সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

সিডনি ভ্রমণের স্মৃতি (দ্বিতীয় পর্ব) : আনিসুল কবীর


প্রকাশিত:
১২ জুন ২০১৯ ০৪:১৫

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২০ ২২:৩২

সিডনি ভ্রমণের স্মৃতি (দ্বিতীয় পর্ব)

 

প্রথম পর্ব যাদের পড়া হয়নি তাদের জন্য একটু ভূমিকা দিতে চাই। ২০১৭ সালের এপ্রিলের শেষে মাত্র ৩ দিনের জন্য সিডনি ভ্রমণ করেছিলাম। সিডনি শহর ভ্রমণের সময় আমি আমার বড় ভাই সাইফুল বারী বাবু ভাইয়ের ঘনিষ্ট বন্ধু সানি খান ওরফে রতন ভাইয়ের বাসায় উঠেছিলাম। রতন ভাইয়ের বাসা সিডনির শহরতলী কোয়েকার্স হিলে। রতন ভাই যেহেতু দুই যুগ ধরে সিডনির অধিবাসী এবং আমার জন্য পুরো ৩ দিন ছুটি নিয়ে রেখেছিলেন তাই উনার কল্যাণে খুব অল্প সময়েই সিডনির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে বেড়াতে পেরেছিলাম। আমার কাছের মানুষ মাত্রই জানে আমি ভ্রমণপাগল। তবে আমি নাম-কা-ওয়াস্তে দৌড়াদৌড়ি করে সব জায়গাতেই যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নই। অল্প কিছু জায়গা ভ্রমণের মাধ্যমেই সেই এলাকা বা শহর সম্পর্কে একটা প্রচ্ছন্ন ধারণা করা সম্ভব। আর আমি সেরকমটাই চাচ্ছিলাম রতন ভাইয়ের কাছে। আমার উদ্দেশ্য ছিলো সিডনি সম্পর্কে একটা প্রচ্ছন্ন ধারনা পাওয়া, এর চেয়ে বেশি কিছু ৩ দিনের জন্য কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু রতন ভাইয়ের পরিকল্পনা ভিন্ন। যতটুকু পারা যায় ঘুরাঘুরি করিয়ে ছাড়বেন ঠিক করেছিলেন।
আগেই বলেছি আমরা সিডনিতে প্রথম দিন দেখে বেড়িয়েছি সিডনির জগতবিখ্যাত সব ল্যান্ডমার্ক বা স্থাপনাসমূহ যেসবের জন্য সারা পৃথিবী সিডনি শহরকে চিনে। সিডনি অপেরা হাউস, সিডনি হারবার ব্রিজ আর সিডনির সেন্টারপয়েন্ট অবজারভেশন ডেক। এছাড়ার আশেপাশের কিছু দৃষ্টিনন্দন জায়গা, যেমন রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন, ইত্যাদি। সকালে উঠে দেখতে পেলাম রতন ভাই নাস্তা বানাতে ব্যস্ত। ডিমের ওমলেট বানাতে বানাতে বললেন আজকে তোমাকে নিয়ে যাবো সিডনির সি বিচ গুলো দেখতে। মাত্র ৩ দিনের জন্য আইসা তো আমাকে তো বিপদেই ফেলছো, কি দেখাব আর কি বাদ দিবো? আমি হাসি আর বলি অস্ট্রেলিয়া এতো বড় দেশ, যত দিনের জন্যই আসি না কেন, সব দেখা যাবেনা। যতটুকু পারবো দেখতে, আমি তাতেই খুশি। আর প্রথম দিনেই যা দেখছি তাতেই আমি খুব স্যাটিস্ফাইড। আর কিছু না দেখলেও আপসোস থাকবেনা। অপেরা হাউজের পোস্টকার্ড টাইপ যে ছবি তুলছি, দেখলে মানুষ অবাক হয়ে যাবে, এতো সুন্দর। রতন ভাই মজা করেন, আরে তুমি আর সিডনির দেখছো কি ! এক এক দিন দেখবা এক এক ধরনের জায়গা। ঠিক মতো দেখলে বাংলাদেশে নাও ফিরতে চাইতে পারো, হাহা।
নাস্তা করে সকাল সকাল বের হয়ে পরলাম সিডনির সমুদ্র সৈকতগুলো দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে। যদিও প্রথমদিন সিডনি অপেরা হাউস আর হারবার ব্রিজ দেখে মনে হয়েছিলো যে অস্ট্রেলিয়া সফরে অন্য কিছু আর না দেখলেও চলবে। কিন্তু যখন জানলাম সিডনির ভিতরে অনেক সুন্দর সুন্দর সমুদ্র সৈকত আছে, তখন আমার মনে নতুন করে আগ্রহ তৈরী হওয়া শুরু হলো। বন্ডি বা বন্ডাই বিচের নাম অনেক শুনেছি, আর টিভিতে টিএলসি বা ফক্স ট্রাভেল শো এর কল্যাণে বেশ কয়েকবার দেখেছিও। সেই আইকনিক বিচটা যে সিডনি শহরের মধ্যে সেটা আমার দূরতম কল্পনাতেও ছিলোনা। ব্যাপারটা মেঘ না চাইতে ঝড়ের মতো ব্যাপার।
যাই হোক, শুরুতেই গাড়ি নিয়ে আমরা কোয়েকারস্ হিল থেকে মূল শহরে চলে আসলাম। একটা সময় সিডনি অপেরা হাউস দেখা গেলো। সিডনি অপেরা হাউসকে বামে রেখে সিডনি হারবারের পাশের রাস্তা দিয়ে ডানে চলতে থাকলাম। হারবারে শত শত ছোট বড় নৌজান গিজ গিজ করছে যেন। দেখতে যদিও খারাপ লাগছিলো না। পানির উপর হাজার হাজার সাদা সীগাল যেন ভেসে আছে। গাঢ় নীল রঙের হারবারের মধ্যে সাদা সাদা বোট আর ইয়ট। আসলেই দেখার মতো সুন্দর একটা বিষয়। আমরা সিডনি হারবারের যে জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলাম সেখানে হারবারের কিনারা বা পাড় গুলো টিলার মতো উঁচু। ছবির মতো সুন্দর সব বাড়ি উঁিক দিচ্ছিলো হারবারের পাশের টিলা গুলোতে। রতন ভাই জানালেন, এসব বাড়ির দাম সাধারন বাড়ির চেয়ে অনেক বেশি। আমিও স্বীকার করলাম, এমন বাড়িতে থাকার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ করাই যায়। হারবারের নৌকার ছবি তোলার জন্য একটা জায়গায় গাড়ি থামানো হলো। পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে নৌজান ছাড়ার জন্য যেসব ল্যান্ডিং স্ট্যাশন টাইপ ঘাট থাকে, সেখানে দাড়িয়ে মোবাইল দিয়ে ২-৪টা ছবি তুললাম। পাশেই দেখি বেশ কয়েকটা সি-প্লেন পানিতে ভাসছে। বুঝলাম জায়গাটা মিলিয়নিরদের প্লে-গ্রাউন্ড টাইপ জায়গা। দামি ইয়ট, সি-প্লেনের ছড়াছড়ি। যাই হোক আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ওয়াটসন বে-Watsons Bay ।



