সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

মা : পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
১৪ অক্টোবর ২০২১ ২০:৪১

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:২৩

ছবিঃ পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়

 

এক

অসিত মাস্টারের মা যখন মাধবীর কাছে এসে বললেন, আমার ছেলের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি, তখন মাধবী খুশিটা যথাসম্ভব গোপন করে বলল, আগে বসুন, চা জল খান, তবে কথা বলছি। বিজয়া বললেন, তা বসছি, তবে কথা দিতে হবে, আর মা বলে বলছি না, অসিতের মতো ছেলে পাবে কোথায়? সৎ, শিক্ষিত, রোজগেরে, পরোপকারী, সুদর্শনও বটে। বিড়ি সিগারেট অবধি খায় না। দোষের মধ্যে বলতে পারো, ঠাকুর দেবতায় মতি নেই, তা বোসদের বংশে কোনও পুরুষেরই কোনও কালে ওসবে মন নেই, ওরা লেখাপড়া নিয়ে থাকে, পুজো টুজোর ধার ধারে না। প্রথম যখন বিয়ে হয়ে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলাম তখন আমারও যেন কেমনধারা লাগত, বাড়িতে পুজো-আচ্ছার পাট নেই, এ কেমন বাড়ি! পরে কিন্তু মানিয়ে নিলাম, এখন তো মনে হয় এরাই ঠিক। কারও ক্ষতি করো না, পারলে উপকার করো, মানুষকে শিক্ষিত করে তোলো, এর চেয়ে বড় ধর্ম আর নেই। মাধবী মনে মনে ভাবে, পুতুলের আবার বিরাট ভক্তি, শাশুড়ি বেঁচে থাকতে পুতুলকে বলতেন, ক্ষ্যামা দে, অত উপোষ তোকে দিতে হবে না, শরীর ভেঙে গেলে কোন দেবতায় বিয়ে করবে শুনি! পুতুল সেসব কথা কানে তুলত না। তারক চলে যাওয়ার পর থেকে অবশ্য সেসব বাই অনেক চলে গেছে, বলে এত পুজো করে কী লাভ হল! দাদাটা বেঘোরে মরে গেল।
মাধবী চায়ের জল বসায়, পুতুলকে ডেকে সাড়া পেল না, কোথায় পাড়া বেড়াতে গেছে। সন্ধ্যা হতে না হতেই মিষ্টু ঘুমিয়ে পড়েছে, এটাই বাঁচোয়া, নয়তো একা মাধবী আতান্তরে পড়ত।

 

দুই

পুতুল পাড়া বেড়াতে যায়নি, সে আড়াল থেকে সব শুনছিল, অসিত মাস্টারের মায়ের সামনে বেরোতে তার লজ্জা করল। এ বছর সে উচ্চ মাধ্যমিক দিল, ক্লাস নাইন থেকেই অসিত তার গৃহশিক্ষক, অসিত যে তাকে বিয়ে করতে চায় এ কথা ঘুণাক্ষরে কোনওদিন টের পায়নি সে। তাদের মধ্যে কোনও ভাব ভালবাসা হয়নি, অসিতের যা গুরুগম্ভীর ভাব তাতে ওসব কথা কল্পনায় আসেনি। অসিত এসেছে, পড়িয়েছে, চলে গেছে। অসিত মাস্টার হিসেবে দারুণ কড়া, তার পড়া করতেই হবে। পুতুলের তাতে উপকারই হয়েছে, পরীক্ষার ফল সবসময়ই ভালো করেছে। তাদের বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে সে মাধ্যমিকে সবথেকে বেশি নম্বর পেয়েছিল, উচ্চ মাধ্যমিকেও পাবে। হ্যাঁ, সে মনে মনে অসিতকে সম্মান করে, অসিত সুদর্শন, শিক্ষিত, মার্জিত। তাকে অপছন্দের কোনও কারণ নেই, কিন্তু সেটা প্রেম কি না পুতুল জানে না। পুতুলের ইচ্ছা পড়াশোনা শিখে সরকারি চাকরি করা, বৌদির পাশে দাঁড়ানো, এখনই বিয়ের ইচ্ছে তার নেই। আর সে বিয়ে করে চলে গেলে বৌদি একা বাড়িতে মিষ্টুকে নিয়ে কী করে থাকবে! কত বয়স বৌদির! তেইশ চব্বিশের বেশি নয়, তার থেকে চার পাঁচ বছরের বড়, অথচ যেন তার মায়ের জায়গা নিয়ে নিয়েছে, দু’বছর আগে দাদা মারা যাবার পরে তারা দু’জনে একে অপরের অবলম্বন। সেই দাদা, তার খেলার সাথী, তার সব আব্দার রাখার দাদাভাই। বাবাকে সেভাবে পায়নি পুতুল, বাবা যখন মারা যান তখন পুতুলের বছর ছয়েক বয়স, দশ বছরের বড় দাদা তারকই সেই জায়গাটা নিয়ে নেয়। বোনকে কাঁধে করে দু’মাইল ঠেঙিয়ে রথের মেলাতেই নিয়ে যাওয়া হোক আর জেলা সদরে জারুলতলার মাঠে সার্কাস দেখাতেই হোক, তারক কখনও পিছপা হত না। লজেন্স থেকে রং পেন্সিল সব বায়নাই ঘোচাত তারক, মায়ের কাছে বায়না করতে গেলে বরং দু’-এক ঘা কপালে জুটত। সেই দাদা অকালে চলে যাওয়ার পর থেকে পুতুলের দাদা, বাবা, মা সব ভূমিকাতেই বৌদি, তাকে একা ফেলে এখন বিয়েতে কোনও অবস্থাতেই রাজি হবে না পুতুল। না, অসিতকে নিয়ে সে কোনও স্বপ্ন দেখে না। বৌদিকে বলে দেবে, অসিত যদি তাকে বিয়ে করতেই চায় তবে যেন অপেক্ষা করে।

