সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রিম কোর্টের ল'ইয়াররা যখন লেখক : দিদার আলম কল্লোল


প্রকাশিত:
১২ অক্টোবর ২০২০ ২২:৪৮

আপডেট:
১২ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৩২

      
হাজারও নেতিবাচক খবরের মধ্যে দেশের সামষ্টিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির কোন সংবাদে আমরা যেমন পুলকিত হই, ব্যক্তির সাফল্য বা গুণের ক্ষেত্রে  আমরা বোধহয় ততটা খুশি হই না। আর সেইসব লোক যদি সমগোত্রীয়, সমপর্যায়ের বা প্রতিদ্বন্ধী হয়, তাহলে তো কথাই নেই, একেবারে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকি। সত্যি বলতে কি হিংসা, হীনমন্যতা ও কপটতায় আমাদের কোন জুড়ি নেই। অন্যের কোন সুসংবাদ বা অর্জন আমরা কেন জানি সহ্য করতে পারি না। এসব দেখেও দেখি না, শুনেও শুনি না, পড়েও পড়ি না। অর্থাৎ আনন্দিত হই না, বুঝতে দেই না, পাত্তাও দেই না। অন্যের খ্যাতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়ুক, তা কি করে হয়!

মনের গহীনে লুক্কায়িত হিংসা, বিদ্বেষ ও মিথ্যা অহমিকা আমাদের প্রশংসা করতে দেয় না। কারো কোন ভাল কাজের বা গুনের প্রশংসা করা আমাদের ধাতে নেই। তবে আমি প্রায়ই নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। ছাইপাশ যা- ই লিখি পাঠকরা গোগ্ৰাসে গিলে, স্তূতিতে ভাসিয়ে দেয়, আপ্লুত ও অভিভূত করে দেয়। তবে যথাযোগ্য, যথাবিহিত সম্মান ও প্রাপ্য মর্যাদা এমনকি নির্দোষ প্রশংসা করতে গেলেও আরেক জ্বালা। এর মধ্যেও কেউ কেউ চামচামি, তোষামোদি ও ব্যক্তি বন্দনার গন্ধ খুঁজে পান। প্রশংসা করলে, উৎসাহ দিলে, স্বীকৃতি দিলে যে মানুষ আরো ভাল কিছু করার প্রেরণা পাবে, সেটা খুব ভাল করে জেনেও আমরা এক ধরনের মানসিক বৈকল্য ও দৈন্যতায় ভোগী। কাউকে ছোট করতে পারলে বা হেয় করতে পারলেই আমরা পরমানন্দ লাভ করি। পরনিন্দা ও পরচর্চা আমাদের খুবই আগ্ৰহের বিষয়। তবে সবাই নয়, বেশীরভাগ শিক্ষিত মানুষ হীনমন্যতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না, উদার হতে পারে না। তাঁরা ছোট বেলায় সুনির্মল বসুর কবিতা 'আকাশ আমায় শিক্ষা দিল উদার হতে ভাই রে, মানুষ হওয়ার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাই রে' পড়েছে ঠিকই, কিন্তু রপ্ত করতে পারেনি। তাঁরা হয়ত ভাবে অন্যের জ্ঞান গরিমা ও মহত্ত্ব প্রকাশ পেলে নিজে ছোট হয়ে যাবে, নয়ত সমাজে পিছিয়ে পড়বে!

