সিডনী বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


সেই ফিরে এলে তুমি : বটু কৃষ্ণ হালদার


প্রকাশিত:
২৩ জুলাই ২০২০ ২২:৪৬

আপডেট:
২৩ জুলাই ২০২০ ২৩:০০

 

সময় প্রায় পৌনে পাঁচ টা, আজ সকাল থেকে আকাশের মুখ টা কেমন ভার ভার।বিকালে মেঘ ঘনিয়ে আসে পশ্চিম সীমান্ত থেকে। এক পশলা বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় ও হয়েছে বেশ তবে সন্ধ্যার সময় অনেকটা ভালো আকাশ টা।

প্রতিদিনের মতো সে লাল পেড়ে শাড়ি পরে গলায় আঁচল ঝুলিয়ে সন্ধ্যা বাতি দেখায়।আজও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয় নি সারা ঘরে প্রদীপ দেখিয়ে সদর দরজা খুলে তুলসী তলায় প্রদীপ দেখাতে যাবে এমন সময় ঠক ঠক দরজায় কে যেনো ধাক্কা দেয়

আসছি দাঁড়া ও......

কে রে বাবু ফিরে এলে নাকি? দরজা টা খুলে দেয় মানসী।

দরজার সামনে একটা লোক দাঁড়িয়ে আছে, কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, এক গাল দাড়ি, পরনে পুরোনো রং চটা প্যান্ট, জামা, মুখ খানি অতটা বোঝা যাচ্ছে না। 

কাকে চাই.... আপনি কোথা থেকে আসছেন? মানসী জিজ্ঞেস করে।

লোকটি বাক রুদ্ধ, শুধু তার দিকে চেয়ে থাকে।

মানসী বিরক্তির স্বরে প্রশ্ন করে, কাকে চাই বলবেন তো? নির্মল তো এখনো বাড়ি ফেরেনি তাই, আপনি এখন আসতে পারেন।

লোকটি উদাস নয়নে মানুষের হাতে সাজানো ডালায় জ্বলন্ত প্রদীপ এর দিকে তাকিয়ে থাকে।

এবার সে বিরক্তি প্রকাশ করে বলে,আপনি যাবেন নাকি আমি লোক ডাকবো যান এখান থেকে।

লোকটি মাথা নীচু করে পিছন ফিরে যেতে গিয়ে ও ঘুরে দাঁড়ায়। আলতো স্বরে জিজ্ঞেস করে,

তুমি কেমন আছো মানসী?

সেই চেনা কণ্ঠস্বর, হতবাক হয়ে যায়,

এক পলকে মানসীর হঠাত কেমন মাথা ঘুরে যায়, আলতো বাতাসের দোলায় মাথার ঘোমটা নেমে যায়, প্রদীপ খানি নিভে যায়, তার হৃদয়কে সংযত করে বলে, রজত তুমি?

কি মনে করে আবার আমাকে বিরক্ত করতে এলে, তাও আবার সূর্যের আলো নিভে যেতে। আমারই ভুল, দিনের আলোয় বা কিভাবে আমার সামনে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে তাই না, সাহস হয় নি কলিং বেল টা হাত দেবার, তাই দরজা টা ধাক্কা দিচ্ছএমনে ভাবে, আর দেবে বা কিভাবে, সে মুখ কি আর আছে তোমার? 

রজত আবার জিজ্ঞেস করে,তুমি কেমন আছো? 

দেখে কি মনে হচ্ছে তোমার, আর এতো বছর পর বা তুমি কেনই বা এলে কাল বৈশাখীর মতো আমার জীবনে ফিরে এলে? তোমাদের রং মাখা মুখোশধারী সমাজ থেকে আজ আমি বহু দূরে চলে এসেছি তবু ও তুমি শান্তি দেবে না বলো? যখন খবর নেবার ছিল, তখন তো কাপুরুষের মতো লেজ তুলে কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে? 

হারিয়ে নয়, একটা ধর্ষিতা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে তোমাকে অনেক কথা শুনতে হবে তার ভয়ে পালিয়ে গেলে তাই না, কে দিব্যি দিয়েছে আমার খবর নেবার, চলে যাও এখান থেকে... 

অবাক ভাবে রজত জিজ্ঞেস করে,আমার কোনো কথাই তুমি শুনবে না তাহলে?

