সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


এবছর ৯০ ভাগ সরকারি সেবা ডিজিটালাইজড হচ্ছে


প্রকাশিত:
১৭ জানুয়ারী ২০২১ ১৭:৪৭

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০৭

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: ২০২১ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটালাইজড হচ্ছে। বললেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি সবার জন্য ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন মানুষ সেবার পেছনে ছুটবে না, সেবা পৌঁছে যাবে মানুষের হাতের মুঠোয়।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১২ বছরে দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, যা গ্রাম এলাকা পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। দেশের ৩ হাজার ৮শ’ ইউনিয়ন এখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে সকলের জন্য ইন্টারনেট নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি জানান।
পলক আরো বলেন, আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণে করোনা মহামারিকালে অনলাইন/সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস-আদালত, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদন এমনকি কোর্টের কার্যক্রমও চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে। সরকার করোনা পোর্টাল, কোভিড ট্রেসার, কোভিড ১৯ ট্রাকার, ফুড ফর ন্যাশন, হেলথ ফর ন্যাশনসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে করোনা মোকাবেলা করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৮শ’ সরকারি সেবাকে ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৬০০টি সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করা হয়েছে। সরকার অফিসের কার্যক্রমে কাগজ ও কলমের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ই-অফিস কার্যক্রম চালু করেছে। এরই অংশ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা সরকারি অফিসে কাজের গতিশীলতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আনয়নে ই-নথি চালু করা হয়। বর্তমানে ৮ হাজারেরও বেশি অফিসের প্রায় ৯০ হাজারেরও অধিক কর্মকর্তা ই-নথি ব্যবহার করছে। অদ্যবধি, ১ কোটি ৪৩ লাখ ফাইল ই-নথি সিস্টেমের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সাররা গ্রামেগঞ্জে থেকেও বিদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন গ্রামে বসেই মানুষ শহরের সকল সুবিধা ভোগ করতে পারছে। প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে শহর এবং গ্রামের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ৬ হাজার ৭শ’৯০টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। দেশে ৩৯টি হাইটেক/আইটি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫টির র্নিমাণ শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ৮টি শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আরো ১২ টির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় পর্যায়ক্রমে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন সৌদি আরবে ১৫টিসহ মোট প্রায় ৮ হাজারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিগত বার বছরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ মানুষকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে কমর্সংস্থানের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২০ লাখ।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top