এহেন মনোবৃত্তি ধীরে ধীরে মানুষের সুকুমার বৃত্তিগুলো নষ্ট করে দেয়, আদিম হিংস্র পাশবিকতা মন ও মগজকে আচ্ছন্ন করে রাখে। অন্যদিকে আকাশ ও বায়ুর কাছ থেকে উদার ও মানুষ হওয়ার শিক্ষা আত্মস্ত করে যারা নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে পারে,তাঁরাই আখেরে এগিয়ে যায়, মানুষের আস্থা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়। আমি আজ আমার প্রিয় সহকর্মী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে সংকীর্ণতার বদ্ধ দোয়ার খুলে দিতে চাই। হীনমন্যতার আগলটি আলগা করে দিতে চাই।

বইয়ের চেয়ে সুন্দর ও মনোহর উপহার আর কিছুই হতে পারে না। বই লেখার মত মহৎ ও সৃজনশীল কাজ আর কি হতে পারে? বিগত দিনগুলোতে আইনজীবী বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক বই উপহার পেয়েছি। এছাড়াও অনেক বন্ধুদের লেখালেখির সাথে প্রতিনিয়ত পরিচিত হচ্ছি। তাই ভাবলাম এবার তাদের নিয়ে কিছু লিখি। এতে করে নবীন লেখকরা উৎসাহ পাবে সেই সাথে অন্যরাও জানবে আমাদের এ প্রিয় প্রাঙ্গনটি শুধু বিচারিক কর্মকান্ডের মধ্যেই সীমিত নয়, উচ্চ আদালতের আইনজীবীরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি অনেক ভাল ভাল বই লেখেন, কলাম ও লেখেন। এখানে আইনের সাধনা হচ্ছে, গবেষণা হচ্ছে, সৃজনশীলতা ও মননশীলতার চর্চা হচ্ছে, সেই সাথে লেখকও তৈরি হচ্ছে। আইনজীবীরা তো আর বাল্যশিক্ষা রচনা করবেন না, আইন গ্ৰন্থ রচনা করবেন, এটাই স্বাভাবিক, তবে এর বাইরেও তাঁদের নানা বিষয়ে বুৎপত্তির কথা আমরা হয়ত অনেকেই জানি না। ভাল আইন বই রচনার ক্ষেত্রে নিকট অতীতেও আমরা বেশ পিছিয়ে ছিলাম। সেই অভাব ও পশ্চাৎপদতা এখন অনেকটাই দূর হয়েছে যাদের কল্যানে তাঁদের সাথে নুতন প্রজন্মের আইনজীবী বন্ধুদের পরিচয় করিয়ে দেয়াও এ লেখাটির আরেকটি উদ্দেশ্য।

শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তাঁদের কাছে যারা এ লেখায় অনিচ্ছাকৃতভাবে বাদ পড়লেন। জেলা জজ কোর্টের বহু বিজ্ঞ আইনজীবী অনেক ভাল আইন বই ও নানা বিষয়ে অসংখ্য প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখেছেন এবং লিখছেন। এ ছাড়াও আমাদের মাননীয় বিচারকবৃন্দ ও অনেক মানসম্মত বই লিখেছেন এবং লেখালেখির সাথে যুক্ত রয়েছেন। কিন্তু আজ তাঁদের নিয়ে নয়। আজ শুধু আমার সতির্থ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীদের লেখা বই ও তাঁদের লেখালেখির মধ্যে এ নিবন্ধটি সীমাবদ্ধ রাখতে চাই।

এ বিষয়ে কিছু লিখতে হলে প্রথমেই সর্বজনশ্রদ্ধেয় প্রথিতযশা সিনিয়র আইনজীবী প্রয়াত সাবেক এ্যটর্ণী জেনারেল জনাব মাহমুদুল ইসলাম স্যারকে স্মরন করতে হয়। যিনি ৪/৫ টি মহামূল্যবান মৌলিক আইনগ্ৰন্থ রচনা করে আমাদের পরনির্ভরশীলতার গ্লানী থেকে মুক্তি দিয়ে গেছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না Constitutional Law of Bangladesh, Law of Civil Procedure (2 part), Law of Estoppel, Interpretation of Statutes and Documents বইগুলো তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি।অত্যন্ত মানসম্পন্ন এই বইগুলো রচনা করে তিনি শুধু আইন চর্চার ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় আইন বইয়ের দীর্ঘ ঘাটতি ও চাহিদাই পূরণ করেননি নিজেও আইনের ইতিহাসে অমরত্ত্ব লাভ করে আছেন।

