সিডনী রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ঠা ফাল্গুন ১৪৩১


আরজিকর কাণ্ডে অপরাধীকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা

আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে যাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার


প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২৫ ১৪:৪৬

আপডেট:
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৮

ছবি, অন্তর্জাল থেকে

কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে যাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সোমবার শিয়ালদহ দায়রা আদালতের বিচারক এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বিবেচনা না করে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিয়েছেন। এই রায়ে সরকারসহ অনেকেই অখুশি হয়েছেন।

সাজা ঘোষণার পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলেছেন। সোমবার রাতে তার এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, আরজিকর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের মামলার রায়ে বলা হল এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়। আমি সত্যিই হতবাক।

তিনি আরও লিখেছেন, আমার যেটুকু ধারণা-এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা, যেটা মৃত্যুদণ্ড দাবি করে। কীভাবে এই বিচারে উপসংহার টানা হল যে এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়? এই সংবেদনশীল মামলায় আমরা মৃত্যুদণ্ডের জন্য আবেদন করব।

তিনি লিখেছেন, গত তিন চার মাসে আমরা ক্যাপিটাল অথবা সবথেকে বেশি শাস্তি নিশ্চিত করতে পেরেছি এই ধরনের অপরাধে। তাহলে কেন এই মামলায় ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট নয়?

মমতা সবশেষে লিখেছেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে অনুভব করছি এরকম নৃশংস ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দরকার। আমরা দোষীর মৃত্যুদণ্ডের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করব।

তবে নির্যাতিতার পরিবারের প্রশ্ন, সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের জন্য কেন এত উদ্যোগ? বাকি যারা জড়িত তাদের কেন আড়াল করা হচ্ছে?

এদিকে, অভিযুক্তের আইনজীবীরাও সঞ্জয় রায়কে নির্দোষ প্রমাণ করতে নিম্ন আদালতের আমৃত্যু কারাবাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top