সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০৪

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:৪৮

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা একদিকে যেমন মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি; এর বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এগুলো সমাজকে নষ্ট করে, ধ্বংস করে। কাজেই সমাজ থেকে এই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি; এটাও প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষের অধিকার নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন কাজ করে গেছেন। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদের সরকারও মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে। আমরা যেকোনও অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ জানাই। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অপরাধী যেই হোক, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আমরা মানবাধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধেও লড়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর ঘটনার বিচার চাইবার অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী হয়েছিল, নারীদের সম্ভ্রমহানি করেছে, মানুষকে হত্যা করেছে সেইসব অপরাধীকেও পুরস্কৃত করা হয়েছিল। রাজনীতি করার অধিকার ও সংসদে সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল তাদের। তবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এসব অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার কাজ করছে।

মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তরুণরাই তো এদেশের আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই গড়ে তুলবে বাংলাদেশ এবং তারাই এই অভিযাত্রাকে আরও বেশি গতিবেগ এনে দেবে।

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত অত্যাচারের নিন্দা জানিয়ে এবং সংকট সমাধানে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর যে বর্বর অত্যাচার চালানো হয়েছে, তা দেখে মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে হয়েছে। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।

‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রাম- ইউএনডিপি’র সহায়তায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top