আমি ও তো অনেক কথা বলতে চেয়েছিলাম, হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে চোখ খুলতেই তোমার মুখটা দেখতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম তুমি হয়তো আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে, যাক গে, সেদিন তুমি বাড়ি গিয়ে আমার খুব উপকার করেছিলে।

দয়া করে একবার আমার কথা তো শুনবে রজত অসহায় তাকে প্রশ্ন করে।

চাই না শুনতে, মনে পড়ে সেই সরস্বতী পূজার দিনের কথা, কত আশা ছিল মনে, চোখের তারায় ছিল স্বপ্ন, তোমার বুকে মাথা রেখে কতো স্বপ্ন দেখেছিলাম, মনে আছে তোমার,আমি শাড়ি পড়তে জানতাম না,

 তুমি বলেছিলে হলুদ রঙের শাড়িতে আমায় খুব সুন্দর মানাবে, তাই সেদিন তোমার কথা রাখতে খুব সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে, স্নান করলাম, পারলাম তোমার পছন্দের হলুদ রঙের শাড়িটা, চোখে কাজলের ছটা আর হাল্কা লাল রঙের টিপ, সারা কলকাতা ঘুরে সন্ধ্যায় ফিরছিলাম ।

মনে পড়ে সেই দিনের সন্ধ্যা বেলার কথা। সময় সন্ধ্যা প্রায় ৮ টা, সারা শহর জুড়ে ঢেকে গিয়েছিল আঁধারে, শহরের বুক জুড়ে ধেয়ে এসেছিল বৃষ্টি, তোমার হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলে ছিলাম ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মাঝেও। জায়গাটার নাম বারাসাত। গ্রামের ভিতর দিয়ে একটা কাঁচা পাকা রাস্তা দিয়ে আমরা হেঁটে আসছিলাম। রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল বন্ধ হয়েছিল, বৃষ্টির জন্য গাড়ি- প্রায় বন্ধ। সে নির্জন রাস্তা ধরে আমরা  চলেছিলাম স্টেশনের দিকে। হঠাৎ রাস্তার পাশে একটা ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসে বেশ কিছু হায়েনার দল। যারা খুব সস্তায় বাংলা মদের বোতলে নিজেদের জীবনকে বিকিয়ে দিয়েছে। তোমার চোখের সামনে কিছু নরপশু আমার শরীরটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করলো'

চুপ করো প্লিজ চুপ করো, আমি আর শুনতে চাই না এসব কথা,

কেন চুপ করব? তোমার কাপুরুষত্ব প্রকাশ পাচ্ছে তাই?

এ সময়ে হটাৎ একটা বাচ্চা ছেলে ছুটে আসে,

মা ও মা..... 

কিরে পড়া হয়ে গেছে? 

হাঁ, তুমি এখানে দাঁড়িয়ে কি করছ? ছেলে জিজ্ঞাসা করে 

মানসী ছেলেকে বলে তুমি ভিতরে যাও, আমি একটু পরে আসছি, বাবা

আচ্ছা, সে ঘরের ভিতরে চলে যায়, 

এই বুঝি তোমার ছেলে? রজত জিজ্ঞেস করে।

হ্যাঁ, মানসী ঘাড় নাড়ে,

কি নাম ওর, ভীষণ মিষ্টি দেখতে হয়েছে, একদম তোমার মত।

ওর নাম,সবুজ, 

কোন ক্লাসে পড়ে? 

ক্লাস নাইন এ। ও যাইহোক তুমি এখন আসতে পারো।আর শোনো কোনো দিন যেনো তোমাকে এখানে আর না দেখি। আমি যেমন আমার জীবন টা গুছিয়ে নিয়েছি, তুমি ও সব কিছু ভুলে গিয়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেষ্টা করো, দয়া করে বুঝতে পারছো আমার কথা।

রজত বলে, আমার সম্বন্ধে তোমার এমন ধারণা, যে ওই সময় আমি তোমাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছি, বেশতবে সবটুকু না শুনে আমি যাব না, আগে তোমার কথা শেষ করো, তার পর বলবো আমার কথা। আমার কথা যে তোমাকে শুনতেই হবে, তবে কথা দিচ্ছি এরপর আর কোনোদিন তোমার সামনে আসব না। তারপর, কি হোল বলো দয়া করে আমি ও জানতে চাই সবকিছু। 

মানসী বলে, যখন চোখ খুললো দেখি হাসপাতালের বেডে, ভেবেছিলাম তুমি হয় তো আমার পাশে বসে আছো, আমার মাথা তোমার বুকে টেনে নেবে, আর বলবে আমি আছি তোমার পাশে, কিন্তু না, স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন হয়ে রয়ে গেল, চেয়ে দেখি বাবা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, চোখের জল মুছিয়ে দিচ্ছে, বলছে কাঁদিস না মা, আমি তো আছি, আমি শক্ত করে বাবার হাত দুটি চেপে ধরার চেষ্টা করি ।

 মা, পাশ থেকে বলছে সব সর্বনাশ হয়ে গেলো, কি করে সমাজে মুখ দেখাব। একে একে অনেকই আসছে দেখতে, কিন্তু এমন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, যেনো আমি অপরাধী, আর ওরা...... 

