সিডনী মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১

বীজধানের স্বপ্ন : ঋভু চট্টোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:৩৩

আপডেট:
১৪ মে ২০২৪ ১৩:৪৫

 

 ‘কটা বাজে এখন, ঘড়িটা দেখে? সাড়ে সাতটা,আজ  কখন থেকে বসেছি সে খেয়াল আছে?সকাল এগারোটা। বলে দাও আজ হবে না।’ কথাগুলো বলেই ডাক্তার অনুত্তমা তার ল্যাপটপটা শার্টডাউন করে ব্যাগের মধ্যে সব অ্যাপারেটাস গুছোতে আরম্ভ করল।কিছু ক্ষণের মধ্যেই সঙ্গীতা আবার দরজা ফাঁক করে বলে উঠল, ‘ম্যাডাম, ওনারা শুনছেন না, আপনার সাথে একটু কনসাল্ট করেই চলে যাবে বলছেন, কান্না কাটি করছেন।’

–উফঃ, তোমরা সব অপদার্থ, একটা পেসেন্ট পার্টিকে ম্যানেজ করতে পারো না? মাকে বল।

–কাকিমাতো অনেকক্ষণ আগেই চলে গেছেন, বললেন পাশের বাড়িতে কার কি পুজো আছে।

–ও ইয়েস, গাড়ি ফিরে এসেছে ? একবার খোঁজ নাও, আর ওনাদেরকে আসতে বল।

অনুত্তমা এক গ্লাস জল পান করল।

অন্যের সেন্টার ছেড়ে প্রথম যেদিন নিজের সেন্টার করবার কথা বলে সেদিন  মা খুব রেগে গেছিল, ‘তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে, বেশ তো মাস গেলে ভালো ইনকাম করছিস, ওরা তো সুবিধা অসুবিধা সব দেখে।’ মা’কে সেদিন অল্প কয়েকটা কথাতে বোঝানো যায় নি, একটা সেন্টারের কনসালটেন্ট হবার থেকে নিজের সেন্টার করা অনেক বেশি সম্মানের।পরে অবশ্য মা আর আপত্তি করেনি, নিজের সব ফিক্সট ডিপোসিটগুলো তুলেও দিয়েছিল, সেটা থেকেই তো লোন নেওয়া হল।তারপর কয়েকটা মাস নিরলস পরিশ্রম, এখানে ওখানে ঘোরাঘুরি অবশেষে এই সেন্টার।মা এখন সব ব্যাপারেই পোক্ত হয়ে গেছে, স্টাফদের স্যালারি বা কোন ওষুধের অর্ডার লাগবে বা পেসেন্ট ম্যানেজমেন্ট, সবটাই একা হাতে দিব্যি সামলে নিচ্ছে।

-ম্যাডাম আসব ?

অনুত্তমা আড় চোখে তাকিয়ে বলে উঠল,‘হ্যাঁ, আসুন।’

একজন বয়স্ক ভদ্রলোক ও বয়স্ক ভদ্রমহিলার সাথে একজন কমবয়সি মেয়ে ভিতরে এল।অনুত্তমা ভালো করে ওনাদের দেখল। মোটামুটি আধ ঘন্টা আগে একবার ওটিতে গেছিল, তখন একটা কোণে তিনজনকে বসে থাকতে দেখেছে, কমবয়সি মেয়েটি কাঁদছিল, অন্য আরেকজনের সাথে কথা বলতে বলতে অনুত্তমা দেখেছে।বুড়ো কি আবার বাবা হবে? মেয়েটা সারোগেট করবে, অদ্ভুত অদ্ভুত সব পেসেন্ট আসছে।এইতো কয়েকদিন আগেই একটা কাপল এসে বলে,‘ম্যাডাম একটু দেখুন তো আমরা দুজন পেরেন্টস হতে পারব কিনা? দুজনের কারোর যদি কিছু কম থাকে তবে নো ম্যারেজ।’

-তোমরা ম্যারেড নও ?

-না, লিভ ইন করছি, কিন্তু কনসিভ করছি না, আগে কনসিভ তবে বিয়ে।

মা তো কথাগুলো শুনে রীতিমত বিরক্ত হয়ে বলে, ‘তোদের কি হয়েছে বলত, বিয়ে করবি না, এক সাথে থাকবি, এই সব পেসেন্টদের দেখবি না, এরা সব ডেঁপো ছেলে মেয়ে।’

–বলুন, কি ব্যাপার?

