সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ও বাঙালির মহালয়ার নস্টালজিয়া : ডঃ সুবীর মণ্ডল


প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৩৯

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৫

 

কৃষ্ণপক্ষের অবসান  এবং শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনায় অমাবস্যার একটি নির্দিষ্ট ক্ষণকে সনাতন ধর্মে  গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেওয়া হয়েছে। পুরাণ এবং শাস্ত্রের বেশ কিছু তথ্য এবং ব্যাসদেব রচিত মহাভারতে এই দিনটিকে পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই দিনটিকে কেন 'মহালয়া' বলা হয়ে থাকে, তা নিয়ে অবশ্য 'নানা মুনির নানা মত'।আগমনী সুর ছুঁয়েছে শরতের মেঘের ভেলায়, শৈশবের স্মৃতি মিশেছে কাশফুলের দেশে। নীল আকাশে লেখা আবেগী কথা আজ মনখারাপের রূপকথা মুছে দিয়েছে মেঘেদের নীরবতা। প্রভাতের শিউলি সুবাসে মায়ের আসার প্রহর গোনা, শারদাপ্রাতে শুরু মায়ের আরাধনা। ৬-ই অক্টোবর  বাঙালির  কাছে মহালয়া করোনার আবহে  হয়তো  নতুন  বার্তা বহন করে আনতে পারে। বাঙালির চিরকালীন স্পন্দন এখনো শোনা যায়  মহালয়ার  ভোরে।  বাঙালির মহালয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে  বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। আজও আপামর বাঙালির  প্রাণের মানুষ হয়ে  মনের মণিকোঠায় অমলিন হয়ে থাকবেন হয়তো তিনি। আসলে মহালয় ও  বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র  যেন  একই সূত্রে  গাঁথা দুটি মুক্তা। 

ছবিঃ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র

 

 অন্যান্য বছরের মতো বাঙালির অভ্যেসে কোনও ছেদ পড়বে না এ-বছরেও। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের অমোঘ কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনেই ঘুম ভাঙতে যে বাঙালির আজ সবাই অতীতের কথকতা। শরতের ভোর, শিউলি ফুল, ঘাসের আগায় শিশির বিন্দু আর আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ানো বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রপাঠ- বাঙালির জীবনে এ এক অত্যাশ্চর্য সকাল, মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা...
 

সেই ঘর। সেই খাট। সেই টেবিল। এবং সেই রেডিও! আজও আছে। একই রকম। মহালয়ার ভোরে ওই রেডিয়ো খোলা হয়। গোটা বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, 'আশ্বিনের শারদপ্রাতে, বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর...! 'মহালয়ার সকালে মহিষাসুরমর্দিনীর কিংবদন্তি রূপকার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর বাড়িতে আজও যেন ফিরে আসে অতীত! রামধন মিত্র স্ট্রীটের ওই গলিতে পা দিলে সময় যেন পিছিয়ে যায় হু-হু করে। হলুদ রংয়ের একটা বিশাল বাড়ির সামনে সাদা পাথরের ফলক। লেখা, স্বর্গীয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। সঙ্গে জন্ম-মৃত্যুর তারিখ। তার নীচে পাথরে খোদাই করা তিনটে লাইন, 'এই বাড়িতেই আমৃত্যু বাস করেছেন বেতারে মহিষাসুরমর্দিনীর সর্বকালজয়ী অন্যতম রূপকার এই সুসন্তান।'


