সিডনী শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


কাতারে ফ্রি ভিসায় গিয়ে অপরাধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা


প্রকাশিত:
৩০ আগস্ট ২০১৯ ০১:৫৮

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ১৭:৩৭

কাতারে ফ্রি ভিসায় গিয়ে অপরাধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: পারস্য উপসাগরের দেশ কাতারে ‘ফ্রি ভিসা’ গিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। বিভিন্ন অপরাধে ২৪০ জন সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি দেশটির জেলে বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে ১৪৫ জন মাদক সংক্রান্ত অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত।



খণিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ দেশটিতে ফিফা বিশ্বকাপ উপলক্ষে অধিকাংশ উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ায় প্রবাসীরা বেকার হয়ে পড়ছে। এজন্য তারা অপরাধে জড়াচ্ছেন।



বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৪র্থ বৈঠকে উত্থাপিত এক প্রতিবেদন এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।



প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাইমা আফরোজ ইমা স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশিরা নানা ধরনের অপরাধ জড়িয়ে পড়ার ফলে কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।



তথাকথিত ফ্রি ভিসার নামে প্রতারিত হচ্ছেন প্রবাসীরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কাতারে ফ্রি ভিসার নামে অনেকেই যাচ্ছেন। শুধুমাত্র ভিসা বিক্রির জন্য কিছু ক্ষুদ্র কোম্পানি স্থাপন করা হয়। এসব কোম্পানি থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা প্রদান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত ভিসা কাতারে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মী রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে বিক্রি করা হয়।



পরবর্তীতে তা হাতবদল হয়। ওই বিষয়ে কাতারে লোক যাওয়ার পর কোনো চাকরি পায় না এবং কোম্পানিগুলো অফিস বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায়। এ ধরনের অবৈধ ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশি কর্মীরা নিঃস্ব হয়ে যান এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।



প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়- কাতার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শীর্ষস্থানীয় দেশ। ২০১৮ সালে ৭৬ হাজার ৫৬০ জন বাংলাদেশি কর্মী বৈধভাবে চাকরি নিয়ে কাতারে যান। বর্তমানে কাতারে বসবাসকারী বাংলাদেশি সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। ২০২২ সালে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যে কাতারে ব্যাপক উন্নয়ন কাজের সূচনা হয়। এসব উন্নয়ন কাজে কর্মরত বাংলাদেশির ৮০ শতাংশ অদক্ষ নির্মাণ শ্রমিক।



অনেকগুলো নির্মাণ প্রকল্প সমাপ্তির কারণে কাতারে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে। এছাড়া ক্লিনিং ও মেইনটেনেন্স, হোটেল, সেলসম্যান, গাড়িচালক, টেইলারিং এবং কৃষি পেশায় বাংলাদেশিরা নিয়োজিত রয়েছেন। অল্পসংখ্যক চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ব্যাংকার কাতারে কর্মরত রয়েছেন। কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।



এছাড়া কাতার সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাতারি নাগরিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগের নীতি গ্রহণ করেছেন। ওই সব পেশায় বিদেশি নাগরিকদের চাকরি প্রাপ্তি সংকুচিত হয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top