যেখানে প্রথমে গাড়ি থেকে নেমেছিলাম, জায়গাটা সম্ভবত ডাবল বে। ডাবল বে থেকে ওয়াটসন বে তে যাওয়ার সময় রাস্তাটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠেছে। উৎরাইয়ের দিকে ধীরে ধীরে উঠার সময় সিডনি হারবারের অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য দেখে বারবার চমৎকৃত হচ্ছিলাম। উঠার সময় বামে হারবারের দৃশ্য আর ডানে খাড়া পাহাড়। পাহাড়ের ওপারে কি আছে দেখা যাচ্ছিলো না। রাস্তার পাশে একটা পার্কিংয়ের জায়গা দেখে রতন ভাই গাড়ি থামালো। উপরের দিকে ভিউ পয়েন্ট টাইপ একটা জায়গা দেখা যাচ্ছিলো। সিড়িঁ দিয়ে আমরা উঠে গেলাম। পাহাড়ের দেয়ালের উপরে উঠতেই পাহাড়ের ওপারের দৃশ্যটা যেন লাফ দিয়ে আমাদের চোখের সামনে এসে পড়লো। আমার মুখ দিয়ে বিস্ময়সূচক কি একটা যেন শব্দ বের হয়েছিলো। ভিউ পয়েন্টটা আসলে একটা পাহাড়ের কিনারায়। পাহাড়ের ওপারেই সোজা খাদ নেমে গেছে সমুদ্রে। রতন ভাই জানালেন সমুদ্র মানে হচ্ছে মহা সমুদ্র। প্রশান্ত মহাসাগর। সিডনি হারবারের নীলের চেয়ে এই মহাসাগরের পানি যেন আরও একধাপ বেশি গাঢ় নীল। একেবারে ডিপ-ব্লু সী যাকে বলে। সমুদ্র সোজা পাহাড়ে এসে বাড়ি খাচ্ছে। সমুদ্রের সাথে খুনসুটি আর ঝগড়াঝাটিতে পাহাড়ের গায়ে বেশ বড় বড় ক্ষত। কোন কোন জায়গায় সমুদ্র পাহাড়ের দেয়াল ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে গেছে। সবুজ শেঁওলা জমে আছে পাথরের উপর। অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা বলতেই হয়। জায়গাটার নাম ‘দ্যা গ্যাপ-ঞযব এধঢ়’। পৃথিবী বিখ্যাত একটা জায়গা। অতিরিক্ত সৌন্দর্যের একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, মাথা কাজ করেনা। আমি অনেকক্ষণ দাড়িয়ে একবার সিডনি হারবারের বোট ইয়ট দেখি, আরেকবার দ্যা গ্যাপের ক্লিফের খাঁজে খাঁজে প্রশান্ত মহাসাগরের পানির সংগ্রাম দেখি। বেশ অনেক্ষণ ঝিম ধরে দেখে টেখে আমাদের পরের গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করি।


