সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১

পরশপাথর : সিরাজুল ইসলাম জীবন


প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:১৪

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২৩

 

সারা রাত একফোঁটা ঘুমও এল না। মাথাটা রাঙা স্বপ্নে চঞ্চল হয়ে পড়েছিল। অপেক্ষার অনেক কথামালা ফাঁস হয়ে জড়িয়ে ধরলো আমায়। ভেতরে রক্তচাপ হয়তো সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। এমন সীমাহীন গভীর অন্ধকার, অকূল পাথারময় রাত্রি, তবু রজনীগন্ধাময় রজনী কয়জনের ভাগ্যেই বা আসে...

ফাল্গুনের রাত। দ্বাদশী চন্দ্রিমা আকাশে জানান দিয়েছে। শুক্লপক্ষের সামিয়ানার নিচে এমন অসাধারণ মুহূর্তে ফেরদৌসী পা ছড়িয়ে আঁচল বিছিয়ে বসে রইলো। সাদা পাড়ের গোলাপী রঙের বুটিকের শাড়িতে ওকে মানিয়েছে, দারুণ মানিয়েছে। গলায় ঝুলে আছে কনক-মালা। মণিবন্ধে হাফ-ডজন সোনালি চুড়ি। ডান হাতের কব্জিতে জড়িয়ে আছে গোল্ডেন কালারের একটি চমৎকার ঘড়ি। হঠাৎ দেখলে ঘড়ি নয়, সোনার কাঁকন বলে বিভ্রম হতে পারে। কর্ণে ঝুলে আছে তরুলতার মতো লকলকে দুল। চারপাশে মৃত ঘাসের গালিচা। সবটা মিলিয়ে রাজকন্যা যেন স্বয়ম্ভর সভায় বসে আছে। কিন্তু বাস্তবে জনমানবহীন শুষ্ক প্রান্তর। চুলগুলো ডান কাঁধের ওপর দিয়ে গড়িয়ে পড়েছে কটিদেশ ছুঁয়ে প্রায় মাটি পর্যন্ত। পা দুখানি খোলা, ধবধবে শাদা লম্বাটে চিকণ আঙুলগুলো অভিনবত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আরো আকর্ষণীয় ওর বসে থাকার ভঙ্গি। শুষ্ক ঘাষের গালিচায় জীবনের স্পর্শ, স্বপ্নের সুরভি, অতলান্তের হাতছানি এবং এক শতাব্দীর না বলা কথার ঝাঁপি নিয়ে অপেক্ষায় বসেছে যেন ফেরদৌসী। সেই অতলান্তের ডাক পেলাম আচমকা।

ফেরদৌসী রসে টইটম্বুর এক অতলান্ত মহাসাগর। ওর তল খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার বিমুগ্ধ চোখ বিভ্রান্ত হয়ে বারবার ফিরে আসে একটি বিন্দুর ওপর। ওর বাম কপোলের ডান প্রান্তের মাঝ বরাবর রয়েছে সেই কালো বর্ণের কলঙ্ক তিলক। চাঁদের কলঙ্ক আর এই কলঙ্ক যে গৌরবের, সৌরভের। না হয় আমার জোড়াচোখ এতটা মাতাল হতো না। আহা এমন কলঙ্ক যদি চুম্বন-মদিরা হয় তাহলে এই দ্বাদশী চন্দ্রিমা অভিমানে এতক্ষণে লুকিয়ে যেতো। আমাকে বললো- বসো কায়েস।
- কোথায় বসবো?
ও বললো- বুঝছো না, আধেক আঁচল যতনে বিছিয়ে রেখেছি।

লাজুক লতার মতো স্পর্শকাতর হয়ে গেলাম। মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল জন কীটসের কবিতার বিখ্যাত চরণ-Tender is the night
And haply the queen moon
Is on her throne.