ঠিক তার পাশেই সবুজ রংয়ের বিশাল কাঠের দরজা। ওঠার পথেই রাখা বিশাল এক বেলজিয়াম কাঁচের আয়না। উপরে হরিণের শিংওয়ালা মাথা। দোতলায় পৌঁছেও পাওয়া গেল না কাউকে। সামনে খোলা ছাদ। বীরেন্দ্রকৃষ্ণর বড় প্রিয় জায়গা ছিল এই ছাদ।
নীচে তাকালেই পুজোর দালান। আধো অন্ধকারে ছাওয়া। ছাদের পাশ দিয়ে চার-পাঁচ ধাপের একটি সিঁড়ি পেরিয়ে একটি ঘর দেখা গেল। অন্ধকার ঘরে শুয়ে ছিলেন এক বৃদ্ধ। তিনি সঞ্জীব ভদ্র। বীরেন্দ্রকৃষ্ণর ভাইপো। আঙুল তুলে দেখালেন উল্টোদিকের একটা ঘর। আরও কয়েকটা সিঁড়ির ধাপ পেরিয়ে পৌঁছনো গেল সেই ঘরে। দরজায় কড়া নাড়তেই সামনে এলেন এক বৃদ্ধা। তিনি সুজাতা ভদ্র। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর বড় মেয়ের বয়স এখন ৮৭।
মার্বেল পাথরের যে ঘরটায় পা দেওয়া গেল, সেটাই ছিল বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর ঘর। সেখানে বসে সুজাতাদেবীই প্রশ্ন করলেন, 'এতদিন পর হঠাৎ? এখন তো কেউ আর তেমন আসে না!' কথায় কথায় ডুব দিলেন অতীতে। বললেন, 'বাবা স্তোত্র পাঠ করতেন শুনে সবাই ভাবতেন, বাবার মতো ঈশ্বরবিশ্বাসী বোধহয় আর কেউ নেই। কিন্তু বিশ্বাস করুন, বাবাকে আমি কোনওদিন বাড়িতে পুজো করতে দেখিনি। একটা ধূপ পর্যন্ত জ্বালতে দেখিনি। বাবা বলতেন, বিশ্বাসটা থাকবে মনে। সেটা দেখানোর কী আছে!'
মহিষাসুরমর্দিনী যখন সরাসরি রেডিওতে সম্প্রচার হত, তখন রাত দুটোর সময় গাড়ি আসত রেডিও অফিস থেকে। পরে যখন রেকর্ডিং প্রচার করা শুরু হল, তখনও ওই সময়টায় রেডিয়ো অফিসে চলে যেতেন তিনি। তবে শেষদিকে আর যেতে পারতেন না। সুজাতাদেবী বললেন, 'এই ঘরে, এই খাটে বসেই আমরা বাবার সঙ্গে অনুষ্ঠান শুনতাম। আমি, আমার ভাই। বাবা-মা।' বীরেনবাবুর ছেলে অবশ্য আজ প্রয়াত।
আর একবার রেডিও অফিসে যাননি তিনি। সেটা ছিল ১৯৭৬ সাল। রেডিয়ো সে বার মহিষাসুরমর্দিনী প্রচারিত হয়নি। হয়েছিল, 'দুর্গা দুর্গতিহারিণী'। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে যা উত্তমকুমারের মহালয়া বলে প্রচলিত। সেই প্রথম, সেই শেষ। সে দিনের কথা বলতে গিয়ে আজও যেন যৌবনে ফিরে যান সুজাতাদেবী। বললেন, 'ওই অনুষ্ঠানের আগে এক রাতে উত্তমকুমার আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন বাবার কাছে। হাত ধরে বলেছিলেন, তিনি ওই অনুষ্ঠানটি করতে চাননি। বাবা তখন উত্তমবাবুকে উৎসাহ দিয়ে বলেছিলেন, 'কেন করবেন না আপনি? অবশ্যই করুন। নতুন কিছু তো করা দরকার। আমি আপনার পাশে আছি।'

