সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃত বেড়ে ৪৯২, আক্রান্ত ২৫ হাজার


প্রকাশিত:
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:৫৫

আপডেট:
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:০৮

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: সরকারি হিসেবে চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পাঁচশোর কাছাকাছি পৌঁছেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চীনের স্বাস্থ্য কমিশন নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯২ জনে। আর আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪ হাজার ৩২৪ জনে। এছাড়া লাখ লাখ মানুষকে ঘরের অভ্যন্তরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে বেইজিং।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে একদিনেই আরও ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার চীনে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৮৮৭ জন।

চীনের মূল ভূ-খণ্ডের বাইরে এখন পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত দুইজন। মঙ্গলবার হংকংয়ে ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। তিনি কিছুদিন আগেই করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ফিরেছিলেন। এর আগে, গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে মারা যান উহানফেরত আরও একজন।

এদিকে, জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রমোদতরীতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ এই ১০ জনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে ২৭৩ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা মাত্র ৩১টি ফলাফলের মধ্যে। প্রমোদতরীটিতে মোট যাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৭শ।

হংকংয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে অন্তত ১৭ জন। এ কারণে শহরটির সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি এয়ারলাইন্স কোম্পানি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত চীনের বাইরে অন্তত ২৪টি দেশে ১৭৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

চীনের ৩১টি প্রদেশের সবগুলো এবং বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীন ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে অনেক দেশ। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, চীনের নেওয়া নাটকীয় উদ্যোগে সংক্রমণ বন্ধের একটি সুযোগ তৈরি করেছে। ভাইরাস মোকাবিলায় আরও বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় অবহেলা ও ঘাটতির কথা স্বীকার করে নেয় চীনের শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো স্টান্ডিং কমিটির বৈঠকে উহান শহরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেখানে অতিরিক্ত চিকিৎসা কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ভাইরাস ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়া কর্মকর্তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top