আমি পাশে বসলাম। অবচেতনে কখন যে ওর বাম হাতের আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করে নিয়েছি বলতে পারবো না। অতি কোমল ও মসৃণ আঙুল-ফুল মনে হলো। ডান হাতের অনামিকায় চমৎকার একটি পাথরের আংটি; বৃত্তের মাঝখানটায় নীল নয়ন যেন। শিহরণ! অনন্ত কালের শিহরণ! প্রেমাঙ্কুর বুঝি হাতের মুঠোয়...। এরপর নীরবতা। সীমাহীন নীরবতা। সরু ও অতি কোমল আঙুলগুলো যেন নীরবতার বাঁধ ভেঙে কথা কইছে, আঙুলের ভাষায় যে কথা বলে তার আর মুখ ফোটাবার দরকার কী? আঙুলের নোখগুলোও সরু ও লম্বা, অসাধারণ শৈল্পিক; কাঁচ-কারু শৈলী যেন। বাম হাত দিয়ে এই শৈলী কিছুক্ষণ ছুঁয়ে ছুঁয়ে পরখ করলাম। এরপর একসময়ে হাতের বাঁধন শিথিল হয়ে আসে, আমি প্যান্টের পকেট থেকে একটি শাদা বুনো ফুল ওর হাতে রাখলাম। এই ফুলের নাম জানা নেই। বন থেকে কুড়িয়ে এনেছি দেয়ার জন্য। ওর শাদা রঙ প্রিয় তাই লাল-হলুদ ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেছি। এতক্ষণে ফেরদৌসীর মুখ ফুটলো- খুব সুন্দর ফুল তো! আমি বুঝতে পারি না কায়েস, তুমি আমার পছন্দ কীভাবে বুঝে ফেল?
- বুঝা যায় ফেরদৌসী, হৃদয় দিয়ে অনুভব করলে সব বুঝা যায়। তুমি যে পরশপাথর এতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। পরশপাথরকে সবসময় মাথায় তুলে রাখতে হয়।

এরপর শাদা ফুলটি ওর মাথার পেছনে গুঁজে দিলাম। চাঁদ-তারকারা চেয়ে চেয়ে দেখছে। ওর বাঁকা ভ্রূর দিকে তাকালাম। ঘন পল্লবিত ভ্রোমরকৃষ্ণ এই জোড়া ভ্রূ আমার মস্তিষ্কে কম্পন বইয়ে দিল। তারাময় আকাশসমগ্রও যেন তাকিয়ে রইলো। নীলাভ আকাশের নীরব হিংসে আমাকেও বুঝি ছুঁয়ে গেল। আকাশের দুটো তারার মতো আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠেছে ফেরদৌসীর ডাহুক-চোখ। চোখের পত্রপল্লব ও মারবেল-মণিকালো কেমন মায়া-হরিণীর মতো চঞ্চল, আবার স্নিগ্ধ শান্ত সরোবর যেন। ভেসে চলেছি কোন সুদূরে খেয়াল নেই। এরপর তীক্ষ্ণ ছুরির মতো ধারালো আর বাঁশির মতো অতি সোজা ও অতি সরু নাকের রূপ-মাধুরী অামাকে ভীষণ মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন করে ফেললো। গোলাপ পাপড়ির মতো রাঙা ও লাবণ্যময় ঠোঁটের আকর্ষণ আরো প্রাণছোঁয়া আরো নান্দনিক। অধরকোণে ঈষৎ হাসির রেখা, না অভিমানী ছল- বড়ই বিভ্রমে পড়লাম। আমার চোখের সম্মুখে সত্যিই এক বিমূর্ত মোনালিসা যেন বসে আছে, রহস্যময় এক স্ট্যাচু অব মোনালিসা বললেও ভুল হবে না। অনেক চেষ্টা করেও এই রহস্যের কিনারা করতে পারলাম না- মৃদু হাসি না চিন্তার গভীরতা! মনে হলো সে চিরকালের কুহেলিকা !
ফেরদৌসী এবার প্রখর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো, জনশূন্য প্রান্তরে শুক্লপক্ষের এই দৃশ্যায়ন কালের ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। বললো---রবি ঠাকুরের কবিতা শুনবে কায়েস?
- অবশ্যই, তুমি বলবে আর আমি শুনবো না!
- আচ্ছা শোন-
শুক্লপক্ষ হতে আনি/ রজনীগন্ধার বৃন্তখানি
যে পারে সাজাতে/ অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে,
যে আমারে দেখিবারে পায়/ অসীম ক্ষমায়
ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি,/ এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।
- তোমার শুক্লপক্ষ আর কৃষ্ণপক্ষের জটিল সমীকরণ আমি বুঝি না ফেরদৌসী। আমার এক কবি-বন্ধুর কয়েকটি চরণ না বলে পারছি না-

তুমি ছাড়া একা হয়ে যাই এই বৈরিবেলায়
আমি এমনই একা,পরানসখি রূপ ধরো বেহুলার
লখিন্দরের জন্মভাগ্যে কালসাপের রোষে নীল জীবন আমার।