-ভদ্রলোক একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে আরম্ভ করলেন, ‘ইনি আমার ওয়াইফ, আর ও আমার বৌমা।একটা খুব বড় বিপদে পড়ে আপনার কাছে আসা।’

অনুত্তমা আরেক বার তিনজনকেই দেখে নিল।কম বয়সি মেয়েটির ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে, ভদ্রমহিলা মোটামুটি ভাবে মায়ের বয়সি, চেহারায় আভিজাত্য থাকলেও এখন অযত্নের ছাপ স্পষ্ট।অনুত্তমা প্রেশক্রিপসনের দিকে চোখ রেখে বলে উঠল, ‘কে পেসেন্ট ?’

-আমার বৌমা।

–নাম আর এজটা একটু বলবেন।

-প্রীতিকণা বসু, আগে পুরো ব্যাপারটা শুনুন, তারপর সব বলছি।

–ওকে, আপনি আরম্ভ করুন।

রিসেপসেনের মেয়েটিকে প্রথম দিকে ধমকালেও কথা বলতে বলতে প্রায় এক ঘন্টা কেটে গেল, অনুত্তমা সময়টাও বুঝতে পারেনি।হঠাৎ মায়ের ফোন পেয়ে সম্বিৎ ফিরল,‘হ্যাঁ মা আসছি, একটা পেসেন্ট এসেছে একটু কমপ্লিকেটেড, গিয়ে বলব।’

সেদিন বাড়ি ফিরেও অনেক রাত পর্যন্ত মায়ের সাথে আলোচনা করেছে, জিজ্ঞেস করেছে কি করবে, ভদ্রলোক অবশ্য বেরোবার সময় বলে গেছেন, ‘ম্যাডাম আপনি ভেবে চিন্তে জানাবেন, তবে একটু তাড়াতাড়ি, বুঝতেই তো পারছেন  অতটা সময় নেই, কখন কি হয়ে যায়।’

সব শুনে মা অবশ্য কোন উত্তর দিতে পারে নি, এমনিতে প্রতিদিন অনেক পেসেন্ট আসে, কারোর স্পার্ম নেই তো কারোর এগ নেই, কারোর আবার টিউব ব্লক।তাও আই.ইউ.আই আর আই.ভি.এফ এর মাধ্যমে কত নতুন প্রাণ এই পৃথিবীর জল হাওয়াতে নিজেদের মিশিয়ে নিচ্ছে, যদিও সাকসেস রেট সামগ্রিক ভাবে খুব বেশি নয়,এই সাকসেস রেটের কথাগুলো বলতেই ভদ্রলোক খুব অবাক ভাবে উত্তর দিলেন,‘দেখুন ম্যাডাম, নিজের ছেলের জীবনের সাকসেস রেট বের করতে পারলাম না, আমি কিভাবে বাকি সবের সাকসেস রেট খুঁজব? না হয় একটা অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়লাম, না লাগলে জানব আমাদের ব্যর্থতা, ভাগ্যকে আর দোষ দিতে ইচ্ছে করে না।’

বাবা চলে যাবার পর অনুত্তমা মা’কে রাতের পর রাত জেগে থাকতে দেখেছে, তারপর থেকে মা শুধু বাবার ডেথ কেসের চাকরি করাটাই নয় বাড়ি ফিরে সব কাজ করে গেছে, এখন আবার সেন্টারের দায়িত্বটাও মাথায় তুলে নিয়েছে।

এইসব ভাবনার মধ্যে সারাটা রাত শুয়ে শুয়ে ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে এই সম্পর্কে আরো তথ্য খুঁজতে থাকে, শহরে আরেকজন ডাক্তার আছে, অনুত্তমারই বয়সি, তার সাথে অনেক আলোচনা হল, আর মাঝে মাঝে সেই বয়স্ক ভদ্রলোকের মুখ থেকে শোনা তাদের নিজেদের বিয়ে থেকে আরম্ভ করে ছেলের জন্ম, বড় হওয়া, চাকরি বিয়ে এমনকি………।ভদ্রলোকও কথা বলবার সময় ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন।

পরের দিন মা ঘুম থেকে উঠেই বলে, ‘বাবুরে তুই হ্যাঁ বলে দে, ওনাদের আরো তো খরচা আছে, পারলে একটু কম করবি।’

