সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ইংল্যান্ড ফিরে গেছে ১৮৯০ সালে!


প্রকাশিত:
১৭ জানুয়ারী ২০২২ ২৩:৪৬

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১২:৫৮

 

প্রভাত ফেরী: লক্ষ্য ছিল ২৭০ রানের, হাতে ছিল দুই দিনেরও বেশি সময় বা প্রায় ২০০ ওভার। হোবার্ট টেস্টটি জিতে অ্যাশেজ শেষ করতে তাই উইকেটে টিকে থাকাই ছিল ইংল্যান্ডের একমাত্র কাজ। সেই মিশনে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৮ রান যোগ করে দিয়েছিলেন জ্যাক ক্রলি ও ররি বার্নস।

মনে হচ্ছিল, আগের চার ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেড়েমুছে শেষ ম্যাচে হয়তো জয় পাবে ইংল্যান্ড। কিসের কী! বিনা উইকেটে ৬৮ থেকে পরে ৫৬ রানে পুরো ১০ উইকেট হারিয়ে বসে ইংলিশরা। ফলে ১৪৫ রানের বিশাল পরাজয়ে শেষ হয় তাদের এবারের অ্যাশেজ। সবমিলিয়ে হেরেছে ৪-০ ব্যবধানে।

পুরো সিরিজ জুড়েই ব্যাটিংয়ের কারণে ভুগেছে ইংল্যান্ড। ব্যাটারদের দৈন্যদশা এতোটাই যে, এটি ইংল্যান্ড দলকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে সেই ১৮৯০ সালে! অর্থাৎ ১৩২ বছর পর এতো বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখালো ইংল্যান্ড। মাঝের সময়ে ফল যেমনই হোক, ব্যাটিং এতটা বাজে ছিল না।

এবারের অ্যাশেজের পাঁচ ম্যাচে ইংল্যান্ড দলের ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১৯.১৮! যা কি না ২০০১ সালের পর যেকোনো দলের জন্য পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সর্বনিম্ন। এছাড়া অ্যাশেজ সিরিজে ১৮৯০ সালের পর এত কম ব্যাটিং গড় দেখলো ইংল্যান্ড। ১৩২ বছর আগের সেই অ্যাশেজে ১৫.৭৪ ছিল তাদের ব্যাটিং গড়।

ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতার হোবার্ট টেস্টে সবমিলিয়ে খেলা হয়েছে মাত্র ১৩১২ বল। যা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পুরো ৪০ উইকেট পড়া ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ১৮৮৮ সালের সিডনি টেস্টে খেলা হয়েছিল মাত্র ১১২৯ বল।

হোবার্টে দুই দলের চার ইনিংস মিলিয়ে পেসাররাই নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। অ্যাশেজের এক ম্যাচে পেসারদের নেওয়া সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড এটি। ১৯৮১ সালের লিডস টেস্ট ও ২০১০ সালের পার্থ টেস্টে ৩৮টি করে উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা।

উদ্বোধনী জুটিতে ৫০+ রানের পর মাত্র ১২৪ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। যা অ্যাশেজে ৫০+ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পঞ্চম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অ্যাশেজে ৫০+ রানের উদ্বোধনী জুটির পর এতো কম রানের দলীয় ইনিংস দেখা যায়নি।

এবারের অ্যাশেজেই অভিষেক হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পেসার স্কট বোল্যান্ডের। তিনি মাত্র ৯.৫৫ গড়ে নিয়েছেন ১৭টি উইকেট। টেস্ট ইতিহাসে অভিষেক সিরিজে অন্তত ১৫ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা গড় এটি। অভিষেক সিরিজে তার চেয়ে ভালো গড় ছিল নরেন্দ্র হিরওয়ানি (৮.৫০) ও চার্লি টার্নারের (৯.৪৭)।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top