আমার না বলা অতীত : অমিতাভ হালদার
প্রকাশিত:
৩০ নভেম্বর ২০২০ ২১:৪০
আপডেট:
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৮
এই বার কবিতার ভুল ভেঙে জীবনের
নিস্তব্ধতায় দগ্ধ বেদনার বিষন্ন চিৎকার৷
এইবার মর্মাহত হৃদয়ের প্রত্যখ্যান
কুসুমিত একাকীত্বের পাখিদের মতো৷
তবু কেনো অবেলায় এসে চরণ চিহ্ন ফেলে,
আমার নির্মিত উঠোনের ইটে?
তবু কেনো? অসহন ব্যার্থতার বেদনায়
একাকী ভাসাতে আসে নির্ঝর?
এইবার কবিতার সব শব্দকে করে জড়ো
আমি বেদনার গান শুনাবো,
এবার সমাজ আর সামাজিকতার বাধা ভেঙে
আমি নতুনের গান শোনাবো৷
এবার বুনো হরিণীর গায়ের রঙে মেতে
আমি নতুনের আগমনি শুনি৷
এইবার বিষন্নতার অশ্রুতে মেখে
কোন কাব্য লিখে যাবে মানবিক মন?
দুমুঠো আড়াঁলে থেকে কোন পাখি শোনে গান?
কোন পাখি ধেয়ে আসে সূদুর পথে
কত রাত এভাবে একাকী হয়ে গেছে পার!
তবু সেই ক্রন্দন এখনতো বাঁজে আনমনা মনের ভেতর৷
এই বার শত গ্লানির পথচলা হলে
কে যেনো শূন্যতা লিখে দেয় আমাদেরই অনাগত চোখে৷
অজস্র জীবনের কন্টঁক হেরে অত:পর
এই নক্ষত্র তলে আমাদেরই আগমন হবে না হয়তো আর৷
এইবার ভুলে ভরা জীবনের অগণিত হাওয়া এসে
কুড়েঁ খায় আমার না দেখা শিশিরের মতোন৷
এইবার তবে মেঘেদের সাথে আমারো সন্ধি হোক,
ফুল–পাখিদের ভীরে এইভাবে আটকে যাক আমার না বলা অতীত৷
অমিতাভ হালদার
শিক্ষার্থী ও কবিতা লেখক
বিষয়: অমিতাভ হালদার
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: