সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


২৬ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা জারি


প্রকাশিত:
২০ অক্টোবর ২০২১ ১৭:২৩

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৫২

 

প্রভাত ফেরী: মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জেলার পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আর কোথাও যেন সহিংসতা না হয় সেজন্য নানা ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় বৈঠকে।

আগামী ১০ দিন এ বাড়তি সতর্কতা জারি থাকবে বলে পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদে মিল্লাদুন্নবী, সনাতন ধর্মাবলম্বীদে লক্ষ্মী পূজা ও বৌদ্ধদের প্রবারণা পূর্ণিমাকে সামনে রেখে এই বাড়তি সতর্কতার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

জানা গেছে, এ সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে ধাপে ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি কমিয়ে আনা হবে। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে না হলে সতর্কতার মেয়াদ আরও বাড়বে।

যেসব জেলাতে সতর্ক করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রংপুর বিভাগের সাতটি জেলা রয়েছে। এগুলো হলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী। রাজশাহী বিভাগের রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা। খুলনা বিভাগের জেলা রয়েছে পাঁচটি। এগুলো হলো: বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মাগুরা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ।

কুমিল্লা ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও কক্সবাজার। ঢাকা বিভাগে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন ইউনিট।

এক্ষেত্রে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুটি বিষয়কে সামনে রেখে তাদের তদন্ত চলছে। প্রথমত, দেশের একাধিক ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল।

দ্বিতীয়ত, তৃতীয় কোনো শক্তি। এছাড়া বিদেশি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার ইন্ধন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

সাম্প্রতিক ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে দফায় দফায় বৈঠক করছেন পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের হাইকমান্ডও বৈঠক করছে। 

হামলার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে পুলিশের সবকটি ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

প্রতিমা ভাঙচুরের উসকানিদাতা ও হামলায় জড়িত শতাধিক ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পুলিশের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, তদন্তে ইতোমধ্যে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে এসব প্রকাশ করা যাচ্ছে না। 

ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও জানান, গুজব রটানোর অভিযোগে ফেসবুকের দুইশ’ এডমিনের প্রোফাইল কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ।

এমনকি কয়েকজনের ভয়েস বার্তাও পেয়েছে পুলিশ। তারা যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য সবকটি বিমানবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় কঠোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top