সিডনী মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৩রা বৈশাখ ১৪৩১

কাঙাল হরিনাথ ও ’গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’: অত্যাচার-অসত্যের প্রতিবাদ; লেখকদের বাতিঘর : আবু আফজাল সালেহ


প্রকাশিত:
৯ জানুয়ারী ২০২১ ২০:৪৬

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫৯

ছবিঃ কাঙাল হরিনাথ

 

পথের পাঁচালি চলচ্চিত্রের জন্যে বিশ্ববিখ্যাত হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। মনোমুগ্ধকর চিত্রায়ন ও অসাধারণ জীবনকাহিনী হৃদয় কেড়েছিলো সবার। সিনেমাটিতে একটি জনপ্রিয় গান ছিলো; যা দর্শকনন্দিত হয়। অপু আর দুর্গার পিসিমার গাওয়া একটি গান। একা বসে গাইছিলেন তিনি, হরি দিন তো গেলো, সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে/তুমি পারের কর্তা, শুনে বার্তা, ডাকছি হে তোমারে /আমি আগে এসে ঘাটে রইলাম বসে/(ওহে আমায় কি পার করবে না হে, অধম বলে)/যারা পরে এল, আগে গেল, আমি রইলাম পড়ে -এ গানটির স্রষ্টা কাঙাল হরিনাথ। তাঁর  পুরোনাম কাঙাল হরিনাথ মজুমদার। ভারতের গ্রামীণ বাঙলাসাংবাদিকতার জগতে এক সফল কাণ্ডারী। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ১৯ শতকে বাংলার হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সত্য এবং তথ্য-ঋদ্ধ সাহসী গ্রামীণ সাংবাদিকতার আদি ও প্রবাদপুরুষটিকে আমরা এই প্রজন্ম অনেকেই জানি না। তাঁরগ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’  ছিল সে সময় ভারতের তমসাচ্ছন্ন গ্রামজীবনের কণ্ঠস্বর। কাঙাল হরিনাথ কুষ্টিয়া জেলার(পুর্বের অবিভক্ত নদীয়া জেলা) কুমারখালি উপজেলার কুণ্ডপাড়ায় ১৮৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৬ এপ্রিল, ১৮৯৬ সালে এই ক্ষণজন্মা লেখক, সাংবাদিক, সংগীতব্যক্তিত্ব ও শিক্ষানুরাগী পরলোকগমণ করেন। তিনি গরীব ছিলেন। কুমারখালিতে অনেক নীলকুঠি ছিল। কিছু দিন নীলকর সাহেবের কাছে কাজ করেছিলেন। কিন্তু নীল চাষিদের উপর অত্যাচার দেখে সেটাও ছেড়ে দেন। চাকরি ছাড়ার পর মনোযোগ দিয়ে গ্রামীণ সাংবাদিকতা শুরু করেন। মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত সেটাই করে গিয়েছেন।