পুরো ব্যাপারটা যে এতটা স্মুথ হবে ভাবে নি।প্রীতিকেও সব বলা ছিল, সেই মত তার ডে টুতে ইনজেকসন দিয়ে সব রেডি করেছে, একটা ইনজেকসন রাত বারোটার সময় দিতে হত, নাভি থেকে দুটো আঙুল নিচে, প্রীতি শুনেই বলে, ‘ম্যাম আপনি চিন্তা করবেন না,আমার শ্বশুরমশাই দিয়ে দেবেন।’ প্রীতির থেকে এক্সট্রাকসন করে একই দিনে তার হাসবেন্ডের ডাক্তারের সাথে কথা বলে, ওনাদের কথা মতই ওনাদের দেওয়া সময়েই অনুত্তমা তার পুরো টিম নিয়েই ঐ হাসপাতালে গিয়ে একটা ছোট অপারেশন করে।ওখানে ডাক্তারবাবুরা একটু সকালের দিকে করতে বলেন, বেশি ক্ষণ খালি পেটে তো রাখা যাবে না, তারপর অবশ্য ডাক্তার বাবুরা আবার বলেন, ‘আপনার কাজ  সাকসেসফুল হলে আমরাও নিশ্চিন্তে আমাদের কাজ করতে পারি, ট্রিটমেন্টের পরে কিন্তু স্পার্ম পাবার কোন আশা থাকবে না।’

এগ স্পার্মের কালচার করতে এমনিতেই কয়েকটা দিন সময় লাগে, অনুত্তমা তার থেকেও বেশি সময় নিয়েছে, ব্লাস্টোসিস্ট করে তারপর ট্রান্সফার।

 প্রীতির শ্বশুর মশাই মাঝেও বহুবার আসেন, সব টেস্টের কথা শোনেন, ওষুধের কথা শোনেন।অনুত্তমার এই ভদ্রলোকটিকেও ভারি অদ্ভুত লাগে, প্রতিবার ঠিক সেন্টার বন্ধ করবার সময় উনি আসেন, কথা বলেন, আর প্রতিবার বেরোনোর সময় খুব করুণ মুখ করে জিজ্ঞেস করেন, ‘ম্যাডাম, কোন অসুবিধা হবে না তো, নষ্ট হয়ে যাবে না তো?’ অনুত্তমা কোন উত্তর দিতে পারে না, শুধু বলে, ‘ঈশ্বরে ভরশা রাখুন, ওনার ওপরে তো কেউ নেই।’

পুরো ডেলিভারি না হওয়া পর্যন্ত এখন নিস্তার নেই। আগের বছর পর্যন্ত জাইগোট ট্রান্সফার করবার পরে পেসেন্টের টেস্ট করবার দিনেই সব থেকে বেশি টেশসন হত, একবার তো কুড়িটা ট্রন্সফার করবার পরে একটাও সাকসেস আসেনি। কিট নিয়ে পেসেন্ট বাথরুমে গেলে পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনুত্তমাও ভয়ে কাঁপত, নখ খুঁটত, না হলে নিজেও একটা টয়লেটে ঢুকে যেত। মা বোঝাত, বলত, ‘ তোর আর এই স্বভাবটা গেল না, সেই ছোট বেলার পরীক্ষা দেবার মত করছিস।’

-তুমি আর কি বুঝবে মা, এটাও এক ধরণের পরীক্ষা।

তবে তার পর থেকে অবস্থাটা একটু ঠিক হল, বেশ কয়েকটা সাকসেস পেল, অনুত্তমারও কনফিডেন্স বাড়ল। তবুও প্রীতির শ্বশুর মশায়ের কথাই ঠিক, সেই অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়া। তাও এই ঢিল ছুঁড়তে ছুঁড়তেই আরো ষোলটা মাস কেটে গেল, এর মধ্যে অবশ্য অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে সেন্টারেরও, সাকসেস রেট কিছুটা বেড়েছে, শহর ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও পেসেন্ট আসছে, অনেক নতুন স্টাফ জয়েন করেছে, দুজন পুরানো স্টাফ চলেও গেছে।

একদিন পেসেন্টের চাপ একটু কম থাকবার জন্য তাড়াতাড়ি সবকিছু গুছিয়ে বেরোতে যাবে এমন সময় রিসেপসেনের সঙ্গীতা এসে বলে, ‘ম্যাডাম একজন দেখা করতে এসেছেন, বললেন কথা বলেই চলে যাবে, খুব দরকার।’ অনুত্তমা একবার ঘড়ির দিকে চোখ রেখে বলে উঠল, ‘ঠিক আছে পাঠিয়ে দাও।’ কিছু ক্ষণ পরেই একটি মেয়ে ভিতরে এসে বলে,‘ম্যাডাম ভালো আছেন, চিন্তে পারছেন?’

-মুখটা চেনা লাগছে কিন্তু বুঝতে পারছি না।

–প্রীতিকণা বোস, ঐ যে আমার হাসবেন্ড ভর্তি ছিল আপনি…..

-ও ইয়েস, তারপর আপনার তো কোন খবর পেলাম না।

–হ্যাঁ, আপনাকে কিছু জানানো হয় নি, আসলে ট্রান্সফারের পরেই বাবার বাড়ি চলে গেছিলাম, ওখান থেকে আপনার সেন্টারটা খুব দূর, তাই ওখানেই একটা সেন্টারে সব কিছু হল।

–সাকসেস হয়েছে তো?

