সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১


জেনে নিন পেয়ারার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে


প্রকাশিত:
২ মার্চ ২০২০ ১৪:৪১

আপডেট:
৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৪

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: ভিটামিন সি জাতীয় সুস্বাদু ফল পেয়ারা। ছোট-বড় সবারই পছন্দের ফলের তালিকায় পেয়ারা থাকেই। এটি আমাদের দেশীয় ফলগুলোর মধ্যে বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণও অনেক। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও পেয়ারাতে রয়েছে ক্যারোটিন ও নানা রকম খনিজ। ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে চাইলে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে।

লবণ মরিচ আর সামান্য কাসুন্দি মাখিয়ে কাঁচা পেয়ারা খাওয়ার স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। এটি যে শুধু সুস্বাদু তাই নয়, বরং পুষ্টিগুণেও অনন্য। পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ ভালো। প্রতিদিন অন্তত একটি পেয়ারা খেলে বেশকিছু স্বাস্থ্যোপকারিতা। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য পেয়ারা খুব কার্যকরী। কারণ একটি প্রমাণ আকারের পেয়ারায় মাত্র ৬৪ ক্যালোরি থাকে, আর তা হজম করতে খরচ হয় তার চেয়ে বেশি।

পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, তা ভালো রাখে ত্বক আর চোখের স্বাস্থ্য। সেই সঙ্গে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও খুব কার্যকর। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা বিকেলের দিকে ক্ষুধা পেলে পেয়ারা খাওয়ার কথা ভাবতে পারেন। পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, আছে প্রচুর ফাইবার। এই দুটি উপাদানের মিলিত ফল ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

পেয়ারার উপকারিতা:

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে।

২. ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে: পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

৩. হার্ট সুস্থ রাখতে: ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় যে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।

৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: চাইনিজ চিকিৎসা শাস্ত্ররে অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯৮৩ সালে অসবৎরপধহ ঔড়ঁৎহধষ ড়ভ ঈযরহবংব গবফরপরহব প্রকাশ করেন যে, পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতাও বেশ কার্যকর। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তারপর ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন প্রতিদিন।

৫. ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে: বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে পেয়ারা। উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়। তবে কাঁচা পেয়ারা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে বেশি কার্যকর।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top