কাঙাল হরিনাথ ছিলেন একাধারে সাহিত্যশিল্পী, সংবাদ-সাময়িকপত্র পরিচালক, শিক্ষাব্রতী, সমাজসংস্কারক, সাধক ও ধর্মবেত্তা। দারিদ্রের কারণে হরিনাথ পড়াশুনা বেশিদূর চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু শিক্ষার প্রসারে তিনি ছিলেন সদা সচেষ্ট। তিনি  ‘কাঙাল ফকির চাঁদের দলনামে একটি বাউল দল তৈরি করেন।কাঙাল ফকিরচাঁদ ফকিরের জীবনীনামে একটি বাউল গানের সংকলন প্রকাশ করেন। সাংবাদিকতা বা লেখালেখি করেছেন ঈশ্বর গুপ্তেরসংবাদ প্রভাকরএর মতো পত্রিকায়। সম্পাদনা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেনগ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা  মাধ্যমে। সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন লেখনির মাধ্যমে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বলা যায় সমাজসংস্কারক হিসাবেও সফল তিনি। তাঁর সংবাদপত্রে তিনি এক দিকে যেমন মেয়েদের ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের দাবি দিনের পর দিন তুলেছেন, অন্য দিকে জমিদার, নীলকর, মহাজন ও পুলিশের অত্যাচারের বাড়াবাড়ির কাহিনি সাহসের সঙ্গে তাঁর সংবাদপত্রে প্রচার করে গিয়েছেন। তাঁর বাড়ির চন্ডীমন্ডপ গৃহে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। গ্রামীণ সংবাদপত্রে সতীদাহর বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন।  কাঙাল হরিনাথের পথ ধরে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার (বিশেষ করে গ্রামীণ সাংবাদিকতা) এগিয়ে চলেছে। কিন্তু তাকে আমরা কীভাবে মূল্যায়ন করছি! দুর্ভাগ্য আমাদের, হরিনাথকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনার খুব কম চেষ্টা করতে দেখি। উনিশ শতকের সামাজিক আন্দোলনে কাঙাল হরিনাথের ভূমিকা বিচার বা মূল্যায়ন করে দেখার সময় এসেছে বলে মনে করি। তাঁকে নিয়ে দুবাঙলার অনেক কলমযোদ্ধা খুশি । সারাজীবন অবহেলিত গ্রামবাংলায় শিক্ষাবিস্তারের জন্য ও শোষণের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রের মাধ্যমে আন্দোলন করেছেন তিনি। অতঃপর গোপাল কুণ্ড, যাদব কুণ্ড, গোপাল স্যান্যাল প্রমূখ বন্ধুদের সাহায্যে ১৩ জানুয়ারি, ১৮৫৫ সালে নিজ গ্রামে একটি ভার্নাকুলার বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন হরিনাথ মজুমদার। এরপর বেশ কিছুদিন  বিনাবেতনে শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁরই সহায়তায় ২৩ ডিসেম্বর, ১৮৫৬ সালে কৃষ্ণনাথ মজুমদার কুমারখালিতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট কলমযোদ্ধা প্রফুল্ল কুমার সরকার বলেছিলেন, কাঙাল হরিনাথের নাম নব্য বাংলার ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।দেশপত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক বঙ্কিমচন্দ্র সেন বলেছিলেন, ‘কাঙালের গ্রামবার্ত্তা পত্রিকা থেকে আমি আমার সাংবাদিক জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকি। হরিনাথ ছিলেন আপোষহীন। তিনি ঠাকুর পরিবারের কৃষক-প্রজা বিরোধী আচরণের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন।এজন্য একাধিকবার তাঁকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। কথিত আছে ঠাকুর পরিবারের লাঠিয়াল বাহিনী কাঙাল হরিনাথকে আক্রমণ করলে লালন ফকিরের দলবল তাকে রক্ষা করেছিল। অক্ষয়কুমার মৈত্র বলেছিলেন,‘হরিনাথ যাঁহাকে লক্ষ্য করিয়া সুতীব্র সমালোচনায় পল্লী-চিত্র বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন তিনি এদেশের সাহিত্য-সংসারে এবং ধর্ম্মজগতের চিরপরিচিত-তাহার নামোল্লেখ করিতে হৃদয় ব্যথিত হয়,লেখনী অবসন্ন হইয়া পড়ে।’  

১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসেরগ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকাপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে হরিনাথ মজুমদার এর মাতৃভাষা ও স্বদেশ প্রেম লক্ষ্য করা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে।যতদিন বঙ্গসন্তান মাতৃভাষা উপেক্ষা করিয়া পরভাষার পক্ষপাতী থাকিবেন, যতদিন মাতৃভাষা ঘৃণা করিয়া বৈদেশিক অনুশীলনে সময় ক্ষেপন করিবেন, ততদিন বঙ্গের উন্নতির আশা আমরা করি না, ততদিন জাতীয় উন্নতির কোনো সম্ভাবনা দেখি না। যাহাতে দেশে মাতৃভাষার চর্চা দিন দিন বৃদ্ধি পায়, যাহাতে মাতৃভাষা আদরের সামগ্রী, যত্নের ধন বলিয়া লোকের প্রতীতি জন্মে, যাহাতে সকলে বদ্ধপরিকর হইয়া মাতৃভাষার দীনবেশ ঘুচাইতে সমর্থ হন, বিধি রত্নে মাতৃভাষাকে অলঙ্কৃত করিতে কৃতসংকল্প হন, সে বিষয়ে চেষ্টা করা প্রত্যেক বঙ্গসন্তানের অবশ্য কর্তব্য কর্ম।

