সিডনী শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


ঢাকাসহ সারা দেশে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প


প্রকাশিত:
২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৭

আপডেট:
১০ মে ২০২৪ ২৩:১৯

 

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এটি অন্তত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল কুমিল্লা বলে গুগলের অ্যানড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম থেকে জানা যায়।
অন্তত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হ‌ওয়া এই ভূমিকম্পে রাজধানীতে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন।

গুগলের অ্যানড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৫ দশমিক ২ মাত্রার ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এ দিকে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) ও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৫।

তবে দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ঢাকা থেকে ৮৬ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের হানুবাইশ গ্রামে।

ভারতের ভূমিকম্প বিষয়ক সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে হ‌ওয়া ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৫৫ কিলোমিটার।
.
ছবির সূত্র : ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি

এদিকে রাজধানীর বাইরে রায়পুরা, ভোলা, খুলনা, কোটালীপাড়া, চট্টগ্রাম, দেবীদ্বার, ঝালকাঠি, বরগুনায় তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার প্রতিনিধিরা। তবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরেই মোট ১০টি ভূমিকম্প দেখেছে দেশ। প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি।
৩ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্পে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের পাশাপাশি কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলাও। এরপর আরো ৯টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এসব ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৫ কিলোমিটার। ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের আসাম রাজ্যে ৪ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলা।

এ ছাড়া ২৯ আগস্ট সিলেট মহানগরীর আশপাশ এলাকায় ৩ দশমিক ৫ মাত্রার মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জৈন্তাপুরে ছিল এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।

১৪ আগস্ট সিলেটে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। একই সঙ্গে ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায়ও এটি অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের মেঘালয়, গভীরতা ছিল ৩৫ কিলোমিটার।

গত ১৬ জুন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জ, মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫।

এর আগে ৫ জুন ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে বঙ্গোপসাগরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের কাছে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে।

ঠিক এর এক মাস আগে গত ৫ মে রাজধানীতে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার সিটি সেন্টার থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে দোহারে।

এ ছাড়া গত ৩০ এপ্রিল চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ৪ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বাংলাদেশের কক্সবাজারেও ভূকম্পন অনুভূত হয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top