সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


‘একুশে পদক-২০২১’ বিজয়ী যারা


প্রকাশিত:
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:০৪

আপডেট:
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:০৭

 

প্রভাত ফেরী: শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক-২০২১’ তুলে দেয়া হয় ।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ২১ গুণীজন পেলেন ‘একুশে পদক-২০২১’।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালের একুশে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এ বছর একুশে পদক দেওয়া হয়।

এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন, সাংবাদিকতা, গবেষণা, শিক্ষা, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় একজন করে একুশে পদক প্রদান করা হয়।

এবছর একুশে পদক পেলেন যারা-

১. ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য মরণোত্তর একুশে পদক সম্মাননা পেয়েছেন মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার)।

২. ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন শামছুল হক।

৩. ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য মরণোত্তর এ সম্মাননা পেয়েছেন আফসার উদ্দীন আহমেদ (অ্যাডভোকেট)।

৪. শিল্পকলায় (সংগীত) অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন বেগম পাপিয়া সারোয়ার।

৫. শিল্পকলায় (অভিনয়) অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ।

৬. শিল্পকলায় (অভিনয়) অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম)।

৭. শিল্পকলায় (নাটক) অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন আহমেদ ইকবাল হায়দার।

৮. শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন সৈয়দ সালাউদ্দীন জাকী।

৯. শিল্পকলায় (আবৃত্তি) অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।

১০. শিল্পকলায় (আলোকচিত্র) অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন পাভেল রহমান।

১১. মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন গোলাম হাসনায়েন।

১২. মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ফজলুর রহমান খান ফারুক।

১৩. মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা।

১৪. সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন অজয় দাশগুপ্ত।

১৫. গবেষণায় অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা।

১৬. শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন বেগম মাহফুজা খানম।

১৭.অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ড. মির্জা আব্দুল জলিল।

১৮. সমাজসেবায় অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান।

১৯. ভাষা ও সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন কবি কাজী রোজী।

২০. ভাষা ও সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন বুলবুল চৌধুরী।

২১. ভাষা ও সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন গোলাম মুরশিদ।

পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্ত সুধীজনে নাম ঘোষণা ও পরিচিতি পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top