সিডনী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১


আস্থার রাজনীতি করতে হবে ছাত্রলীগকে: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
৫ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:১৫

আপডেট:
৬ জানুয়ারী ২০২০ ০২:২৫

কবুতর উড়িয়ে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদর্শ ও নীতি ছাড়া কোনোদিন নেতৃত্ব তৈরি হয় না। নীতি ছাড়া কেউ কোনোদিন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জাতিকে কিছু দিতে পারে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য অবদান রাখতে পেরেছিলেন। কারণ তার মধ্যে নীতি ও আদর্শ ছিল।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানিদের একটা প্রবণতা ছিল আমাদের সবকিছু কেড়ে নেয়ার। তারা শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলতে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা ফরমান জারি করেছিল যে, বাংলা অক্ষর পরিবর্তন করে আরবি হরফে বাংলা ভাষা লিখতে হবে। এর বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম ছিল তা ছাত্রলীগকে দিয়েই শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। এরপর যে সংগ্রাম হয়েছে সেখানে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের কাজ বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের ওপর অর্পণ করতেন। জয়বাংলা স্লোগানের মাধ্যমে মানুষকে জাগ্রত করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন ছাত্রলীগকে।

শেখ হাসিনাকে ছাত্রলীগের ব্যাচ পরিয়ে দিচ্ছেন এক ছাত্রলীগ নেত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল উল্লেখ করে বাঙালি জাতির ইতিহাসে ছাত্রলীগের নানা অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ নানা সংগ্রামে ছাত্রলীগের অবদানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিক থেকে ভাবতে গেলে ছাত্রলীগই মুরুব্বি সংগঠন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পায়রা উড়িয়ে, পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জ্যেষ্ঠ নেতা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ আলী।

ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি ও সেক্রেটারী

‘ভারমুক্ত হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জয় ও লেখক

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদ দুটি অবশেষে ‘ভারমুক্ত’ হলো। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাদের ভারপ্রাপ্ত পদ ভারমুক্ত করেন। এখন থেকে পদ দুটি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিবেচিত হবে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত। এ বিষয়টি ছাত্রলীগের জন্য কেমন কেমন জানি লাগে। তিনি ছাত্রলীগের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদটি ভারমুক্ত করার অনুরোধ জানান।

ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি তাদের ভারপ্রাপ্ত পদকে ভারমুক্ত করেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাকে নিয়ে লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুরোধ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদকে ভারমুক্ত করতে। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভারপ্রাপ্ত থেকে ভারমুক্ত ঘোষণা করলাম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন ভারমুক্ত। জয় ও লেখক এখন পূর্ন সভাপতি ও সেক্রেটারী বলে এসময় তিনি উল্লেখ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top