তবে বাংলাদেশের প্রথম এ্যটর্ণী জেনারেল প্রখ্যাত আইনজীবী জনাব এম এইচ খন্দকার‌ (মতান্তরে ফকির আব্দুর রাজ্জাক) Mottoes নামে আত্মজীবনীমুলক একটি বই লেখে সম্ভবত স্বাধীন দেশের আইনের জগতে লেখালেখির সূচনা করেন।

এ ছাড়াও বই লিখে যারা স্বীয় মেধা, যোগ্যতা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়র আইনজীবী জনাব এম আই ফারুকী স্যারের লিখিত অসংখ্য জ্ঞানগর্ভ লেখালেখির মধ্যে Law on Abandoned Property with Principle of Administrative Law এবং Citizenships and Nationalities in Bangladesh বই দু'টি খুবই উপকারী ও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সিনিয়র এডভোকেট প্রবীর নিয়োগীর লেখা Law of Specific Relief বইটি মাহমুদুল ইসলাম সাহেবের বইয়ের মত আকারে বেশ বড় হলেও সিভিল মামলায় আমাদের নিত্যসঙ্গী হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

খ্যাতিমান সিনিয়র আইনজীবী প্রয়াত জনাব ড.এম জহির Company and Securities Laws নামে একটি জরুরী বই লিখে কর্পোরেট আইনের জগতকে সম্মৃদ্ধ করেছেন।

আরেকজন বিশিষ্ট আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি জনাব আবুল খায়ের বেশ পরিশ্রম করে 67 Years Civil Ready References নামে একটি ভাল রেফারেন্সগ্ৰন্থ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তিনি 'টুকরো খবর' এবং 'পিছনে ফিরে দেখা আদি ভারতবর্ষ থেকে বাংলাদেশ' শিরোনামে রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাবলী নিয়ে কলাম ধারাবাহিকভাবে ফেইসবুকে লিখে যাচ্ছেন।

প্রখ্যাত ফৌজদারি আইনবিদ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সহ-সভাপতি শ্রদ্ধেয় এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন স্যার ও দন্ডবিধির উপরে দুই খণ্ডে বেশ বড় কলেবরে একটি অসাধারণ বই লিখেছেন। বইটির নাম Penal Code with all analytical & expository Commentry. এডভোকেট তাহা মোল্লা‌ ও এই বইটির সহ-লেখক।

এডভোকেট এ, এফ, এম, আব্দুর রহমান স্বনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। তিনি আইনজীবী থাকাবস্থায় 'বাউন্সকৃত চেক এর স্বল্পসময়ে টাকা আদায় মোকদ্দমা আইন (ফৌজদারি ও দেওয়ানি)' নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ বই লিখেছেন। উক্ত ছোট্ট বইটির ফুটনোটে তিনি বেশ ঘাঁটাঘাঁটি করে এ উপমহাদেশের অসংখ্য রেফারেন্স দিয়েছেন যা থেকে অনেকেই উপকৃত হবেন। 

বন্ধু ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় সেদিন তার লেখা Law on Vested Property বইটি উপহার দিল। সর্বশেষ সংশোধনীসহ বইটিতে অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক যাবতীয় আইন ও বিধি সন্নিবেশিত করে পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করেছে। বুঝা গেল তুষার কেবল তুখোড় আইনজীবীই নন একজন ভাল লেখক ও বটে। তুষার যথেষ্ট পরিশ্রম করে এ মহৎ কর্মটি সম্পাদন করেছেন।