 

তিন

পাঁচ বছর আগে যখন এবাড়িতে মাধবী বউ হয়ে আসে, তখন স্বামী, শাশুড়ি, ননদ নিয়ে তার ভরা সংসার, শ্বশুর তার বিয়ের আগেই গত হয়েছেন। চাষি পরিবার, কিন্তু শিক্ষার ছোঁয়া আছে। মাধবী নিজে ক্লাস টেন অবধি পড়েছে, তারপর দুম করে বিয়ে হয়ে গেল, শাশুড়ি তাকে এক আত্মীয়র বিয়েতে দেখে পছন্দ করেছিলেন। তার স্বামী তারক মাধ্যমিক পাশ। উচ্চ মাধ্যমিকেও ভর্তি হয়েছিল, কিন্তু শ্বশুর মশাই মারা যাওয়ায় সংসারের হাল ধরতে তাকে অল্প বয়সেই চাষের কাজে মন দিতে হয়েছিল। জমি বেশি নেই, বিঘা তিনেক ধান জমিতেই পরিশ্রমের ফসল ফলিয়ে সংসার দিব্যি চালিয়ে নিয়ে গেছে তারক। খিদে খুব বেশি ছিল তারকের, সবরকম খিদে। যেমন খাটত, তেমন খেতে পারত আর রাতে মাধবীকে নিবিড় করে পাবার সময়ও তার অন্তর হত না। এক একদিন দুপুরেই মাঠ থেকে চলে আসত, মাকে বলত, শরীরটা খারাপ লাগছে, শাশুড়ি কী বুঝতেন মাধবী জানে না, তবে মাধবী তারকের শরীর খারাপের অর্থ বুঝত। না, মাধবীর তারকের দস্যিপনা খারাপ লাগত না।

 