আমাদের পরবর্তি গন্তব্য কুজি (Coogee) সমুদ্র সৈকত। কুজির আগেই খুব সুন্দর একটা লাইট হাউজ পড়লো রাস্তায়। রতন ভাই বললেন, এই লাইট হাউসটি অস্ট্রেলিয়ার সর্ব প্রথম এবং সবচেয়ে দীর্ঘদিন সেবা দিয়ে আসা লাইট হাউস। নাম The Macquarie Light house । লাইট হাউসটা খুব সুন্দর করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সাদা বেরঙর লাইট হাউসটা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পুরো এলাকাটাই খুব সুন্দর গাঢ় নীল আকাশের পটভূমিকায় লাইট হাউসটাকে আরও সুন্দর লাগছিলো। প্রকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে একটু ইতিহাস মেশানো সৌন্দর্যও দেখা হলো। ভালো লাগার মতো একটা জায়গা মনে হলো লাইট হাউসটাকে।


লাইট হাউস ছেড়ে আমরা কুজি সি বিচের দিকে নামতে লাগলাম গাড়ি নিয়ে। পাহাড়ের গায়ে সারি সারি বাড়ি। ভিতর দিয়ে ঘুরে ঘুরে আমরা নামতে থাকলাম। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না যে এই পাথুরে পাহাড়ের নিচে কিভাবে সমুদ্র সৈকত থাকতে পারে! রতন ভাই জিপিএস ব্যবহার না করেই কুজি বিচ খুঁজতে খুঁজতে কিছুটা সময় নিলেন। একটা সময় কুজি সৈকতে পৌছেও গেলাম। ছোট্ট একটা সৈকত। আমার দেখে হাসি পেয়ে গেলো। আমাদের ১০০ কিলোমিটার সৈকত নিয়ে হইচইয়ের কারন বুঝতে পারলাম। আর আমাদের কক্সবাজারকে আমরা কতটা অনাদরে বা বেশি আদরে নষ্ট করে ফেলছি মনে করে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললাম। ছোট সৈকত হলে কি হবে, খুব সুন্দর আর নিরিবিলি লাগলো জায়গাটা। রতন ভাই বললেন, শীত শুরু হয়ে গেছে, তারপর আবার ওয়ার্কিং ডে সেজন্য এতো বেশি নিরিবিলি লাগছে। সকাল থেকে ২-৪ টা জায়গা ঘুরে তখন দুপুর হয়ে গেছে বলে আমরা বিচ থেকে একটু দুরের একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করার জন্য ঢুকলাম। চমৎকার রেস্টুরেন্টের বাহিরেও বসার জায়গা আছে। বলতে ভুলে গেছি, মেঘে রোদ ঢেকে গেলেই বেশ ঠান্ডা লাগছিলো। আমরা ভিতর থেকে খাবারের অর্ডার দিয়ে বাহিরে কাঠের টেবিলে বসে রোদ পোহাতে থাকলাম। পাশেই গাছের নিচে কাঠবিড়ালির নাচানাচি দেখতে দেখতে খাবারের ডাক পড়লো। মাটন স্টেক আর ব্রেড দিয়ে লাঞ্চটা ভালোই হয়েছিলো। দামটা যদিও বেশ চড়া।


লাঞ্চ করেই আমরা রওনা দিলাম বন্ডি (ইড়হফর) বিচের দিকে। সিডনির এই একটা বিচের নামই আমি আগে থেকে জানতাম। রতন ভাই গল্প করলেন উনার বিয়ের পর ভাবিকে নিয়ে বন্ডি বিচের পাশে ভালো একটা হোটেলে ৩ দিন ছিলেন। আরও বললেন বন্ডি বিচের কাছাকাছি উনি একটা সময় থাকতেন ও। মুল সৈকতে পৌছানোর পর বুঝলাম যে এই সৈকত নিয়ে মানুষের এতো মাতামাতি কেন !


