সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


এই বাংলায় ফিরে ফিরে আসি : এনামুল হক টগর


প্রকাশিত:
২০ এপ্রিল ২০২২ ২১:৩৮

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৮

 

এই বাংলায় আমি তোমাদের মাঝে বার বার ফিরে ফিরে আসি,
নতুন কৃষক শ্রমিক ও ছাত্র আন্দোলনের চেতনায় ফসলের ধ্বনি।
আধুনিক সময়ের প্রয়োজনে আমি দৃঢ় দীপ্ত হয়ে উঠি আলোতে নতুন উদয় সুন্দর-
এই গ্রাম নগর ও পৃথিবীর ঘরে ঘরে আমি প্রাণের অধিকারে সাম্য গড়ি দীপ্তকর।
আমি নব নব বার্তা নিয়ে মানবতা ও সভ্যতার জ্ঞান ছড়াই দীর্ঘ সংস্কার।
আমি কখনো দক্ষ কর্মজীবী লাঙ্গল হাতে মৃত্তিকার বুকে আবাদ করি ফসলের স্বপ্নে বিভোর!
আমি কখনো অভিজ্ঞ শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের বন্ধু দক্ষ কাণ্ডার।
এই জন্মভূমি,এই মাটির পথে পথে আমি এক মহা-সাম্যের দীপ্ত আগামী।
নতুন চেতনার আলো ছড়াই জনম জনম মানবতার কল্যাণে মরমী।
অধিকার আন্দোলনে আমি মিছিল করি ন্যায্য দাবী আদায়ে সম্পদ বণ্টন প্রগতি।
আমি মুহূর্তে মুহূর্তে জেগে উঠি দৃঢ় দীপ্ত কর্মে দেশপ্রেমের সুগতি।
আমি আঁধারের গভীরে গিয়ে সন্ত্রাস দূর্নীতি ভাঙি লুটেরা মাদক মাতাল।
আমি জনপদ ও রাজপথের মিছিলে মিছিলে আর্দশ জীবন গড়ি শুভ সমুজ্জ্বল।
আমি নতুন পরিবর্তন সংগ্ৰামে মানবতার দাবিতে লড়াই করি প্রগতির।
আমি আহত বিক্ষত বেদনা ব্যথায় নিত্য ইতিহাস গড়ি জীবন মুক্তির।
আমি মানবতার যুদ্ধে শহীদের তালিকায় বিপ্লবী বীর তীক্ষ্ণ তরবারি।
অসহায়ের পক্ষে লড়াই করি জীবনের চলমান অধিকার।
আমি শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ মাইলফলক স্মৃতিশৌধ দীপ্তকর।
আমি ইতিহাসের মহাযোদ্ধা,আমি দক্ষ রাজনীতিবিদ মহাকালের আলো ও আঁধার!
আমি যুগে যুগে,আমি শতকে শতকে,আমি সহস্র বছর পর পর নতুন আবির্ভাব সংস্কার।
আমি কঠিন কালের অশুভ অশনি অন্যায় অবিচার ভেঙে গড়ে তুলি মধুময় সংসার।
আমি সর্বসময়ই ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই সাহসী এক তীক্ষ্ণ তরবারি কঠিন।
আমি নব নব রূপান্তরে আন্দোলন করি ভেঙে চুরে সভ্যতার ন্যায়পরায়ণ।
আমি অতীতে মাতৃভাষার অধিকার সংগ্ৰামে লড়েছি এক মহৎ দেশপ্রেমিক সুদূর।
আমি তরুণ যৌবনে স্বাধীনতার রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে এক বীর মুক্তিযুদ্ধো বাংলার!
আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি রাখাল রাজার দেশপ্রেম উত্তরসূরী।
আমি পুনরায় আরেকটি অর্থনৈতিক যুদ্ধের পরিবর্তন ও সংস্কারের চেতনায় দীপ্তকর।
আমি মুক্ত বার্তা বহনকারী নতুন দিনের নতুন রাতের নিপুণ মাঝি কাণ্ডার।
আমি বরযখ ইল্ল্যীয়ান ও সিজ্জিনের মধ্যবতী রহস্যভেদ গুপ্তজ্ঞানে বহুদূর-
আমি রূহের জগত থেকে ফিরে ফিরে আসি ঘরবাঁধি জীবন মানবতার সংসার!
আমি পৃথিবীর পুলসিরাতের পথে পথে হেঁটে যাই সরল বিশ্বাসী আগামীর।
আমি কালে কালে শোষিতদের কথা ভেবে ভেবে থমকে দাঁড়াই নতুন যুদ্ধের উত্তরসূরী।
আমি ক্ষুধামুক্তির বাসনায় বার বার আন্দোলন করি আধুনিক সেবা কল্যাণ সভ্যতার।
আমি সমকালের বিপ্লবী বিশোধন আলোকপ্রাপ্ত সুফি রাজ্যে আলো দীপ্তিময়।