চার

যে জমি তাদের ভাত জোটাত, সেই জমিই তারককে কেড়ে নিল। আলপথে শুয়েছিল মৃত্যুদূত, তারক ঠাহর করতে পারেনি, এক ছোবলেই সব শেষ, গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্হ্য কেন্দ্রে অ্যান্টি ভেনাম ইঞ্জেকশনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে সব শেষ। কেন যে চাষির ছেলে হয়ে তারক আলপথে কালান্তক যমকে চিনতে পারল না! ও কি অন্যমনস্ক ছিল? ও কি ভরদুপুর বেলা আলপথ ধরে মাধবীর কাছেই আসছিল? মাধবী এ প্রশ্নের উত্তর জানে না। দু’বছর হল তারক চলে গেছে, এ বাড়িতে এখন তারকের গন্ধ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হয়ে আসছে। হবে নাই বা কেন? শাশুড়িও চলে গেলেন তারকের পিছন পিছন, একমাত্র জোয়ান ছেলের মৃত্যু শোক সহ্য করতে পারলেন না। সেই থেকে আড়াই বছরের মেয়ে মিষ্টু আর ননদ পুতুলকে নিয়ে লড়াই করছে মাধবী। জমি ভাগচাষে দিতে হয়েছে, সেদিকে লক্ষ রাখার লড়াই, রোজগার স্বভাবতই কমে গেছে, সংসার টেনে নেওয়ার লড়াই, মিষ্টুকে বড় করার লড়াই, দু’জন যুবতী মেয়ের পুরুষ অভিভাবক ছাড়া সমাজে বেঁচে থাকার লড়াই। এই চব্বিশ বছর বয়সে এত লড়াই, মাধবীর মাঝে মাঝে খুব ক্লান্ত লাগে। তার বাবা জামাইয়ের অকালমৃত্যুর পরে মেয়ে নাতনিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, বলেছিলেন পুতুলকেও নিয়ে যাবেন। কিন্তু মাধবী শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি, বিয়ের পর বাপের বাড়িতে মেয়েদের আর সেই সম্মান থাকে না। দাদাদের বিয়ে হয়ে গেছে, তাদের সংসারে গলগ্রহ হবার চেয়ে নিজের সংসারে নিজের অন্নের যোগাড় করা অনেক শ্রেয়। আর পুতুলের পড়াশোনা আছে, মেয়েটার মাথা ভাল, ওর বিয়ের ব্যবস্থাও মাধবীকেই করতে হবে। মাধবীই তো তার অভিভাবক। আজ বোধহয় ঠাকুর মুখ তুলে চেয়েছেন, তাই অসিত মাস্টারের মা বিজয়া নিজে এসেছেন সম্বন্ধ নিয়ে, সত্যি কথা বলতে অসিত মাস্টার আছে বলে শিয়াল শকুনের এখনও এ বাড়িতে নজর দিতে সাহস হয়নি। বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের বিজ্ঞানের মাস্টার অসিত বোসকে গ্রামের সবাই ভয় ভক্তি করে। কারও বিপদে আপদে সবার আগে অসিতই ঝাঁপিয়ে পড়ে, ছাত্ররাও অসিত মাস্টার বলতে অজ্ঞান। বিষ্ণুপুর হাইস্কুল পুরো জেলাতেই যে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করে তার সিংহভাগ কৃতিত্ব অসিতের, এখানে চাষির ছেলে-মেয়েরাও যে লেখাপড়া করে, তার জন্য বোসেরাই দায়ী। অসিতের বাবা পরিতোষ বোস বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের রিটায়ার্ড হেডমাস্টার, অসিতের দাদা অসীম যদিও জেলা সদরে ইংরেজির শিক্ষক, তবু সমগ্র বিষ্ণুপুর গ্রামেই শিক্ষা বিস্তারে বোসেদের ধারাবাহিক অবদান আছে। এই গ্রামের তিনজন ছেলে পাশ করে সরকারি চাকরি পেয়েছে, তাতে পড়াশোনার আগ্রহও বেড়েছে, সঙ্গে অসিত মাস্টারের ভয়। এখানকার কোনও বাড়ির কর্তারই অসিতের মুখের ওপর ছেলে মেয়েকে পড়াব না বলার সাহস নেই। অসিতের স্কুল শুধু ছেলেদের জন্য, কিন্তু বিষ্ণুপুর গার্লস স্কুলে মেয়েরা পড়তে যায়, সেই স্কুলও হয়েছে পরিতোষ বোসের চেষ্টায়। পরিতোষ বিয়ে করেছিলেন কলকাতার কলেজে পড়তে গিয়ে সহপাঠিনী বিজয়াকে, কলকাতার মেয়ে বিজয়া বিষ্ণুপুর গ্রামে দিব্যি মানিয়ে নিয়ে এতগুলো বছর কাটিয়ে দিলেন, তিনিই এতদিন বিষ্ণুপুর গার্লস স্কুলের হেডমিসট্রেস ছিলেন, এখন রিটায়ার করেছেন, তবুও বিষ্ণুপুর গার্লস স্কুল তার পরামর্শ মতোই চলে। কখনও কখনও স্পেশাল ক্লাসও নেন।
যদি পণ টণ দিতে হত তবে মাধবী পেরে উঠত না, অসিত যে সেসবের ধার দিয়ে যাবে না সেটা জানা কথা, তারক মারা যাবার পর পুতুলের টিউশন ফি নিতেও অসিত চায়নি, কিন্তু মাধবী দৃঢ় ভাবে তা অস্বীকার করায় শেষে মেনে নিয়েছিল। অসিত এমনিতেই নামমাত্র টাকায় গ্রামে পড়ায়, শিক্ষাদানই তার একমাত্র উদ্দেশ্য, বলে কিছু না নিলে ছাত্রর অভিভাবকরা পরীক্ষায় খারাপ ফল হলেও মাস্টারকে কিছু বলতে পারবে না, ফি নিয়ে সেই পথ আমি নিজে হাতে বন্ধ করেছি।