শাহ মঞ্জুরুল হক একজন লব্দ প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা আইনজীবী হিসেবে বারে সমাদৃত। এছাড়াও তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে বহু আগে থেকেই সম্পৃক্ত রয়েছেন। অত্যন্ত সফল ও ব্যস্ত এ আইনজীবীর কালেকশনে/চেম্বারে কোটি টাকার উপরে বই আছে শুনে বেশ ভাল লাগল। তাঁর আন্তরিকতা, বদান্যতা ও সহ্নদয়তার কথা আজ সর্বজনবিদিত। তিনি চলনে বলনে যেমন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ত্বের অধিকারী তেমনি একজন সুলেখক ও বটে। অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করে তিনি CPC, Muslim Law & Jurisprudence নামে যে বইগুলো লিখেছেন তা আমাদের অনেক উপকারে আসবে।

ড: কাজী জাহেদ ইকবাল একজন প্রাজ্ঞ ও সফল আইনজীবী ও গবেষক। তিনি এ পর্যন্ত ৪টা বই লিখেছেন ও বেশ কয়েকটি আর্টিকেল লিখেছেন।  বইগুলো হলো- Legal Research Miscellany, বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনী ১৯৭২-১৯৮৮: প্রক্ষাপট ও পর্যালোচনা, বাংলার সাংবিধানিক ইতিহাস, ভারতের সাংবিধানিক ইতিহাস। ফরেনসিক এভিডেন্স নামে তাঁর আরেকটি বই শীঘ্রই বেরুবে। এছাড়াও ল' জার্নালসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সাময়িকীতেও তাঁর অনেক আর্টিকেল ছাপা হয়েছে।

অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন নামে সুপ্রিম কোর্টের আরেকজন আইনজীবীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে না চিনলেও তিনি নাকি 'প্রশাসনিক আইন' সহ শতাধিক আইনগ্ৰন্থ লিখেছেন।

অনেক কেইস ল' উল্লেখ করে 'অর্থ ঋন আদালত আইন' বিষয়ক একটি প্রয়োজনীয় বই লিখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আরেকজন আইনজীবী মোঃ মোবারক হোসেন ভূঁইয়া।

এসিড, যৌতুক, অপহরণ, পিতা-মাতার ভরণ পোষণ, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা, ডিএনএ ও শিশু সংক্রান্ত আইনসহ অনেকগুলো আইনকে সংকলিত করে বেশ কিছু প্রাসঙ্গিক দেশী বিদেশী নজির উল্লেখ করে ' নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন' নামে একটি প্রয়োজনীয় সংকলনগ্ৰন্থ প্রকাশ করেছেন এডভোকেট জাকির উদ্দিন আহমদ।

জনস্বার্থে মামলা করে বেশ পরিচিতি ও সুনাম অর্জন করেছেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি তাঁর পরিচালিত জনস্বার্থের মামলার রায়সমুহকে লিপিবদ্ধ করে একটি সুন্দর সংকলন প্রকাশ করেছেন। নাম দিয়েছেন Judgements on Public Interest Litigation.

ব্যারিষ্টার মোঃ আব্দুল হালিম Vat Laws and Rules in Bangladesh নামে একটি বই লিখেছেন। এছাড়াও তিনি Constitution, Constitutional Law and Politics: Bangladesh Perspective, Amendments of the Constitution of Bangladesh: Legislative versus Judicial এবং
The 13th Amendment Judgement সহ এ যাবত ৭টি বই লিখেছেন।

এডভোকেট মোঃ হুমায়ূন কবীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা বেশি করে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি প্রয়োজনীয় রেফারেন্সসহ 'বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধি' নামে একটি বেশ উপকারী সংকলনগ্ৰন্থ রচনা করেছেন।

ড: সাঈদা নাসরিন একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান, প্রতিশ্রুতিশীল ও পরিশ্রমী আইনজীবী। তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম Basics of Legal Drafting যা আকারে কিছুটা বড় হলেও নুতন প্রজন্মের আইনজীবী ও শিক্ষার্থীদের অনেক উপকারে আসবে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ও বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেনকে নুতন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। আইনঙ্গের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র আইন বই না লিখলেও 'Bangladesh a quest for freedom and Justice' স্বায়ত্ত্বশাসন থেকে স্বাধীনতা: ১৯৬৬-১৯৭১, এবং 'মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল' নামে তিনটি অসাধারণ বই লিখেছেন।

ব্যারিষ্টার আমীর উল ইসলাম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ও আইনঙ্গের আরেক দ্রুবতারা। তিনিও আইন বই না লিখলেও 'মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি' নামে একটি চমৎকার বই লিখেছেন।

ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ সাবেক সফল আইনমন্ত্রী ও দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী। তিনিও আইন বিষয়ক বই না লিখলেও ' মন্ত্রিত্ত্বকালীন পাঁচ বছরে' নামে স্মৃতিচারণমূলক একটি ভাল বই লিখেছেন।

এডভোকেট দেওয়ান আব্দুন নাসের একটি সুন্দর বই লিখেছেন, বইটির নাম 'ফৌজদারি মামলায় জেরার কৌশল' যা বিচারিক আদালতের নবীন আইনজীবীদের জন্য একটি সহায়ক গ্ৰন্থ হবে বলে আমি মনে করি। সদ্য প্রয়াত নিভৃতচারি এক মিষ্টভাষী আইনজীবী এডভোকেট এম এ হারুনের Roots of Courts নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি আমাকে এর একটি কপি দিয়েছেন।

এডভোকেট কামাক্ষা নাথ সেন 'হিন্দু আইন' ও 'অগ্রক্রয় আইন' নামে দুটি বই লিখেছেন এবং এডভোকেট মোঃ আব্দুর রহমান হাওলাদার 'অর্থ ঋন আদালত আইনের বিশ্লেষণ' নামক একটি বিশ্লেষণধর্মী ভাল বই লিখেছেন।

আমাদের বারের বিজ্ঞ আইনজীবীদের লিখিত বই ছাড়াও অনেকের করা গুরুত্বপূর্ণ মামলাসমুহ বিভিন্ন  ল' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ও হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রকাশিত মাসিক ল' জার্নালগুলোর মধ্যে  DLR,  BLD,  BLC,  ALR, ADC,  BSCD, CLR,  LG,  LNJ,  MLR,  BLT উল্লেখযোগ্য। উল্লেখিত ল' জার্নালে রিপোর্টেড কেইসগুলোই সাধারণত ল' ইয়ারদের পেশাগত উৎকর্ষতার মান ও মানদন্ড হিসেবে ধরা হয়। আমার এ লেখায় উল্লেখিত ল' ইয়ারদের  মধ্যে অনেকের পরিচালিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা উল্লেখিত ল' জার্নালগুলোতে স্থান পেয়েছে। এই অধমেরও কয়েকটি স্থান পেয়েছে। এ নিয়ে লেখালেখির বিস্তর অবকাশ রয়েছে তবে হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোন খানে।

এ ছাড়াও আরিফ খানের সম্পাদনায় মাসিক আইন সাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা 'লিগ্যাল ইস্যু' নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। বিষয় বৈচিত্র ও গুণগত মানের কারনে ইতিমধ্যে এটি সবার নজর কেড়েছে এবং যথেষ্ট পাঠক প্রিয়তা অর্জন করেছে। এখানেও উচ্চ আদালতের আইনজীবী বন্ধুদের অনেক বস্তুনিষ্ট লেখা ছাপা হচ্ছে।

