সিডনী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের রেকর্ড, একদিনেই ২ হাজার ২৯ জন


প্রকাশিত:
২৮ মে ২০২০ ২২:০৯

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪১

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মোট ৫৫৯ জন মারা গেলেন করোনায়। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২৯ জন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪০ হাজার ৩২১।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

তিনি নতুন একটিসহ মোট ৪৯টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নয় হাজার ২৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে নয় হাজার ৩১০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৬টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও দুই হাজার ২৯ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩২১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫০০ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট হাজার ৪২৫ জনে।

নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১১ জন পুরুষ, চারজন নারী। সাতজন ঢাকা বিভাগের, আটজন চট্টগ্রাম বিভাগের। এলাকাভেদে ঢাকা শহরের ছয়জন, নারায়ণগঞ্জের একজন, চট্টগ্রাম শহরের দুজন, চট্টগ্রাম জেলার দুজন, কক্সবাজারের দুজন ও কুমিল্লার দুজন রয়েছেন। বয়সের দিক থেকে ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব পাঁচজন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের একজন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৯ শতাংশ।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৪৮ জনকে এবং ছাড়া পেয়েছেন ১৩৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৯৮৪ জন। মোট আইসোলেশন শয্যা ১৩ হাজার ২৮৪টি। আর ঢাকা মহানগরীতে সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ সব হাসপাতালে আইসিইউ এর সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট ১০৬টি।

বরাবরের মতোই ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।


বিষয়: করোনা


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top