ফেরদৌসীর কপালে একটি রেখা ফুটে ওঠলো। কোন দ্বন্দ্বের সমীকরণ ওকে কুরুক্ষেত্রের মুখোমুখি করছে কে জানে! ওর ঘনকৃষ্ণকেশরাজি যেন এই বিরল রাত্রির অদ্ভুত চাঁদোয়া; অমাবস্যার হার দেখলাম। আমি এই কালো ঢলের মেঘ দেখছিলাম কেবল। ইচ্ছে হচ্ছিল এই ঢলে ভেসে যাই সাত সমুদ্র তের নদীর পারে। সীমাহীন এক নিমেষে হারিয়ে গেলাম স্বপনপুর। সংবিৎ ফিরে এল, বললাম---ফেরদৌসী, কালো মেঘ তোমাকে দেখলে কিন্তু সতীন ভাববে।

ও মৃদু হাসলো এবং বললো- তুমি সবসময় একটু বেশি প্রশংসা করো কায়েস, এমনটি করলে আমার সমস্যা হয়।
- আমি প্রশংসা করিনে ফেরদৌসী, কেবল সত্যটুকু প্রকাশ করি, সত্য প্রকাশের কৃপণতা যে খুনী মানুষের সমতুল্য।
- তর্কে আমি তোমার সঙ্গে পারবো না কায়েস, তুমি কবি, তোমার ভাষার তূণে আমি রক্তাক্ত।
- আমি খুবই সহজ-সরল মানুষ, হৃদয়ের প্রেমটুকু ছাড়া আমার আর কিছু নেই, কিন্তু তুমি ঐশ্বর্যবান, পৃথিবীর স্বর্গ! তোমার বুদ্ধির কাছে আমি অবুঝ বালক। আমাকে এক হাটে কিনে আরেক হাটে বিক্রি করে দেয়ার ক্ষমতা তোমার আছে ফেরদৌসী । আমি টেরই করতে পারবো না।
- কায়েস, তুমি কি প্রেমে পড়েছো ?
- একজন রোমান্টিক পুরুষ কী প্রেমে না পড়ে পারে বলো?
- তোমার প্রেম কী রকম?
- আমার প্রেম অন্যরকম। ব্যতিক্রম। প্রেমের বহুমাত্রিক সংশ্লেষই আমাকে টানে।
- তোমর এত কঠিন শব্দ আমি বুঝি না কায়েস, বলো তো প্রেম-ভালোবাসা আসলে কী?
- প্রেম-ভালোবাসা কার কাছে কী রকম সে আমি জানি না, তবে আমার কাছে কিছুটা আলাদা। আমার দৃষ্টিতে প্রেম-ভালোবাসা হলো আবেগ এবং বিবেকের মিশ্রণ। চারু ও কারুকলার মতো নিয়ত পরিচর্যার।
- এ যে নতুন এক আইডিয়া শোনালে কায়েস। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়!
- হ্যাঁ নতুন আইডিয়া শোনাতেই তোমার কাছে হাঁটু গেঁড়ে বসে আছি। আমার আইডিয়া প্রচার করার আর উপযুক্ত জায়গা কোথায়!
- তাহলে আমিই তোমার উপযুক্ত জায়গা?
- ওগো ঐশ্বর্যবান! তুমি আমার সৌন্দর্য-তীর্থ ভূমি, আমার যে আর নিঃশ্বাস নেয়ার জায়গা নেই। তাইতো সোনার শিকলে তোমাকে বাঁধতে আসি বারবার। আমার আবেগ এবং বিবেক এই তীর্থস্থানে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

আমাদের কথা বলা বেশ জমে ওঠেছে। হঠাৎ আমার চোখ আবিষ্কার করে ফেললো ফেরদৌসীর কপালে গোলাপী রঙের চাঁদটিপ। আহা আকাশের চাঁদ মর্তে নেমে এল বুঝি। এমন চাঁদ-কপাল দেখার বিরল সৌভাগ্য অনন্ত কালের স্মারক! আমি বললাম---আকাশের চাঁদের সঙ্গে তোমার দারুণ মিতালি ফেরদৌসী, আমার হিংসে হচ্ছে।
- আমি কিছুই না কায়েস, তুমি কেন আমার রূপ নিয়ে এত প্রশংসা করো?
- তার কারণ আছে ফেরদৌসী। রূপ কখনো গুণকে বিকশিত করে না, কিন্তু গুণ সবসময় রূপকে বিকশিত করে। আর আমার দৃষ্টিতে তোমার রূপ ও গুণ পরিপূরক হয়ে ওঠেছে, এমনটি অতিশয় বিরল।
- ডাক্তাররা হার্ট সার্জারি করে জানি। তুমি আমার আপাদমস্তক সার্জারি না করে ছাড়বে না বুঝেছি। এত চমৎকার চমৎকার ভাষা আর উপমা কেমন করে খুঁজে আনো কায়েস?
- এ-সব পরশপাথরের আশ্চর্য ক্ষমতা। আমার কোনো কৃতিত্ব নেই। তোমার চুম্বক-আকর্ষণ সব শব্দভাণ্ডার কুড়িয়ে আমার স্নায়ূতন্ত্রীতে জমা করে। তুমি ছাড়া সত্যি আমি মূল্যহীন।

