সিডনী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


রাস্তার ধারের শরবত না খাওয়ারও পরামর্শ


প্রকাশিত:
১২ জুন ২০১৯ ০৫:২০

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১৪:৫৭

রাস্তার ধারের  শরবত না খাওয়ারও পরামর্শ

বিক্রেতা ঘাম মুছছেন, শরীরের নানা জায়গায় চুলকাচ্ছেন, আবার সেই হাতেই তৈরি করছেন তেষ্টা মেটানোর লেবু চিনি মিশ্রিত শরবত। পথচারীরাও পান করছেন দেদারছে। অথচ গরমে পিপাসা মেটানোর জন্য যে শরবত পান করছেন তারা হয়তো কেউই জানেন না এতে রয়েছে প্রাণঘাতি বিভিন্ন রোগ জীবাণুর আখড়া।



ভ্যাপসা গরমে পথচারীরা তৃষ্ণা মেটাতে ভিড় করছেন রাস্তার মোড়ের এসব শরবতের দোকানে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ। পথচারী, রিকশা চালক, হকার, ফুটপাতের দোকানদার, ভাসমান মানুষজনই এই শরবতের আসল ক্রেতা। ছোট গ্লাস পাঁচ টাকা আর বড় মগে দশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই শরবত।



ফুটপাতের এই শরবতের উপাদানের মধ্যে রয়েছে পানির সাথে বরফ, লেবু, চিনি আর বিট লবন। শরবতকে সুস্বাদু করতে অনেকে আবার টেষ্টি সল্টও ব্যবহার করেন। হাতলওয়ালা কাঠের একটি যন্ত্রের মাধ্যমে চাপ দিয়ে লেবুকে নিগড়িয়ে রস বের করা হচ্ছে। ভ্যান গাড়িতে রাখা স্বচ্ছ ফিল্টারে বরফ মিশ্রিত পানিতে লেবুর রস, চিনি ও বিট লবন মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে এই শরবত।



ফুটপাতের এই শরবতের বিষয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. শাকিল মাহমুদ এই প্রতিবেদককে জানান, সাধারণত ফুটপাতের শরবত বিক্রেতারা কোন গ্লাফস বা হাত মোজা ব্যবহার করেন না। তারা যে হাতে ক্রেতার টাকা নিচ্ছেন সেই হাতেই আবার লেবু কেটে শরবত তৈরি করছেন। এতে টাকা এবং শরবত বিক্রেতার দেহের যত জীবানু আছে তা চলে যাচ্ছে শরবতের মাধ্যমে ক্রেতার পেটে। রাস্তার ধুলাবালি’তো আছেই। এই শরবত খাওয়ার পর প্রথমে পেটে ব্যথা হবে। এরপর ডায়রিয়াসহ কঠিন রোগেরও আশংকা আছে।



তিনি আরো জানান, শরবতে যে বিট লবণ ব্যবহার করা হয় সেটা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া পানি ঠান্ডা করতে যে বরফ ব্যবহার হচ্ছে, সেই বরফ মূলত মাছ সংরক্ষনের জন্য তৈরি করা। বিশুদ্ধ পানি নিয়ে এই বরফ প্রস্তুত করা হয় না। অথচ পানির সাথে মাছ সংরক্ষণের সেই দূষিত বরফই পানির সাথে মেশানো হচ্ছে। তাই রাস্তার ধারের এই শরবত না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top