সিডনী শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ইইউ অভিবাসী চুক্তিতে ভেটো দেওয়ার ঘোষণা পোল্যান্ডের


প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:০৮

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ১২:১১

 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অভিবাসন সংস্কার প্যাকেজে ‘ভেটো’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পোল্যান্ডের ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাভিয়েৎসকি। আশ্রয়প্রার্থী ও অনিয়মিত অভিবাসীদের ব্যবস্থাপনায় চুক্তি সংশোধনে বুধবার একমত হয়েছে ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলো। স্প্যানিশ শহর গ্রানাডায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইইউ নেতৃবৃন্দের দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে এই বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে আসবে।

অভিবাসন ও আশ্রয়সংক্রান্ত নতুন চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে ইতালি ও গ্রিসের মতো ইইউ সীমান্তের দেশগুলোর ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করা হবে।
এসব দেশে আসা অভিবাসীদের ইইউভুক্ত অন্যান্য রাষ্ট্রে স্থানান্তর করা হবে। এই চুক্তির আওতায় অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করা দেশগুলোকে যেসব দেশ অভিবাসীদের নিচ্ছে, তাদের অর্থ সহায়তা দিতে হবে।

মাতেউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমাদের স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করা উচিত : কেন আমরা ব্রাসেলসের নির্দেশে, বার্লিনের নির্দেশে রাজি হবো? আমি একটি নিশ্চিত ভেটো দেওয়ার জন্য গ্রানাডায় ইউরোপীয় কাউন্সিলের শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছি।’

ওয়ারশয়ের বিরোধিতায় অবশ্য চুক্তিটি বাতিল বা স্থগিত হবে না।
কারণ এর বাস্তবায়নের জন্য কেবল সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, যা এই চুক্তিটি এরই মধ্যে অর্জন করতে পেরেছে।

মাতেউস বলেন, ‘আমরা এই নির্দেশের সঙ্গে একমত নই। এটি সমস্যার সমাধান করবে না, বরং এটি একটি বড় সমস্যা তৈরি করবে এবং অবৈধ অর্থনৈতিক অভিবাসীদের বহনকারী শত শত নৌকাকে ইউরোপে আমন্ত্রণ জানাবে।’

বিবৃতিতে তিনি ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পোল্যান্ডে আরেকটি ল্যাম্পেদুসা চাই না।’

পোল্যান্ডের রক্ষণশীল সরকারের রাজনীতিবিদরা অনেক বছর ধরেই অভিবাসীবিরোধী বক্তব্যকে হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে আসছেন। ১৫ অক্টোবর পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পোল্যান্ড।

একই দিনে ইইউ অভিবাসন সংস্কার নিয়ে জাতীয় গণভোটেরও ঘোষণা দিয়েছে। ব্যালটে পোলিশ জনগণের কাছে প্রশ্ন রাখা হবে, ‘ইউরোপীয় আমলাতন্ত্রের বাধ্যতামূলক স্থানান্তর প্রকল্পের সঙ্গে মিল রেখে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আসা হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে গ্রহণ করার পক্ষে?’

সরকার বিরোধীরা ব্যালটে ‘পক্ষপাতমূলক’ প্রশ্ন রাখার অভিযোগে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top