প্রসঙ্গ পাল্টে ফেরদৌসী আমার সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক খেলার চাল দিতে চাইছে দাবা খেলার মতো। আমি তাকিয়ে রইলাম ওর রাজহংসীর মতো গ্রীবার দিকে। গোলাপ-রাঙা কণ্ঠের কাকলি যেমন অতিশয় মিষ্টি তার, ঠিক তেমনি গোলাপ-রাঙা ওর কপোলজোড়া। এরচেয়েও ভালো লাগছিল ক্ষীণাঙ্গী ফেরদৌসীর দীর্ঘ গ্রীবার সৌকর্য। আলতো করে নধর পল্লবের মতো কোমল চিবুক স্পর্শ করে বললাম--- এই নগ্ন নির্জন প্রান্তরে কণ্ঠহার কণ্ঠে পরিয়ে দিলে মন্দ হয় না ফেরদৌসী।
- কী যে বলো তুমি, আমি বিয়েই করবো না। কণ্ঠহার তো আরো পরের বিষয়।
- বিয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক না হলে তা করার দরকার কী? আর প্রেমের স্পর্শমণি খুঁজে পেলে হাতছাড়া করা চরম বোকামি।

পাতলা একটা কাল্পনিক পর্দা দুজনের মাঝখানে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওটা ছিঁড়ে গেলেই তো অনন্ত অভিসার। এই নির্জন প্রান্তরে আমরা যেন ফুল ফুটাতে বসলাম। আকাশে অবশ্য অজস্র তারাফুল আর দ্বাদশী চাঁদের আলো যেন 'মধু চন্দ্রিমা'র জাল ফেলেছে আমাদের ঘিরে। চারপাশের ঘাষগুলো মৃত। জীবনের ফোয়ারা লয়ে ওদের জাগাতে এসেছি সবুজে সবুজে। ফেরদৌসীকে বললাম---এই মৃত প্রান্তর একদিন সবুজ হবে সেদিন কী আমাদের সবুজ ভালোবাসা আরো সবুজ হবে? আকাশের তারাফুলগুলো কী সেদিনও তোমাকে আজকের মতো রাঙিয়ে তুলবে?
- কী যে বলো কায়েস, এত সুন্দর ভাষার কারুকাজ এই চাঁদ-তারকার চেয়ে কম নয়। মৃত ঘাসগুলো প্রকৃতির নিয়মেই সবুজ সতেজ হবে। তোমার আবেগ আর বিবেক আমাকে রাঙিয়ে তুললেই চলবে। আমরাও চির সবুজ পৃথিবীর বাসিন্দা হয়ে ওঠলে দোষ কী?
- না কোনো দোষ নেই, মহাকালের স্রোতে যুগল প্রেমের স্রোতে ভেসে যাবো, এরপর হয়তো শেষরাতের রুগ্নচাঁদের মতো অস্তপারে মিলিয়ে যাবো।

আমাদের কথা আর শেষ হচ্ছিল না। ও কথা দিয়েছে কোনো এক পূর্ণিমা রাতে আবার আসবে এই নির্জন প্রান্তরে। সে-রাতে কেবল তারাফুল নয় সব চেতনার ফুলও ফুটবে। ঢল ঢল জোছনায় মধুবৃষ্টি নামবে অবিরল...। কথা বলতে বলতে রাত বারোটা বেজে গেছে কখন সেদিকে খেয়াল নেই। এমন সময় পুবদিক থেকে আচমকা দমকা হাওয়া শুরু হলো। চাঁদের আলো হারিয়ে গেল। দ্রুত দুজন দুদিকে প্রস্থান করলাম। আমি তখন বাড়ির কাছাকাছি, ঝড়বৃষ্টির গতি বাড়ছে তখন। ঘরের পাশের রজনীগন্ধার দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাচ্ছি। কোনো এক পূর্ণিমায় ফেরদৌসী সেই নির্জন প্রান্তরে আবার আসবে কি না সে-আমার জানবার কথা নয় তারই জানাবার কথা।

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top