সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১

নোবেল বঞ্চিত এক বাঙালি বিজ্ঞানী! : তন্ময় সিংহ রায়


প্রকাশিত:
১১ জুলাই ২০২০ ২১:০১

আপডেট:
১১ জুলাই ২০২০ ২১:৩৭

 

সালটা ছিল ১৮৯৪, ১লা জানুয়ারি।

উত্তর কলকাতার গোয়াবাগান অঞ্চলে ঈশ্বর মিত্র লেনের পৈত্রিক বাড়িতে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিলেন ভুবনজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী, কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের উদ্ভাবক ও বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ বসু।

বাবা সুরেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন 'ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি'র একজন হিসাবরক্ষক ও মা আমোদিনী দেবী।  

মায়ের সাত সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ একমাত্র পুত্র-সন্তান সত্যেন শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী! গণিতের প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল অসম্ভব ! গণিতের প্রতি দক্ষতাকে বৃদ্ধির জন্যে প্রধান ভূমিকা পালন করেন তাঁর বাবাই।

প্রতিদিন কাজে যাবার সময় সুরেন্দ্রনাথ তাঁর ঘরের মেঝেতে সৃষ্টি করে যেতেন বিভিন্ন গাণিতিক জটিল সমস্যার, যা সত্যেন তার বাবা বাড়ি ফেরার পূর্বেই রাখতেন সমাধান করে। এভাবেই ক্রমশঃ বাড়তে থাকে গণিতের প্রতি তাঁর আগ্রহ এবং দক্ষতা। গণিতের প্রতি দক্ষতায় বিমুগ্ধ তাঁর গণিতের শিক্ষক চিন্তা করতেন যে এ ছেলে একদিন নিশ্চিত 'পিয়ের সিমোঁ লাপ্লাস'-এর মতন বড় গণিতবিদ হবেন।

কলকাতার হিন্দু স্কুল থেকে তিনি ১৯০৯ সালে  এন্ট্রান্স-এ পঞ্চম এবং প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৯১১ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে এফ.এ পরীক্ষা পাস করেন। একই কলেজ থেকে ১৯১৩ সালে তিনি গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ স্নাতক ডিগ্রী এবং ১৯১৫ সালে মিশ্র গণিতে প্রথম স্থানসহ প্রথম শ্রেণিতে অর্জন করেন মাস্টার্স ডিগ্রী।

এম-এস-সি'তে রেকর্ড পরিমাণ নম্বর পাবার পর তাঁর শিক্ষক প্রফেসর ডি এন মল্লিক সস্নেহে তাকে ডেকে বললেন, 'এত বেশি নম্বর পেয়েছ পরীক্ষায়, বড় বেমানান লাগছে হে!'

নবপ্রতিষ্ঠিত 'কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ'-এ সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯১৫ সাল থেকে মিশ্র গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণায় মনোনিবেশ করেন ড. মেঘনাদ সাহার সাহচর্যে। ১৯১৯ সালে তিনি মেঘনাদ সাহার সাথে মিলিতভাবে আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার বিশেষ এবং সাধারণ তত্ত্বের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন এবং এটাই ছিল 'আপেক্ষিকতা তত্ত্ব'-এর প্রথম ইংরেজি অনুবাদ।

বিজ্ঞান ও মেধার আকাশে এক সু-উজ্বল নক্ষত্রের নাম সত্যেন্দ্রনাথ বোস। অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটা যেন জন্মেইছিলেন সৃষ্টি-জ্ঞানকে সঙ্গে নিয়ে। তরুণ সত্যেন্দ্রনাথ যে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্স-এর শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হলেন সে সময়ে উন্নত টেলিফোন ও ইন্টারনেট ব্যবস্থার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা, সবকিছু থেকেই তিনি ছিলেন বঞ্চিত! 