সেই মহালয়ার ভোরেও বাবা এই খাটে বসে অনুষ্ঠানটি শুনেছিলেন। ছোট্ট প্রতিক্রিয়া ছিল, 'ভালই তো করেছে!' জনতা অবশ্য সেটা মানেনি। সে কী বিক্ষোভ! আজও মনে আছে, প্রবল চাপে ষষ্ঠীর সকালে আবার রেডিও বাজাতে বাধ্য হয়েছিল মহিষাসুরমর্দিনী।'
রবীন্দ্রনাথ, বিধানচন্দ্র রায় থেকে উত্তমকুমার, তিন কিংবদন্তির প্রয়াণ যাত্রার ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। যে রেডিওর জন্য এতকিছু, তারা অবশ্য শেষ বয়সে পেনশনও দেয়নি। সুজাতাদেবী বললেন, 'বাবা চুক্তিতে কাজ করতেন রেডিও। তাই পেনশন পাননি। পরে তেমন কেউ খোঁজও নেয়নি। শেষদিকে স্মৃতিভ্রংশ হয়ে গিয়েছিল বাবার। শেষ পুজোতেও এই ঘরেই মহালয়া বেজেছিল। বাবা বোধহয় বুঝতেও পারেননি।'
বীরেন্দ্রকৃষ্ণর জিনিসপত্র, ছবি অনেক কিছুই হারিয়ে গিয়েছে আজ। হারায়নি শুধু স্মৃতি। আজও মহালয়ার সকালে বেজে ওঠে রেডিও। ওই তো কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসছেন তিনি। ধুতি। গায়ে সাদা উত্তরীয়। উল্টে আঁচড়ানো চুল। হাতে নস্যির কৌটো। খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। ভোরের আলোয় অপেক্ষায়।
গোটা বাড়ি জুড়ে তখন ছড়িয়ে পড়ছে, 'আশ্বিনের শারদপ্রাতে...!' 

 

শেষকথা:

কায়েতের ছেলে হয়ে চণ্ডীপাঠ করবে! এ কেমন কথা? এতো কানে শোনাও পাপ। সমাজ কী বলবে? লোকে ছিঃ ছিঃ করবে যে', মহালয়ার (Mahalaya) ভোরে আকাশবাণী থেকে সরাসরি চণ্ডীপাঠ করবেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র (Birendra Krishna Bhadra), এমনটা ঠিক হতেই নাকি রেডিও অফিসের আনাচেকানাচে গুঞ্জন তুলেছিল এই ধরনের মন্তব্য। যাঁর কাঁধে এই দায়িত্ব তিনি পর্যন্ত এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী। মুখ কাঁচুমাচু করে, হাত কচলে তিনি আবেদন নিবেদন জানিয়েছিলেন পঙ্কজ কুমার মল্লিকের কাছে। কিন্তু পঙ্কজবাবু নাছোড়। তাঁর একটিই কথা, মহালয়ার সূর্য উঠবে বীরেন্দ্র কৃষ্ণের স্ত্রোত্রপাঠ শুনতে শুনতে। সম্প্রচারিত হবে 'মহিষাসুরমর্দিনী'। বাণী কুমারের গ্রন্থণায়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপলা সেন, ইলা বসু, পঙ্কজ মল্লিক, সুপ্রীতি ঘোষের গানে।
সাল ১৯৩১। পঙ্কজ মল্লিকের জোরের কাছে হার মেনে মহালয়ার আগের রাতে সমস্ত শিল্পী আকাশবাণীতে। ব্রহ্ম মুহূর্তে মা দুর্গাকে স্মরণ করে স্ত্রোত্র পাঠ শুরু করলেন বীরেন্দ্রবাবু। পাঠ করতে করতে তিনি আস্তে আস্তে ডুবে যেতে লাগলেন মন্ত্রের মধ্যে। তাঁর পাঠের সঙ্গে চলছে সমস্ত শিল্পীদের কালজয়ী গান--- 'তব অচিন্ত্য রূপ জড়িত মহিমা', 'জাগো তুমি জাগো', 'বিমানে বিমানে'...। পাঠ যত এগোচ্ছে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ যেন বাহ্যজ্ঞান রহিত। একেবারে শেষ পর্বে এসে মাকে ডাকতে ডাকতে তিনি আত্মভোলা। চোখ দিয়ে, গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে শরতের শিশিরের মতো পবিত্র অশ্রুকণা। বাকিরা বাকহারা হয়ে শুনছেন সেই পাঠ। সেই সম্প্রচারণ শুনে সে যুগে গায়ে কাঁটা দিয়েছিল সমস্ত শ্রোতার। দিকচক্রবালরেখায় ভেরের সূর্য লাল আবির ছড়াতে গিয়ে থমকে গিয়েছিল উদাত্ত মা ডাক শুনে। ওমন আত্মা নিংড়ানো আকুতিতে সময়ও স্তব্ধ! আকাশে-বাতাসে তখন গমগম করছে একটাই ডাক 'আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে মঙ্গল শঙ্খ'।
পরের দিন সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, অমন হৃদয় নিংড়ানো চণ্ডীপাঠ করলেন কে? কেউ ভুলেও জানতে চাননি, যিনি পাঠ করলেন তিনি ব্রাহ্মণ সন্তান না কায়েতের ছেলে! ৮৭ বছর আগে জিতে গিয়েছিল পঙ্কজ মল্লিকের জেদ। ভাগ্যিস! বিধাতা পুরুষ সবার অলক্ষ্যে সেদিন নিজের হাতে লিখেছিলেন এক নয়া ইতিহাস। তাঁর আশীর্বাদে কালজয়ী হয়েছিল বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র-বাণী কুমার-পঙ্কজ মল্লিকের 'মহিষাসুরমর্দিনী'। মহালয়ার ভোর হয়েছিল কায়েতের ছেলের চণ্ডীপাঠে।সেই শুরু। তারপর ৮৭ বছর ধরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। সময়ের হাত ধরে পরিবর্তন এসেছে  মহালয়ে। প্রতি বছর মতোই এষ-বছরেও  দূূরদর্শনের  নানান  চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে মহলয় । তবে  এই  সময়ের  মহালয়ার মধ্যে আগের মতো  প্রাণ খুজে  পাইনা। অতীত ঐতিহ্য ধরে  রাখার চেষ্টা নেই   বলে মনে হয়।  দূরদর্শনের অনুষ্ঠানে মন ভরে না, যদিও  এটা আমার নিজস্ব বিশ্বাস প্রসূত ব্যক্তিগত ভাবনা ও উপলব্ধি। 

