সিডনী মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১

সুদহার নয় শতাংশ এবং ছয় শতাংশ বাস্তবায়নে সরকার কঠোর


প্রকাশিত:
৩ জানুয়ারী ২০২০ ০১:১২

আপডেট:
১৪ মে ২০২৪ ১৯:৩০

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: সব ধরনের ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদ ছয় শতাংশ বাস্তবায়নে এবার সরকার কঠোর বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আগামী এপ্রিল মাস থেকেই আমরা আশা করি এটি বাস্তবায়িত হবে। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

বুধবার থেকেই ব্যাংক খাতে শিল্প ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করার কথা ছিল কিন্তু সেটা আবার এপ্রিল পর্যন্ত চলে গেল এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদ ছয় শতাংশ বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু প্রথম দিকে এটি আমরা ফেইজ ওয়াইজ বাস্তবায়ন করব বলে ধারণ ছিল।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা পরে দেখলাম যে, শুধু আমরা ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করি তাহলে অনেক ইন্ডাস্ট্রি বাদ পড়ে যাবে, অনেক খাত বাদ পরে যাবে। এদেরকে বলা হবে তোমাদেরটা ম্যানুফ্যাকচারিং না, কবে বসিয়েছ, লাইসেন্স কই বিভিন্ন কথাবার্তা বলবে।’

এটাকে এলিমিনেট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বললেন যদি সফলতা পেতে চাও তাহলে সব ঋণগ্রহীতাকে এ সুবিধা দাও। কোন সেক্টর ঋণ নিল এটা তার ব্যাপার। ঋণগ্রহীতা যাই করবেন তাতেই দেশের লাভ হবে। ট্রেড করলেও দেশের লাভ হবে, একটি ইন্ডাস্ট্রি, সেলুন করলেও লাভ হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন যে, সব খাতেই এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এরপর যখন আমরা ব্যাংকারদের সঙ্গে বসলাম তখন তারা বললেন যে, যেহেতু একরকম আইডিয়া নিয়েছিলাম, এখন আরেকটা আইডিয়া দিচ্ছেন, পাশাপাশি আমাদের কিছু শর্টটার্ম ডিপোজিট আছে যেগুলো দুই-তিন মাসের মধ্যে ম্যাচিউর করবে তাই আমরা এটি বাস্তবায়ন তিন মাস সময় চাচ্ছি। তবে এটি তারা বাস্তবায়নে একমত, এটা বাস্তবায়ন করা উচিত বলেও জানিয়েছেন তারা। এ জন্যই আমরা তাদের তিন মাস সময় দিয়েছি। আগামী এপ্রিল মাস থেকেই আমরা আশা করি এটি বাস্তবায়িত হবে।’

সব ক্ষেত্রেই কি ডিপোজিট ছয় শতাংশ হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ডিপোজিটের জন্য কোনো ব্যাংকই কাউকে ছয় শতাংশ সুদের বেশি অফার করতে পারবে না। সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ায় ব্যাংকে টাকা রাখলে যিনি টাকা রাখেন তাকেই ব্যাংকে টাকা দিতে হয়। আমাদের মতো দুয়েকটি দেশে ব্যাংকে টাকা রাখলে হয়তো আপনি দুই-তিন পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট পাবেন এর বেশি না। কিন্তু আমাদের যেকোনো কারণেই হোক ডিপোজিটে বেশি সুদ দেওয়া হয়। এটা আর সইতে পারছি না। সে কারণে কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমিও ফিল করি যে, ওভার নাইট অথবা তিন বা ছয় মাসের ভেতরে এ রকম একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। কিন্তু উপায় ছিল না। না হলে এ শিল্পায়ন হবে না। এ দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো যাবে না।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top