জ্ঞানকে সর্বদা পাকস্থলীবদ্ধ করায় যে মানুষটার নিবৃত্তি হত ক্ষুধা'র, নিতান্তই ফিকে ছিল এসব তাঁর কাছে।

ঢাকা'য় থেকেও সে সময়ে তাঁর দৃষ্টি পৌঁছেছিলো, হাইজেনবার্গ, আইনস্টাইন ও ম্যাক্স কার্ল আর্নেস্ট লুডভিগ প্লাঙ্ক-এর মতন বিশ্বের নামী-দামী বিজ্ঞানীদের গবেষণার উপরে।

প্রথমত ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে পশ্চিমা বিশ্বে প্রকাশিত বিজ্ঞানের গবেষণাপত্রগুলো খুব একটা আসতো না বললেই চলে অপর সমস্যাটি ছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'পি.এইচ.ডি' ডিগ্রী একেবারেই  ছিল নতুন, ফলে সেখানে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধাও ছিল না।

অতএব আনুষ্ঠানিকভাবে 'ডক্টর অফ ফিলোসফি' অথবা ইউরোপ-আমেরিকার গবেষণা দীক্ষায় বিলেত ফেরৎ কোনো ডিগ্রী তাঁর ছিলনা, কিন্তু শিক্ষক হিসাবে তিনি পেয়েছিলেন স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখের মতন প্রসিদ্ধ উদ্ভিদবিদ, পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং রসায়নবিদের সান্নিধ্য। 

বিরামহীন চিন্তাকে একমাত্র সঙ্গী করে তিনি তখন গবেষণা করছেন প্লাঙ্ক-এর 'বিকিরণ তত্ত্ব' বা 'রেডিয়েশন ফর্মুলা' নিয়ে।  একসময় ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন যে তিনি তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তুকে প্রকাশ করবেন আর্টিকেলরূপে।  যেমন ভাবনা, তেমনই কাজ।

তিনি সৃষ্টি করলেন তার গবেষণার বিষয়বস্তুকে আর্টিকেলরূপে। এবারে পালা প্রকাশের, কিন্তু সমগ্র বিশ্বের এ প্রান্তের সত্যেন্দ্রনাথ বোস কে তো বড় বড় কোনো বিজ্ঞানীই চেনেন না! তাহলে উপায়?

অদম্য এই মানুষটা থেমে থাকেননি এমতবস্থায়। অত্যন্ত বিনয়ী ভাষার যথার্ত প্রয়োগে তিনি চিঠি লিখে বসলেন খোদ আইনস্টাইনকে। চিঠিতে ব্যাখ্যা করলেন তাঁর গাণিতিক পদার্থবিদ্যার গবেষণার বিষয়বস্তুকে। 

জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা 'আপেক্ষিকতার তত্ত্ব' ও বিশেষত 'ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র'-এর পিতা, 'অ্যালবার্ট আইনস্টাইন' তখন পদার্থ বিজ্ঞানের মধ্যগগনে, বর্ণময় তেজোদীপ্ত আলোকছটার বিকিরণ প্রদানকারী এক সূর্যের নাম।  কিন্তু তরুন বোস সেসব তোয়াক্কা না করেই অনুরোধ করলেন যে তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু যদি প্রকাশযোগ্য হয় তবে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে তবে যেন তা প্রকাশ করা হয়।

সত্যেন-এর আত্মবিশ্বাস, নির্ভীকতা ও অসম্ভব প্রতিভার প্রতিফলনে বিষ্ময়ে হতবাক! আইনস্টাইন চিঠির প্রত্যুত্তরে সম্মতি জানালেন ইতিবাচক!