আকাশবাণী-র নিজস্ব একটা কাগজ ছিল নাম ‘বেতারজগৎ’। ‘বেতারজগৎ’ ছিল বীরেন্দ্রকৃষ্ণের প্রাণ। একবার সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল সেই কাগজ। তখন তিনি জি পি ও-র সামনে ভরা শীতে আপাদমস্তক চাদর মুড়ি দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ‘বেতারজগৎ’ বিক্রি করতেন। ১৯৭৬ সালে আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ ঠিক করলেন চিরাচরিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ বীরেন্দ্রকৃষ্ণর বদলে উত্তমকুমারকে দিয়ে করাবেন, বাদ পড়লেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। সেই অনুষ্ঠান চরম ব্যর্থ হল। বেতার অফিস ভাঙচুর হয়েছিল৷ শেষপর্যন্ত বহু মানুষের চাহিদায় সে বছরই ষষ্ঠীর দিন আবার বীরেন্দ্রকৃষ্ণর মহিষাসুরমর্দিনী সম্প্রচার করা হয়। কোন ক্ষোভ বা অভিমান তিনি মনে রাখেননি।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণের জীবনের শেষ সময়টা মোটেই সুখকর ছিল না৷ স্টাফ আর্টিস্ট হয়েই অবসর নিয়েছিলেন তিনি ফলে পেনশন জোটেনি। অবসরের পরে শেষ পর্যন্ত ‘মহাভারতের কথা’ বলার জন্য সামান্য টাকা পেতেন। ক্রমশ স্মৃতিভ্রংশ হয়ে আসছিল তাই সেই অনুষ্ঠানও চালানো যায়নি৷ শেষ পর্যন্ত অর্থাভাব মেটাতে পাড়ায় পাড়ায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে বেড়াতেন তিনি৷
অবসর নেওয়ার পর একদিন আকাশবাণীতে একটি দরকারে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ঢুকতে গিয়ে বাধা পেলেন। সিকিউরিটি গার্ড তাঁর কাছে ‘পাস’ চেয়েছিলেন। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে 'মহালয়া' নামে চলচ্চিত্র। আজও মহালয়ার সকালে তাঁর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ অনুষ্ঠানটি বেতারে শোনানো হয়। ১৯৯১ সালের ৩ নভেম্বর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র ও কৃতজ্ঞতা: আনন্দবাজার পত্রিকা ও  আনন্দবাজার পত্রিকার আর্কাইভ

 

ডঃ সুবীর মণ্ডল
লোকগবেষক, প্রাবন্ধিক, রম্যরচনা ও ছোটগল্প  এবং ভ্রমণকাহিনীর লেখক 
পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top