সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


আবরার হত্যা কান্ডে ২০ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ড


প্রকাশিত:
৯ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:২৩

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:০৯

 

প্রভাত ফেরী: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামিদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সব আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক। হত্যাকাণ্ডের ২ বছর ২ মাস পর এ রায় ঘোষণা করা হলো। 

দণ্ডপ্রাপ্ত ২৫ আসামির সবাই বুয়েটের সাবেক ছাত্র এবং বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মী। তারা শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হল-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এসএম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ। আসামিদের মধ্যে শেষের তিনজন পলাতক। বাকিরা কারাগারে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হল- মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না। আসামিরা সবাই কারাগারে। রায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিন রায় উপলক্ষ্যে কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে সকাল ৯টার দিকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতে পুলিশের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়। রায়ে আবরারের পরিবার, রাষ্ট্রপক্ষ ও বুয়েটের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট নন আসামিপক্ষ। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। 

রায় ঘোষণার আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আসামিদের এজলাসের ডকে (আসামি রাখার নির্ধারিত স্থান) তোলা হয়। এরপর বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে প্রবেশ করেন। এরপর শুরু হয় রায় পাঠ। দুপুর ১২টা ১৪ মিনিটের দিকে সংক্ষিপ্ত এ রায় পাঠ শেষ হয়। রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত ২২ আসামিকে এক রকম স্বাভাবিক দেখাচ্ছিল। তাদের কাউকেই তেমন বিচলিত হতে দেখা যায়নি। আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আর পলাতক তিনজনের বিরুদ্ধে রায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

পর্যবেক্ষণ : রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। নিঃসন্দেহে সব আসামি পরস্পর যোগসাজশে শিবির সন্দেহে আবরার ফাহাদ রাব্বীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ভারতীয় হাইকোর্টের এক রায় উল্লেখ করে বিচারক আসামিদের এমন ক্রিমিনাল কর্মকাণ্ডকে ‘দানবীয়’ বলে উল্লেখ করেন। পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা বাংলাদেশের সব মানুষকে ব্যথিত করেছে। এমন নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনো না ঘটে, তা রোধকল্পে এ ট্রাইব্যুনাল সব আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

নিহতের পরিবার, রাষ্ট্রপক্ষ ও বুয়েটের সন্তুষ্টি : রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। রায়ের পর তিনি বলেন, এ রায়ে আমি আপাতত সন্তুষ্ট। উচ্চ আদালতে যেন এ রায় বহাল থাকে। একই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব এ রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি। রায়ের পর আবরারের মা রোকেয়া খাতুন মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের রায়ের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অমিতের তিনি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সবার যেন ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করা হয়।

আদালতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মোশাররফ হোসেন কাজল, মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা, মো. আবদুস সোবহান তরফদার (বাদীপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী), মো. মিজানুর রহমান খান, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আলমগীর হোসেন, মো. মশিউর রহমান, প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও নাছিমা বেগম। তারা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রায় ঘোষণার পর মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের পাশাপাশি দেশবাসী তাদের কাক্সিক্ষত ন্যায়বিচার পেয়েছে। এ রায় সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে অপরাধীরা নিরুৎসাহিত হবে।

আবরার হত্যা মামলার রায়ে বুয়েটের পক্ষ থেকেও সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার মামলার রায় দ্রুত কার্যকর হওয়ার আশা প্রকাশ করেন। নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার দ্রুত, সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব না থাকলে আরও স্বল্প সময়ে হতো।

বিচারকরা সঠিকভাবে বিচার করেছেন। তাদের প্রজ্ঞা ও আইন অনুযায়ী বিচার করেছেন। তাদের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীদের এটাই মনে রাখতে হবে-যদি কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হয়, তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের দায় আছে কিনা সেটা বিচার বিভাগই দেখবে।

তিনি আরও বলেন, আবরারের পরিবারের পক্ষ থেকে যেটুকু চাওয়া হয়েছে তা আমরা দিয়েছি। মাসিক সাহায্য করছি। প্রতি মাসে পঁচাত্তর হাজার টাকা দিচ্ছি। ওনারা আর্থিকভাবে সংকটে পড়েছেন।

