সিডনী শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ইইউতে বিনিয়োগ : ৮ বছরে নাগরিক হয়েছেন এক লাখ ৩২ হাজার অভিবাসী


প্রকাশিত:
২২ আগস্ট ২০২৩ ২২:৪৫

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ১৬:১৩


২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইউরোপীয় রেসিডেন্সি এবং সিটিজেনশিপ ইনভেস্টমেন্ট প্রগ্রাম বা গোল্ডেন ভিসার আওতায় এক লাখ ৩২ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ইইউভুক্ত দেশগুলোতে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বিজ নিউজ এসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বিজ নিউজের বরাত দিয়ে শেঙেন ভিসা ইনফো জানিয়েছে, পর্তুগাল, গ্রিস, ইতালি ও স্পেনের মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে রেসিডেন্সি এবং সিটিজেনশিপ ইনভেস্টমেন্ট প্রগ্রামের মাধ্যমে ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এক লাখ ৩২ হাজারেরও বেশি অভিবাসী নাগরিকত্ব পেয়েছেন।

এ ছাড়া ২০২২ সালে পর্তুগাল কর্তৃপক্ষ এক হাজার ২১৮টি গোল্ডেন ভিসা জারি করেছে।


চলতি বছররে প্রথম ছয় মাসে দেশটির কাছে আরো ৮৬১টি আবেদন জমা পড়ে। গত বছরের একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল ৬২৪।
গ্রিস ২০২২ সালে মোট চার হাজার ৩৬৫টি গোল্ডেন ভিসার আবেদন পেয়েছে। যার মধ্যে দুই হাজার ৪৩২টি আবেদন বছরের শেষ প্রান্তিকে জমা পড়েছে।


ইতালিতে গত বছর ৭৯টি গোল্ডেন ভিসা মঞ্জুর করা হয়েছে। এসব ব্যক্তিদের অধিকাংশই রাশিয়ান, মার্কিন এবং ব্রিটিশ নাগরিক। এই সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

অন্যদিকে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ গত বছর মোট দুই হাজার ৪৬২টি গোল্ডেন ভিসা মঞ্জুর করেছে, যা ২০২১ সালের পরিসংখ্যানের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।



ইইউভুক্ত দেশ আয়ারল্যান্ড ২০২২ সালে গোল্ডেন ভিসা প্রগ্রামের জন্য এক হাজার ১৬টি আবেদন পেয়েছিল। পাশাপাশি দেশটি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২৫ মে পর্যন্ত এক হাজার ৩৫০টি আবেদন নথিভুক্ত করেছিল।

এদিকে ইইউতে গোল্ডেন ভিসা কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। পর্তুগালসহ অনেক দেশ ইতিমধ্যে এ ধরনের ভিসার ওপর কড়াকড়ি আরোপ শুরু করেছে। যার ফলে গোল্ডেন ভিসায় আগ্রহীদের অনেকেই ডিজিটাল চাকরি ভিসার মতো বিকল্প পথের দিকে আগ্রহী হচ্ছেন।


বাসা থেকে কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য স্পেন ডিজিটাল ভিসা কার্যক্রম চালু করেছে।
এ ছাড়াও গোল্ডেন ভিসা কার্যক্রম বন্ধ কর দিতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। গোল্ডেন ভিসা এবং গোল্ডেন পাসপোর্ট প্রগ্রামের মাধ্যমে মূলত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ এবং অন্যান্য শর্ত পূরণ করার মধ্য দিয়ে একজন বিদেশিকে বসবাস ও নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়া হয়। তবে এ ধরনের রেসিডেন্সি এবং নাগরিকত্বের ভবিষ্যৎ অনেকটাই অনিশ্চিত। কারণ এই প্রগ্রামগুলো মাধ্যমে অর্থপাচারকারী এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের সুবিধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

‘সাইপ্রাস পেপারস’ নামের আলজাজিরার একটি বহুল আলোচিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যেসব দেশ গোল্ডেন ভিসা প্রগ্রামটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল তাদের মধ্যে সাইপ্রাস অন্যতম। দেশটি এই প্রগ্রামের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বেআইনি বিষয়ের প্রমাণ পেয়েছে।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড ঘোষণা করেছে, তারা বিনিয়োগকারী ভিসা প্রগ্রামটির মাধ্যমে আর কোনো আবেদন গ্রহণ করবেন না। একই মাসে আবাসন সংকটের কারণে পর্তুগালও গোল্ডেন ভিসা প্রগ্রামের মাধ্যমে বসবাসের দুটি রুট বন্ধ ঘোষণা করেছে। আয়ারল্যান্ড এবং পর্তুগালের সিদ্ধান্তের পর ধনী বিদেশি অভিবাসীরা গ্রিস ও স্পেনের মতো অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top