- হ্যাঁ ম্যাম, মেয়ে হয়েছে।

–ভেরি গুড, আর আপনার হাসবেন্ড? প্রীতির চোখদুটো ছল ছল করে উঠল, কিছু সময় পর চোখ মুছে বলে উঠল, ‘ তিন মাস ক্যারি করছিলাম, তখনই এক্সপায়ার করল।’

–ও!আই অ্যাম সরি।

–না ম্যাম সরির কোন ব্যাপার না, এটা আমরা সবাই জানতাম, ডাক্তার বলেই দিয়েছিলেন, যত দিন লাস্টিং করে, মারা যাবার আগেই আপনি যা করলেন, তার জন্য শুধু আমি না, শ্বশুর শাশুড়ি সবাই চির ঋণী থাকবে।আগামী পরশু মেয়ের অন্নপ্রাশন, যদি একটু সময় করে আসতে পারেন, মানে শুধু আমি না, ওনারা দুজনেই বিশেষ করে বলেছেন, ওনারাও আসতেন কিন্তু একটু কাজে আটকে গেলেন।

অনুত্তমা কোন কথা বলতে পারল না, চোখের সামনে প্রীতির হাসবেন্ডের কথাগুলো মনে পড়ল, টেসা করতে যাবার সময় যখন অন্য ডাক্তার অ্যানেসথেসিয়া করছে তখন প্রীতিকে বলে,‘জানেন ম্যাডাম, আমি আমার ডাক্তারদের বলেছি, একটা বছর যেন বাঁচতে পারি, নিজের সন্তানের মুখটা না দেখে গেলে মরেও শান্তি পাবো না।’

অনুত্তমারও চোখদুটো ছল ছল করে উঠল, নিজের বাবাকে কোন দিনও কাছে পায়নি, বাবা মারা যাবার পর, কাকা জ্যাঠারা দায়িত্ব নেবার ভয়ে আর এই বাড়ি মুখো হয় নি, প্রতিদিন কত কত মানুষ বাবা ডাক শোনার জন্য সেন্টারে ভিড় করে, আর এদিকে টেস্টিস ক্যানসারে আক্রান্ত একজন  শুধু বাবা ডাক শোনার জন্য মাত্র এক বছর বাঁচার কথা বলে।

–আমি কি গাড়ি পাঠিয়ে দেবো ?

অনুত্তমা একটু অন্য মনস্ক হয়ে গেছিল, প্রীতির কথা শুনে উত্তর দিল, ‘না না, আমি চেষ্টা করছি।’ তারপর কিছুক্ষণ থেমে আবার বলল, ‘জানো আমাদের দেশের এক রাজ্যে এক মহিলা তার সদ্য মৃত স্বামীর স্পার্ম নেওয়ার পারমিশন পায়নি, আমি ঐ ভয়টাই পাচ্ছিলাম।’

-ঈশ্বর মনে হয় সেদিকে বাঁচিয়েছেন, শুধু তো আমি নয় ওনারাও কেউ ভালো থাকতে পারতেন না, আপনিই ভাবুন না আমার হাসবেন্ড কিন্তু ওনাদের তো ছেলে।নেহাৎ শেষদিনেও বড় করে অন্নপ্রাশন করবার কথা বলে গেছে, তাই।

অনুত্তমার মুখ দিয়ে কথা বেরোচ্ছিল না, একটা শ্বাস ফেলে বলে উঠল,‘কি নাম রাখলে?’

-ওর বাবা রেখে গেছে, অদ্রিজা।ম্যাডাম রাত হয়ে যাচ্ছে, আসি, আপনি কিন্তু অবশ্যই আসবেন।

শেষের কথাগুলো বলে বাইরে বেরোতে যাবে এমন সময় অনুত্তমা বলে উঠল, ‘প্রীতি, দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল, আমারও বাবা নেই, মা একাই বড় করেছে।’ 

প্রীতি আর কথা না বলে রুমের বাইরে যেতে অনুত্তমার চোখ দুটো দরজার ওপরে বাবার ছবির বুকে আটকে গেল, প্রীতির হাসবেন্ডের কথাও মনে পড়ল, টেসার পর জ্ঞান আসার পরে অনুত্তমার দুটো হাত ধরে বলে উঠেছিল,       ‘ম্যাডাম, একটু দেখবেন, আমি না বাঁচলেও আমার স্পার্মটা যেন বেঁচে থাকে।’ 

 

ঋভু চট্টোপাধ্যায়
পশ্চিম বর্ধমান, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top