এজন্য আমি ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পাওয়ার পর জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে প্রতি মাসে ৭৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আইনি সহায়তা ও আইনজ্ঞের ফি, সাক্ষী হিসাবে স্টুডেন্টদের আনা-নেওয়ার খরচ এবং ঢাকায় থাকাসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ বহন করেছি। প্রায় ৫৫ লাখ টাকা এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে। এর বাইরে প্রতি মাসে যেটা দেওয়া হচ্ছে সেটা ১২ বছর দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে উনি যদি আমাদের কাছে চান এ সাপোর্ট আমরা অবশ্যই দেব। উপাচার্য বলেন, রাজনীতি যে অপরাজনীতি হবে আমরা কেউ জানি না। রাজনীতির কিছু ভালো দিক আছে। দেশের জন্য কাজ করতে রাজনীতিই করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকবে যেন কোনো ছাত্র বিপথে না যায়।

রায়ে অসন্তুষ্ট আসামিপক্ষ: আদালতে এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসাবে ছিলেন-মাহবুব আহমেদ, আমিনুল গণি টিটু, শহিদুল ইসলাম সরদার, আজিজুর রহমান দুলু, রেজাউল করিম সরকার, ফারুক আহম্মদ, শ্রী প্রাণনাথ প্রমুখ। তারা এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

এছাড়া রায় ঘোষণার পর আসামির স্বজনদের কান্নায় আদালতের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্নার মা কুলসুম আরা শেলী বলেন, ঘটনার দিন মুন্না আমার সঙ্গে ওর এক কাজিনের বিয়েতে ছিল। তারপরও ওর কেন সাজা হলো বুঝতে পারছি না। মেহেদী হাসান রবিন (আসামি) ঘটনার বিষয়ে ওকে জানায়।

বিয়ে বাড়িতে থাকার কারণে সে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। পরদিন ভোরে সে ঢাকায় আসে। এরপর সন্দেহভাজন হিসাবে ওকে গ্রেফতার করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, ওকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেবে। তিনি বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করছি, সেখানে ন্যায়বিচার পাব।

মামলা, তদন্ত ও বিচার: ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের গেস্টরুমে আসামিরা সভা করে বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরারকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ নভেম্বর আদালতে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চার্জশিটে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে ১১ আসামি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

বাকি ১৪ জনকে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ততার কারণে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আসামিদের মধ্যে ৮ জন আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গত বছরের ২১ জানুয়ারি এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। ওই বছরের ১৮ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলাটি বদলির আদেশ দেন। ২২ মার্চ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

এরপর গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ৫ অক্টোবর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। চলতি বছরের ২৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু হয়। ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিন বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। আর ২৮ নভেম্বর রায় প্রস্তুত না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় রায় ঘোষণার জন্য এদিন (৮ ডিসেম্বর) ধার্য করা হয়।

রায় দ্রুত কার্যকর দাবি : আবরার হত্যার রায় দ্রুত কার্যকর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বুধবার সন্ধ্যায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়া ও ঢাবি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন-কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমতুল্লাহ, সহ-সভাপতি সোহেল মৃধা, নাহিদ উদ্দিন, রেদোয়ান উল্লাহ, ফরহাদ হোসেন, নাজমুল হাসান, জহির ফয়সাল, সানাউল্লাহ প্রমুখ।

একনজরে আবরার হত্যা মামলা
*     ৫ অক্টোবর ২০১৯    :    সভা করে হত্যার সিদ্ধান্ত
*     ৬ অক্টোবর ২০১৯     :    আবরারকে হত্যা
*     ৭ অক্টোবর ২০১৯     :    থানায় মামলা দায়ের
*     ১৩ নভেম্বর ২০১৯    :    ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট
*     ২১ জানুয়ারি ২০২০    :    আদালতের চার্জশিট গ্রহণ
*     ১৮ মার্চ ২০২০    :    মামলাটি বদলির আদেশ
*     ২২ মার্চ ২০২০    :    মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ
*     ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০    :    ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন
*     ৫ অক্টোবর ২০২০    :    সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
*     ২৩ আগস্ট ২০২১    :    সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
*     ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১    :    যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু
*     ১৪ নভেম্বর ২০২১    :    যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ
*     ৮ ডিসেম্বর ২০২১    :    রায় ঘোষণা
বিচার শুরুর ১ বছর ২ মাস ২৪ দিন পর রায় ঘোষণা

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top