 চার পাঁচ দিন পর আমাকে বাড়িতে নিয়ে গেলো, ও তার মাঝে পুলিশ এসে বয়ান নিয়ে যায়, বাড়িতে ফিরলাম বটে, কেউ কথা বলতে চাই তো না, অনুষ্ঠান হলে আমার বাইরে আসা নিষিদ্ধ ছিল, পাড়া প্রতিবেশীরা কেনো আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন না তা নিয়ে মায়ের বেশি চিন্তা ছিল, আমার জন্যে নয়, শুধু আমার বাবা আমার পাশে ছিলেন সব সময়, বলতেন ওটা একটা খারাপ সময়, ভুলে যা মা, বাঁচতে শেখ নতুন করে। দিনের আলোয় চেনা জগত কেমন অন্ধকারে ডুবে যেতে লাগলো, আস্তে আস্তে আমি আবদ্ধ হয়ে যেতে লাগলাম, শেষমেস বাবার অনুমতি নিয়ে চলে এলাম শিলিগুড়িতে এক বান্ধবীর সহায়তায় সেলাই ট্রেনিং স্কুল এ জয়েন করি, আর একটা মেয়েদের হোস্টেলে থাকতে লাগলাম, এই সেলাই স্কুল এ আমার সঙ্গে পরিচয় হয় ভগবান নির্মল এর সঙ্গে, যে আমাকে সব কিছু জেনে শুনে ও এমনে সুন্দর এক জগত দিয়েছে, দোহাই তোমার এবার চলে যাও, আমি যেমন সব কিছু ভুলে গেছি, তুমি ও ভুলে যাও।

সব কিছু ভুলতে পেরেছ তো মানসী? তাহলে এক বাক্যে আমাকে এতদিন পর ও চিনে নিলে কিভাবে, কারণ, আমি আমাকে চিনতে পারি না এখন, উত্তর আছে কিছু? 

মানসি মাথা টা নিচু করে নেয়।

ঘরের ভিতর দিয়ে আওয়াজ আসে, মা ও মা 

তোমার ছেলে ডাকছে তুমি যাও, আমি ও আসি, ভালো থেকো, একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সোজা পিছন ফিরে চলে যায় রজত ।

মানসি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সোজা ঘরে চলে যায় ।

রাত প্রায় দুটো বাজে ঘড়িতে অ্যালার্ম পড়ে, মানসি ডাইনিং রুমে পাইচারি করতে থাকে, নির্মল ঘুম ভেঙে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে মানসী পায়চারি করছে।

নির্মল জিজ্ঞেস করে এতো রাতে এখানে, ঘুম আসছে না বুঝি, শরীর ভালো আছে তো?

আরে কিছু হয়নি আমার,তুমি শুয়ে পড় আমি একটু পরে আসছি। 

নির্মল আবার শুয়ে পড়ে, পায়চারি করতে করতে মানুষই একটা হেলান দেয়া আছে আর এ বসে পড়ে। সামনে দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কি যেন ভাবতে থাকে।.... 

সকাল হতে না হতে সব কাজ সেরে, ছেলেকে তৈরি করে দেয়, নির্মল তিন রাস্তার মোড়ে ছেড়ে দিয়ে আসে ওখানে স্কুল বাস দাঁড়িয়ে থাকে। সে তিন রাস্তার মোড়ের কিছু দেখি একটা বটগাছ আছে। সেখানে বহু লোকের ভিড় জমেছে।নির্মল ছেলেকে বাসে তুলে দিয়ে সেই দিকে এগিয়ে যায়। তবে ডিউটি যাওয়ার তাড়াতে সেখানে সে বেশিক্ষণ দাঁড়ায়নি। এটুকু জানতে পারে ওই বটগাছের কাল রাতে একজন গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। 

নির্মল বাড়ি ফিরে বলে, জানো আজ  মোড়ের মাথার পিছনে বটগাছ টায় কাল রাতে একজন গলায় দড়ি দিয়েছে। 

মানসী জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে? 