আমি অসৎ আমলা,কঠিন সন্ত্রাসী ও ভণ্ড রাজনীতিবিদদের রুখে দেই কঠিন সময়।
আমি কল্যাণে,আমি কখনো নিষ্ঠুর নির্মম আঘাতে আঘাতে ধ্বংস করি অশুভ আঁধার।
আমি প্রতিরাতে চন্দ্র ও নক্ষত্রের সাথে জেগে উঠি আসমানে দূর বহুদূর দীপ্ত!
আমি ন্যায়পরায়ণ প্রতিঘাত প্রতিরোধকারী নিহারিকা শিখার মতো জ্বল জ্বল জ্বলন্ত!
আমি রাত শেষে নতুন প্রভাতের সূর্যকিরণ ও পাখির ডাকে বিপ্লবী চৈতন্য বহমান নদীর তরী!
আমি সুদূর পৃথিবীর প্রান্তরে প্রান্তরে হেঁটে যাই কর্ম করি আবাদে শস্য উৎপাদন করি সুন্দর।
আমি নব্য সংস্কারক ইতিহাসের পথে পথে আধুনিক পণ্য আবিস্কার করি দক্ষ কারিগর।
যেখানেই অন্যায় মাদক নেশা,দূর্নীতি সন্ত্রাস ব্যাভিচার ও কঠিন আঁধার,
সেখানেই আমার জন্ম ন্যায়পরায়ণ যুদ্ধ অধিকারের জন্য ভেঙে চুরে নতুন সংস্কার।
সেখানেই আমার রক্তক্ষয়ী কঠিন সংঘর্ষ প্রতিরোধ গড়ে তুলি শান্তি ও সভ্যতার।
আমার সাথে জেগে ওঠে নজরুল সুকান্ত জীবনানন্দ দাশ শামসুর রাহমান সুদূর।
কালে কালে আমার সাথে জেগে ওঠে লালন শাহ বিশ্ব কবি রবি ঠাকুর।
আমি ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পবিত্র রক্তে মিশে মিশে বিদগ্ধ দেশপ্রেমিক।
আমি অমর ভাষা সৈনিকের দীপ্ত জয়গান রফিক শফিক সালাম বরকত বিবেক।
আমি যুদ্ধ শেষে বীরাঙ্গণা বাঁশীর সুরে দেশপ্রেমের গান করি শহীদ জননীর ডাক।
আমি কৃষাণ ও কৃষাণীর রূপ ধরে পৃথিবীর মাটিতে নতুন নতুন খামার গড়ি সোনার ভাণ্ডার।
আমি শতকের পর নতুন শতকে মধুময় রাখালের সুরেলা বাঁশি ও দীপ্ত সুরকার।
আমি প্রেমশিখা পরম আনন্দে স্বর্গ শান্তির স্থিতি গড়ি অমৃত সুধা প্রিয়তমার সংসার।
আমি সাগর পাড়ি দেওয়া অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার এক চৈতন্যে নিপুণ নাবিক।
আমি বিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময় মাঝি, সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে নিপুণ কারুকার্যে নতুন সাম্যের ডাক!
আমি কর্ম শেষে চলে যাই দূর বহুদূর ঐ আসমান ঠিকানায় নির্বাক!
আমি বার বার ফিরে ফিরে আসি আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাম্য বিপ্লবী!
আমি বার বার ফিরে ফিরে আসবো জুলুমের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধকারী বিপ্লবী!
আমি প্রতিটি ঘাটে ঘাটে ও বন্দরে বন্দরে নোঙর করি দারিদ্রমুক্তির অগ্ৰদূত।
আমি বার বার ফিরে ফিরে আসি আদবে গৌরবে শান্তির দূত।
আমি বার বার ফিরে ফিরে আসি জীবন থেকে জন্ম প্রজন্ম নতুন!
আমি বার বার ফিরে ফিরে আসবো সেবা ও কল্যাণে মানবতার পরিবর্তন নিপুণ।
আমি পুনরায় ফিরে আসবো এই মাঠে রূপ রস জন সবুজ সোনালী বৈচিত্র্যময়!
আমি আধুনিক অভিজ্ঞতার কর্মে ফিরে আসবো সনাতন থেকে নতুন পরিচয়!
আমি পূণঃ পূণঃ ফিরে ফিরে আসবো এই ইছামতী এই মধুমতি প্রকৃতির বাংলায়!
আমি ফিরে ফিরে আসবো এই পদ্মা,এই মেঘনা,এই যমুনার সৌন্দর্য গৌরব হেথায়!
আমি ফিরে ফিরে আসবো এই জন্মভূমি এই মাতৃভূমির আলোতে জীবন উদয়।
আমি সংগ্ৰামী,আমি বিপ্লবী,আমি দেশপ্রেমিক আমি চেতনাতে বাঙালি বিশ্বময়।

 

এনামুল হক টগর
কবি ও সংগঠক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top