পুতুলের বিয়ে হয়ে গেলে মাধবী একা কী করে থাকবে তা জানে না, তখনকার কথা তখন ভাবা যাবে, আগে মেয়েটার তো একটা হিল্লে হোক। মাধবী চা আর মুড়িভাজার বাটি নিয়ে ঘরে ঢোকে, বিজয়া বলেন, তুমি পুতুলকে এখানে আসতে বলো, ওর সঙ্গে আমার কথা বলবার আছে। মাধবী বলল, পুতুল বোধহয় লজ্জা পেয়ে পালিয়েছে, পাড়া বেড়াতে গেছে সেটা আর ভাবী শাশুড়ির সামনে বলল না। আপনি বলুন, আমরা কথা বার্তা শুরু করি, পুতুলের মত তো নিশ্চয়ই শোনা হবে। বিজয়া বললেন পুতুলের এখানে থাকা দরকার, তুমি ওকে ডাকো। পুতুল আড়ালেই ছিল, ভাবল সামনাসামনি বিজয়াকে বলবে, এখন সে বিয়ে করতে চায় না, পড়াশোনা করতে চায়। পুতুলকে ঘরে ঢুকতে দেখে বিজয়া তাকে নিজের পাশে ডেকে বসালেন, বললেন আজ আমি তোমাদের দু’জনের সঙ্গেই কথা বলতে এসেছি। মাধবী তোমার অল্প বয়স, সামনে পুরো জীবন পড়ে আছে আর মিষ্টুর বেড়ে ওঠার জন্য এখন বাবা, মা দু’জনকেই দরকার। পুতুলের দরকার একজন দাদা, ওর এটা পড়াশুনো করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার সময়। আমি মাধবীকে আমার পুত্রবধূ হিসেবে পেতে চাই। তোমাদের মত নিয়ে আমি আর অসিতের বাবা যাব, মাধবীর মা-বাবার অনুমতি নিতে।


পাঁচ

স্তম্ভিত মাধবী বলে ওঠে, না না এ হতে পারে না, লোকে কী বলবে! আর আমি বিয়ে করলে পুতুল একা একা কিছুতেই এ বাড়িতে থাকতে পারবে না। বিজয়া বললেন, লোকের কথায় কান দেবার কিচ্ছু নেই, তুমি তো কিছুটা লেখাপড়া শিখেছ, বিদ্যাসাগর কোন যুগে বিধবা বিবাহ চালু করেছিলেন বলো! কত বাধার সম্মুখীন হয়েও অসাধ্য সাধন করেছিলেন, আর আমরা এখনও লোকে কী বলবে ভেবে সেই মহাপুরুষের কাজ ব্যর্থ করে দেব? তোমরা দু’জন এই বাড়িতেই থাকবে, পুতুল যে কখনও পাকাপাকি বোস বাড়িতে গিয়ে উঠতে চাইবে না সে বোধ আমাদের আছে। তোমাদের ননদ বৌদির সংসার অক্ষত থাকবে, এই সম্পত্তিও তোমাদের থাকবে। খালি অসিতকে তোমাদের জীবনে একটু ভূমিকা দিও। মিষ্টুর বাবা, পুতুলের দাদা, মাধবীর সঙ্গীর ভূমিকাতে অসিত দিব্যি মানিয়ে যাবে। তোমরা চাইলে অসিত এখানে এসে থাকতে পারে। তোমরা দু’জনে ইচ্ছে হলে কখনও নিশ্চয়ই বোস বাড়িতে গিয়ে থেকে আসতে পারো। তাতে পুতুলের লেখাপড়ারও সুবিধে হবে। অসিত মাস্টারের থেকে আমি খারাপ পড়াই না, অসিত মাস্টারও তার মা’র কাছেই লেখাপড়া শিখেছে। তুমি তোমার মতটা বলো, অসিত তোমাকে পছন্দ করেছে, তোমার লড়াইকে, ব্যক্তিত্বকে সে শ্রদ্ধা করে। তুমি কি তোমার জীবনে তাকে জায়গা দিতে পারো না? তারকের মৃত্যু দু:খজনক, কিন্তু তার স্মৃতি আঁকড়ে কি তোমার জীবন চলবে? অসিত কি পাত্র হিসেবে খারাপ? পুতুল কী ভাবছে সেটাও আমি শুনতে চাই। খালি হাতে ফিরে যাব বলে আমি এখানে আসিনি। মাধবী চুপ করে মাথা নিচু করে বসে থাকে, পুতুল উঠে এসে মাধবীর পিঠে হাত রেখে বলে ওঠে, মাসিমা আপনি বৌদির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করুন। শাঁখা, সিঁদুরে আমার বৌদির রূপটি ভারি ভাল খোলে, আমি শুধু দাদা কেন, দাদাটির মাকেও তো আমার মা রূপে পাব। মাধবী দেখে কখন তাদের জায়গা বদলাবদলি হয়ে গেছে, এতদিন সে পুতুলের মা ছিল, এই মুহূর্তে পুতুল তার মা হয়ে গেছে, পরম নির্ভরতায় সে পুতুলকে দু’হাতে আঁকড়ে ধরে।

 

পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top