সাময়িক বাধার প্রাচীর পেরিয়ে অবশেষে অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সহায়তায় প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর 'Planck's law and the hypothesis of light quanta' নামক প্রবন্ধটা  'Zeitschrift für Physik'(English: Journal for physics) নামক জার্মানির বিখ্যাত একটা জার্নালে যা 'বোস-আইন স্টাইন তত্ত্ব' নামে সারা বিশ্ব ব্যাপী এক আলোড়ন সৃষ্টি করে বিজ্ঞান জগতে।

ফলস্বরূপ, মাত্র তিরিশ বছর বয়েসেই দেশ বিদেশের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী ও মেধাবীদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে তাঁর নাম অনুসারেই পরমাণুর একধরনের কণা'র নাম রাখা হয় 'বোসন কণা।' আপেক্ষিক তত্ত্বের কয়েকটা জটিল গাণিতিক সমীকরণের সমাধান করে বিজ্ঞানের ইতিহাসে তিনি স্থাপন করেন আরও এক মহান কীর্তি!

 অধ্যাপক বসু ১৯২৯ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের পদার্থবিজ্ঞান শাখার সভাপতি এবং ১৯৪৪ সালে মূল সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৫ সালে তিনি নিযুক্ত হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসাবে। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সত্যেন্দ্রনাথ বসু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৮৫৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্বাচিত হন 'এমিরিটাস প্রফেসর' পদে। ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে নিযুক্ত করে 'জাতীয় অধ্যাপক' হিসাবে।

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি'র 'ফেলো' নির্বাচিত হন ১৯৫৮ সালে। তিনি ১৯৫২ সাল থেকে কিছুকাল পর্যন্ত  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ব্যাপারে অধ্যাপক বসু পালন করেন অগ্রণী ভূমিকা।  এ উদ্দ্যেশ্যেই তিনি কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন 'বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ'এবং ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান'-এ কেবলমাত্র মৌলিক গবেষণা নিবন্ধ নিয়ে 'রাজশেখর বসু সংখ্যা' প্রকাশ করে তিনি দেখান, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের মৌল নিবন্ধ রচনা সম্ভব।  আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই বিজ্ঞানীকে 'বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়' কর্তৃপক্ষ 'দেশিকোত্তম' এবং ভারত সরকার 'পদ্মভূষণ' উপাধিতে ভূষিত করেন। 

বলাবাহুল্য, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকেও তিনি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের বই লিখিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। সত্যেন বসুর প্রত্যক্ষ উৎসাহেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিজ্ঞান বিষয়ক বই 'বিশ্ব পরিচয়' লেখেন ১৯৩৭ সালে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  সত্যেন বসুকেই উৎসর্গ করেছিলেন 'বিশ্ব পরিচয়'। 

এই প্রসঙ্গে সত্যেন বসু অবশ্য বলেন, 'নোবেল পুরস্কার লাভ করলেও আমি এতটা কৃতার্থ বোধ করতাম না'। 

এই মন্তব্য নিশ্চিতভাবেই বহন করে সত্যেন বসুর বিনয়ী ধর্মের ইঙ্গিত! 

সত্যেন বসুকে নোবেল পুরস্কার না দেওয়াটা নোবেল কমিটির'ই অনেক সদস্যের কাছেও আজও বিস্ময় এবং হতাশার কারণ! আর হবে নাই বা কেন? সত্যেন বসুর আবিষ্কারের উপর গবেষণা করে পরবর্তীতে বেশকয়েকজন  লাভ করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক 'নোবেল '-এর মতন পুরষ্কার।

সত্যেন্দ্রনাথ জার্মানি আর ফ্রান্সে কাটিয়ে দিলেন দুই বছর। এর মধ্যে তিনি সান্নিধ্য পেয়েছিলেন পদার্থবিজ্ঞানে সু-বিখ্যাত নোবেলজয়ী জার্মান তাত্ত্বিক পদার্থবিদ এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যার উদ্ভাবক 'ওয়ার্নার কার্ল হাইজেনবার্গ'-এর। কাজ করেছেন নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী খ্যাতনামা ফরাসী পদার্থবিজ্ঞানী 'দ্য ব্রগলি'র 'রঞ্জন রশ্মি' গবেষণা কেন্দ্রে।

