাৎ, তেল নিয়ে যেতে উল্টো ক্রেতাদের অর্থ দিতে রাজি ছিলেন বিক্রেতারা। দেশটিতে তেলের এতটা দরপতন আর কখনও হয়নি। মূলত করোনাভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে টানা লকডাউনের ফলে চাহিদা কমে যাওয়ায় এই অস্বাভাবিক দরপতন দেখা দিয়েছে। আর এতে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তেলের দাম নেমে এসেছে শূন্যেরও নিচে। অর্থাৎ, আপনাকে টাকা দিতে হবে না, বিক্রেতারাই উল্টো আপনাকে টাকা দেবেন, আপনি শুধু তাদের তেলটুকু নিয়ে যান।

যুক্তরাষ্ট্রের তেলের বাজারে বহুদিন ধরেই বেঞ্চমার্ক হয়ে আছে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) মূল্য। অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধ যা-ই হোক না কেন এর দাম কখনোই অন্তত তিনশ’ শতাংশ পড়ে যেতে দেখা যায়নি। এদিন মে মাসের চুক্তিতে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৭ দশমিক ৮৫মার্কিন ডলার থেকে কমতে কমতে দাঁড়িয়েছিল মাইনাস ৩৭ দশমিক ৬৩ ডলারে।

মার্চেন্ট কমোডিটি ফান্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডগ কিং বলেন, ‘আজ বিশ্বব্যাপী তেল শিল্পের জন্য এক বিধ্বংসী দিন। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণক্ষমতা পূরণ হয়ে গেছে বা যাচ্ছে এবং বাজারে কিছু দুর্ভাগ্যজনক লেনদেন হয়েছে।’

তেল ব্যবসায়ীদের জন্য সোমবারের দিনটি ছিল সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক! কারণ মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই আবারও শূন্যের ওপর (১ দশমিক ১০ ডলার) উঠে এসেছে তেলের দাম।

মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে মে মাসের চুক্তি। ফলে সবার নজর এখন জুনের চুক্তির দিকেই। আর সেখানে কিছুটা সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এতে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১ দশমিক ৭২ ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ১৫ ডলারে। আর জুনের ডেলিভারিতে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ০.১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫ দশমিক ৬১ ডলার।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top