আরে একটা পাগল ওই বড় গাছটায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, আর একটা ডায়েরি ও পাওয়া গিয়েছে। তাতে অনেক কিছু লেখা আছে, থানা থেকে পুলিশ এসে লাশটাকে তুলে নিয়ে গেছে সঙ্গে ডায়েরি টাকে ও ।

মানসী কেমন আঁতকে ওঠে, সে ডাইনিং টেবিলে এর সামনে পাখা টা চালিয়ে বসে, তখন ও ঘাম হচ্ছে খুব, ধীরে ধীরে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে।

নির্মল অফিস এর জন্যে তৈরি হয়, তাকে এভাবে দেখে জিজ্ঞেস করে,তোমার কি শরীর টা খারাপ করছে, যাবে ডাক্তারের কাছে, আমি কি ছুটি নেবো? 

মানসী ইতস্তত ভাবে উত্তর দেয়,আরে না, না তেমন কিছুই নয়, হয় তো প্রেসlরটা একটু বেড়েছে, গরম টাও তো বেড়েছে তাই না, তুমি সাবধানে যাও,আমার নিয়ে এত চিন্তা করো না প্লিজ । 

তাহলে আমি আসি, তুমি সময়ে খাবার খেয়ে নেবে আর তাড়াতাড়ি কাজ সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে নেবে ওকে বাই, নির্মল বেরিয়ে যায়।

বাই, বাই...... 

মানসি তাড়াতাড়ি পরনের কাপড় টা বদলে নেয়, তারপর মেন দরজা টা লক করে বেরিয়ে যায়। তিন রাস্তার মোড় দিয়ে অটো ধরে থানায় পৌঁছায় মানসী। 

থানায় গিয়ে বড় বাবু কে সে বলে মৃত লোকটির আত্মীয়, অনুরোধ করে ডায়েরি খানা নেয়, বাইরে পাতা চেয়ারে বসে সে ডায়েরি টা র পাতা উল্টায়, প্রথম পাতায় লেখা "মানসী তোমার জন্যে হেঁটেছি অনেকটা পথ, তবু ও পায় নি শেষ প্রান্তের সন্ধান,  তুমি ভালো থেকো"। 

একটা চিঠি ও ছিল তার সঙ্গে লেখা আছে আমি মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে এই পথ অবলম্বন করি, আমার মৃত্যুর জন্যে কাউকে দোষারোপ করা না হয়।

অন্য পাতায় লেখা ছিল কাল তোমাকে দেখলাম তুমি খুব সুখে আছো, এই দিনটার জন্যে অনেক দিন জেলের কাল কুটিরে অপেক্ষা করেছি।গত কাল সকালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আমি সবার প্রথমে তোমার খবর নিতে থাকি, অবশেষে জানলাম তোমার বিয়ে হয়ে গেছে শিলিগুড়ি তে, ঠিকানা টা কোনোমতে জোগাড় করে রওনা দিই তোমার উদ্দেশ্য, বুঝলাম তুমি আমাকে এখনো ভুলতে পারেlনি, তবে আমার কোনো কথা তুমি শুনলে না, যাই হোক সব লিখে গেলাম তোমার জন্যে, পারলে পড়ে নিও, আর আমাকে ক্ষমা করে দিও, পরের পাতায় লেখা ছিল, ঐদিন আমি জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে শুয়ে আছি, মাথায় ব্যান্ডেজ, মাথাটা প্রচন্ড যন্ত্রণা করছে, বেডের সামনে আমার বাবা,  মা আর কয়েকজন ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল, জানতে পারলাম তোমার সাথে এই নোংরা কান্ড যারা করেছে তাদের মধ্যে একজন ছিল কোনো এক নেতার ভাই, আমাকে হুমকি দেয় যদি পুলিশের কাছে যাই, তাহলে আমার বোনকে ও এই অবস্থা করবে, আমার বৃদ্ধ বাবা হাত জোড় করে বলে ওরা যা বলছে মেনে নে, আমি নিরুপায় হয়ে মেনে নিলাম সবকিছু, একটা সাদা কাগজে লিখিয়ে নেয়, এই ঘটনার জন্যে আমি দায়ী, তোমার বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমার দশ বছরের জেল হয়ে গেলো, রয়ে গেলাম অন্ধকারে, তোমার চোখে রইলাম অপরাধী হয়ে, কষ্ট এটাই  যে তুমি কিন্তু আমার খোঁজ করার চেষ্টা করো নি কোনো দিন শুধু অভিমান করেছো, তুমি ভালো থেকো, পারলে মন থেকে  ক্ষমা করে দিও এই অধম কে... 

মানসি ডায়েরিটা কে বুকে জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কাঁদতে লাগলো.......

 

বটু কৃষ্ণ হালদার
কবর ডাঙ্গা

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top