প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা সৈকতটি সাদা ঝকঝকে বালির চাদরের মতো। সৈকত থেকে ১০০ গজ দুরে গাড়ি পার্কিং, তারপর হোটেল মোটেলের সারি। নীল পানি আর সাদা বালুর সৈকতটাকে কেউ পছন্দ না করে পারবেনা। আকাশের সাথে পানির রঙ একেবারে মিশে আছে। সৈকতের শেষ মাথায় সুইমিংপুলসহ একটা রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে সমুদ্রের ঢেউ এসে বাড়ি খায়। যদিও আমরা একটু আগেই লাঞ্চ করেছি, তারপরও রতন ভাই আমাকে সুন্দর একটা স্মৃতি উপহার দেবার জন্য সমুদ্র সংলগ্ন রেস্টুরেন্টে কফি খাবার জন্য রওনা রাজি করালেন। কিন্তু কপালে ছিলোনা বোধহয়, সেদিন রেস্টুরেন্টের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ছিলো। প্রবল রোদে দাড়িয়ে কিছুক্ষণ ছবিটবি তুলে নিয়ে আমাদের সেদিনের মতো শেষ গন্তব্য লা-পেরুজের (খধ চবৎড়ঁংব) দিকে রওনা দিয়ে দিলাম আমরা।
La Perouse জায়গাটা অদ্ভূত। সিডনির প্রিয় জায়গা বলতে অনেকেই দেখি লা পেরুজের নাম বলে। ওখানে পৌছানোর ১ ঘন্টা পর থেকে সিডনির মধ্যে আমার পছন্দের জায়গাগুলোর মধ্যে লা পেরুজের নাম বসিয়ে দিলাম মনে মনে। বিশাল খোলামেলা জায়গা লা পেরুজ। এখানে একটা দ্বীপে বিশাল দুর্গ আছে। ক্যাপ্টেন কুক সর্বপ্রথম যে জায়গায় জাহাজ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অবতরণ করে সেটা লা পেরুজ থেকে দেখা যায়। লা পেরুজের বেয়ার আইল্যান্ড নামের ঐ দুর্গে হলিউডের মিশন ইম্পোসিবল সিনেমার শুটিং হয়েছিলো বলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের পদচারনা ঘটে জায়গাটিতে। আমরা যখন ওখানে পৌছাই তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল পড়েছে। বিকেলের অদ্ভূত আলোয় অপূর্ব লাগছিলো সব কিছু।


ছোট একটা ব্রিজ পেরিয়ে দুর্গ দ্বীপটির নিচে দাড়ালে পাথরের বিচিত্র কারুকাজ চোখে পড়ে পানির কিনারে। পুরোটাই প্রকৃতি সৃষ্ট। সারাদিনের দৌড়াদৌড়িতে আমরা বেশ ক্লান্ত ছিলাম। তার মধ্যে জায়গাটা এতো সুন্দর যে আমার আর কোথাও যেতেও ইচ্ছা করছিলো না। ফেসবুক লাইভ দিয়ে বন্ধুবান্ধবকে সরাসরি দেখিয়ে দিলাম লা পেরুজ। ডিএসএলআর আর মোবাইলে ছবি তোলা হলো বেশ কিছু। আরেকটা মজার দৃশ্য দেখলাম, ডজন ডজন সদ্য বিবাহিত জোড়ারা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার দিয়ে নিজেদের ছবি তুলছিলো দ্বীপ দূর্গটি পিছনে রেখে। লা পেরুজের নরম ঘাঁসের মধ্যে বসে থেকে আর উঠতেই ইচ্ছে করছিলো না। চোখের সামনে অসাধারন সুর্যাস্ত দেখেই রওনা দেয়া হলো রতন ভাইয়ের কোয়েকার্স হিলের বাসার দিকে।
দ্বিতীয় দিন রাতে রতন ভাই কথা দিয়েছিলেন বাংলাদেশী খাবার উনার স্টাইলে রান্না করে খাওয়াবেন। বাসায় গিয়ে রান্না করতে করতে গল্পগুজব শেষে খুব তৃপ্তি নিয়ে ডিনার করেছিলাম। তৃতীয় দিনের সফর ছিলো ছিলো খুব সংক্ষেপ। দুপুরে মেলবোর্ণের ফ্লাইট থাকাতে সকাল সকাল ঘুরাঘুরি শেষ করতে হয়েছিলো। তৃতীয় দিনের ব্লু মাউন্টেন ট্যুরের অংশটি না হয় শেষ পর্বের জন্য রেখে দিলাম।

 

লেখক: আনিসুল কবীর

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top