বিজ্ঞানেরই ভিন্ন দুটি ক্ষেত্রে যথা 'পদার্থবিজ্ঞান' ও 'রসায়নবিজ্ঞান'-এ নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম সু-প্রসিদ্ধ মহিলা বিজ্ঞানী   'মাদাম কুরি'র রেডিয়াম ইনস্টিটিউটেও কাজ করেন এই সত্যেন্দ্রনাথ বসু। হয়তো সেই সুযোগেই জার্মান ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় তিনি অর্জন করেন দক্ষতা।

বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা করার ইচ্ছে সত্যেন বসুর ছোটবেলা থেকেই ছিল। 

অত্যন্ত সহজ সাধারণ ছিলেন অত্যন্ত গুণী এই মানুষটা। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার! তিনি সর্বদা সন্তুষ্ট ছিলেন তাঁর এই আবিষ্কারগুলো নিয়েই। পুরস্কারের জন্য কখনোই আক্ষেপ ছিল না এই মহৎ মানুষটা'র। উইলার্ড গিবস, ফ্রেড হোয়েল এনাদের মতো খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের পাশে নাম লেখান বসু, যারা বিজ্ঞানের জন্য অসাধারণ ও অভাবনীয় সব কাজের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্ববাসীকে বহুমূল্যবান সব উপহার দিয়েও বঞ্চিত নোবেল পুরস্কার সম্মানে!!

এ প্রসঙ্গে এ কথাগুলো না বললে হৃদয় থেকে যায় অপূর্ণ তাই বলা, 'অ্যালবার্ট আইনস্টাইন' নামটা আমাদের কাছে যতটুকু লাভ করেছে পরিচিতি, 'সত্যেন্দ্রনাথ বসু' ততটা বোধ করি নন কারণ, সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রচার মাধ্যমের সুযোগ পেয়েছিলেন কম তাছাড়া স্বদেশী বিজ্ঞানীদের অবদানে পুষ্ট আমরা, কিন্তু তাঁদের প্রতি উৎসাহ  আমাদের বরাবরই অপেক্ষাকৃত কম, এ আমাদের চরম লজ্জা!

'বোস-আইনস্টাইন' তত্ত্বে সত্যেন বসুর নামের ঠিক পরেই উচ্চারিত হয় আইনস্টাইনের নাম। কিন্তু বিশ্ব-বিখ্যাত ও বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই তত্ত্বের প্রায় পুরো কৃতিত্বই সত্যেন্দ্রনাথ  বসু'র। আইনস্টাইন সত্যেন্দ্রনাথ বসু'র মূল গবেষণাপত্রটি ইংরেজি থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন এবং প্রকাশের সময় সত্যেন বসুর সাথে নিজের নামটাও যোগ করে দিয়েছিলেন। অবশ্য এটাও ঠিকই যে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামের সাথে নোবেল বিজয়ী আইনস্টাইনের নাম যুক্ত না হলে হয়তো সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে যতটুকু সম্মান আজ দেওয়া হয় তাও বোধ করি হতো না দেওয়া। 

'যাঁরা বলেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা হয় না, তাঁরা হয় বাংলা জানেন না, নয় বিজ্ঞান বোঝেন না।' 

মৃত্যুহীন যুক্তিপূর্ণ এই বিখ্যাত উক্তিটি করেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু ৷ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে তার অমূল্য অবদান বিশেষত বাঙালী হৃদয়ে আ-মৃত্যু থাকবে অক্ষত ও জীবন্ত!  দূর্ভাগ্যবশতঃ ব্রঙ্কিয়াল নিউমোনিয়ায় ভুগে এই মহান পদার্থবিদ মৃত্যুবরণ করেন ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আশি বছর বয়সে।  বিনম্র শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করে আজও অত্যাধিক গর্বিত এবং বিজ্ঞান চর্চায় অনুপ্রাণিত হয় দুই বাংলার কোটি কোটি মানুষ। 

ধন্য হে মহা-মানব! ধন্য আপনার অমূল্য ও মৃত্যুহীন সৃষ্টি!! 

 

তন্ময় সিংহ রায়
কোলকাতা

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top