ফিকির চাঁদের বাউল দলের বিপুল জনপ্রিয়তায় মুগ্ধ-অভিভূত হয়ে অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘এমন যে হইবে তাহা ভাবি নাই। এমন করিয়া যে দেশের জনসাধারণের হৃদয়তন্ত্রীতে আঘাত করা যায় তাহা আমি জানিতাম না।’’ মানবিক মূল্যবোধের চর্চার কারণেই হরিনাথ উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের শেষ পর্যায়ের বাংলাদেশে সমসময়ের হিন্দু ও মুসলিম মৌলবাদের নিন্দা করেছেন। হিন্দু-মুসলমানের পারস্পারিক বিদ্বেষ স্বাভাবিকভাবেই তাকে বিচলিত করেছিলো। তিনি লিখেছিলেন-‘‘জাতির নামে ধুয়া তুলে/(দিচ্ছ) খড়ো ঘরে আগুন জ্বেলে/এ জাত যে জাত মারবার কল/নদীর জল করছি পান/একই জমির খাচ্ছি ধান/একই ভাষায় গাইছি গান/ভাইয়ের বুকে ছুরি মারে/(তারা) শয়তানের দল।’’ ভাব ও ভাবনার সমন্বয় করেই তিনি যেনো তার গানের ভাণ্ডার সাজিয়েছেন। যেমন এরকম একটি গান: ‘‘ওহে দিন তো গেলো সন্ধ্যা হলো/পার কর আমারেতুমি পারের কর্তা শুনে বার্তা/ডাকছি হে তোমারে।’’হরিনাথের গানেও সুর ধ্বনিত:‘‘ভোলা মন, কী করিতে কী করিলি, সুধা বলে গরল খেলি।/সংসারে সোনার খনি পরশমণি, রতনমণি না চিনিলি,...’’। কাঙাল হরিনাথের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা একেবারে কম নয়। ১৮টি। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো- বিজয় বসন্ত (১৮৫৯), চারু-চরিত্র (১৮৬৩), কবিতা কৌমুদী (১৮৬৬), বিজয়া (১৮৬৯), কবিকল্প (১৮৭০),অক্রুর সংবাদ (১৮৬৩), সাবিত্রী নাটিকা, চিত্তচপলা (১৮৭৬), মাতৃমহিমা (১৮৯৬), কাঙ্গাল-ফিকির চাঁদ ফকিরের গীতাবলী (১২৯৩-১৩০০) বঙ্গাব্দ উল্লেখযোগ্য।

১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল মাসেগ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকাপ্রকাশিত হয়েছিল। প্রথমে এই পত্রিকা ছিল মাসিক। প্রথম নয় বছর এটি ছাপা হতো কলকাতার ২৩ নং আপার সার্কুলার রোডের মির্জাপুরের গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্নেরবিদ্যারত্ন প্রেসথেকে এবং পরে এটি বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি গ্রামের মথুরানাথ প্রেস (এম এন প্রেস) থেকে মুদ্রিত হয়। এই পত্রিকাটি প্রায় ২২ বছর টিকে ছিল। প্রথমে এই পত্রিকাটি ছিল মাসিক ,১৮৬৪ খ্রি. এটি পাক্ষিক এবং ১৮৭১ খ্রি. এটি সাপ্তাহিকে পরিণত হয়। ১৮৮৪ খ্রি. নাগাদ পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। যখন পত্রিকাটি মাসিক ছিল তখন এর দাম ছিল পাঁচ আনা। মূলত গ্রাম এবং গ্রামবাসীদের অবস্থা প্রকাশের জন্য এর নাম হয়গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা। তবে মূল লক্ষ্য ছিল কৃষকদের ওপর নীলকর সাহেব ও জমিদারদের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ করা। তবে এই পত্রিকায় দর্শন, সাহিত্য ও অন্য সংবাদ প্রকাশিত হতো। লালন ফকিরের গান প্রকাশ করেছিলগ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা। প্রখ্যাত লেখক মীর মোশাররফ হোসেন, জলধর সেন তাঁদের লেখক জীবনের সূত্রপাত করেছিলেনগ্রামবার্ত্তা প্রকাশিক ‘-য়। এছাড়া শিবচন্দ্র বিদ্যার্ণব,অক্ষয় কুমার মৈত্র, প্রসন্নকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ব্যক্তি এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে দেখা যায়।

গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’-য় হরিনাথের আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছিলেন সমাজের সর্বস্তরের প্রভাবশালী মানুষ। সরকারি অসহযোগিতায় গ্রামবাসীর অসহায়তার কথা তুলে ধরতেদেশ নষ্ট কপটে, প্রজা মরে চপটে, কি কি করিবে রিপোর্টে’  শীর্ষক প্রতিবেদনে। পুলিশ সম্পর্কে পত্রিকায় লেখা হয়বিকারগ্রস্ত রোগীর হিক্কা উপসর্গের ন্যায় পুলিশ প্রজার উপসর্গ হইয়াছে। আবার অন্য-জায়গায় লিখেছেন: ‘আদালতের আমলাদিগের হাতপাতা রোগএর কারণে মূলত দরিদ্র প্রজারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন।গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’-য় নদী ও জলনিকাশী সংস্কার,ডাক ও পুলিশ সংস্কার ইত্যাদি গ্রামীণ মানুষের দাবিদাওয়া উপস্থাপিত করা হয়েছিল। ডাকঘরে মানি অর্ডারের ব্যবস্থা প্রচলনের কথা বলা হয়েছিল। দেশীয় শিল্পের উন্নতি ও বিকাশের কামনা করেছে গ্রামবার্ত্তা।এদেশের তন্তুবায় সম্প্রদায়ের দুরবস্থা এবং সরকারের উদাসীনতায় গ্রামবার্ত্তা নীরব থাকতে পারেনি।

পাবনা কৃষক বিদ্রোহের সময় কলকাতার সোমপ্রকাশ, অমৃতবাজার পত্রিকা প্রজাদের নেয়নি,কিন্তুগ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকাঅসহায় প্রজাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। পাবনার কৃষক বিদ্রোহ-কালে তাকে জমিদার-বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও হরিনাথ জানান, ‘গ্রামবার্ত্তা জমিদার কি প্রজা কাহারও স্বপক্ষে বা বিপক্ষে নহে। অত্যাচার ও অসত্যের বিরোধী। পাবনার ইংরেজ ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট একবার এক দরিদ্র বিধবার একটি দুগ্ধবতী গাভী জবরদস্তি সংগ্রহ করে। হরিনাথ সেই অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করেগরুচোর ম্যাজিস্ট্রেটনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। অধিকার আদায় ও সত্য প্রকাশেগ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকাও কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের রয়েছে বলিষ্ঠ ভূমিকা।গ্রামবার্ত্তা পত্রিকা’-য় তৎকালীন সময়েগরু চোর ম্যাজিট্রেটশিরোনামে সংবাদ ছাপা হওয়ার পরেগ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকাপত্রিকা সম্বন্ধে তৎকালীন পাবনা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট (সে সময় কুমারখালি ছিলো পাবনা জেলার মহকুমা) মি. হামফ্রে তার চিঠিতে কাঙাল হরিনাথ বরাবর চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘মি. এডিটর আমি তোমাকে ভয় করি না বটে, তবে তোমার লেখনি পড়ে অনেক কুকর্ম ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।

 

তথ্য সূত্র:
() বিভিন্ন পত্রিকা,
() উইকিপিডিয়া,
() কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মারক গ্রন্থ, সম্পাদনা- . আবুল আহসান চৌধুরী।

 

আবু আফজাল সালেহ
কবি ও প্রাবন্ধিক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top