আইনজীবীদের মধ্যে অনেকেই ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানা বিষয়ে লেখালেখি করে সাড়া  জাগিয়েছেন। কয়েকদিন আগে চোখে পড়লো শ্রদ্ধেয় ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সাহেবের একটি লেখা। শোকাবহ ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুর সাথে তিনিও প্রানপ্রিয় মা বাবাকে হারিয়েছেন। সেদিনের ছোট্ট শিশু মনে তাঁর মা'য়ের তেমন কোন স্মৃতি নেই। তথাপি মা জননীকে নিয়ে 'স্মৃতি না থাকার বেদনা যে কি কষ্টের' শিরোনামে হ্নদয়ছুঁয়া যে স্মৃতিচারণমূলক লেখাটি তিনি লিখেছেন তা পড়ে আমি আবেগাপ্লুত না হয়ে পারিনি। অনবদ্য এ লেখাটি পড়তে পড়তে বার বার চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল। আমিও মাত্র দু'বছর বয়সে পিতৃহারা হই। সর্বনাশা কলেরা হঠাৎ আমার বাবাকে কেড়ে নেয়, আমার স্মৃতিতেও বাবা নেই। তবে সত্যি বলতে কি ১৫ই আগষ্ট এর বীভৎস বর্বর নারকীয় হত্যাকান্ড কারবালাকেও হার মানিয়েছে। শ্রদ্ধেয় তাপস স্যারেরা যে কঠিন যন্ত্রনা বয়ে বেড়াচ্ছেন তার কোন তুলনা বা পরিমাপ হয় না। অত্যন্ত দূরদর্শী স্মার্ট, বিচক্ষণ, মেধাবী,আইন অঙ্গনের প্রানভোমরা, সাবেক এমপি ও ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের করিৎকর্মা মাননীয় মেয়র তাপস সাহেবও যে লেখালেখিতে সিদ্ধহস্ত ও একজন কলম সৈনিক তা আমার জানা ছিল না।

স্বনামধন্য নিয়মিত আইনজীবী ও টিভি ব্যক্তিত্ত্ব ব্যারিষ্টার অনিক আর হক ও খুব ভালো প্রবন্ধ লেখক। কমিকস ও স্যাটায়ারে তাঁর কোন জুড়ি নেই। অনিক ভাই একজন মেধাবী প্রেকটিসিং ল'ইয়ার এবং অত্যন্ত রসবোধসম্পন্ন প্রানবন্ত একজন মানুষ। তিনি সকল আড্ডার প্রানপুরুষ। নিগশিয়েবুল ইষ্ট্রুমেন্ট এক্ট এর উপর তাঁর একটি বই শীঘ্রই আলোর মুখ দেখবে। ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, আমাদের বারের বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ। তিনি একজন দক্ষ ও বিচক্ষণ আইনজীবী এবং অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। সমসাময়িক বিষয়ের উপর তিনি একজন নিয়মিত প্রবন্ধ লেখক।

সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক, সুবক্তা, টক'শ খ্যাত, মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সিনিয়র আইনজীবী শ্রদ্ধেয় জনাব শ ম রেজাউল করিম স্যার শুধু মঞ্চে ময়দানে বক্তৃতায় পটু নন তাঁর কলমেও অগ্মি ঝরে। সেদিন 'বঙ্গবন্ধু হত্যা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও সংবিধান লঙ্ঘন প্রসঙ্গ' শিরনামে তাঁর চমৎকার লেখাটি পড়ে মনে হলো, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। এছাড়াও দৈনিক কালের কণ্ঠে সদ্য প্রয়াত শ্রদ্ধাভাজন এ্যটর্ণী জেনারেল মাহবুবে আলম স্যারকে নিয়ে তিনি একটি মর্মস্পর্শী আর্টিকেল লিখেছেন।

সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রখ্যাত আইনজীবী, যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান বর্তমান আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী সিনিয়র এডভোকেট জনাব আনিসুল হক স্যার অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীলভাবে তাঁর অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে পারেন, যেমন পারেন সুপ্রিম বারের সাবেক সম্পাদক ও বর্তমান বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সিনিয়র এডভোকেট শ্রদ্ধেয় মোঃ মাহবুব আলী।

আইন বই ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের অনেক আইনজীবী গল্প, উপন্যাস ও কবিতাসহ অন্যান্য বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও বই লিখেছেন এবং লিখছেন।

ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদকে নুতন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। মন্ত্রী, এমপি, প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি এমনকি কয়েক মুহূর্তের জন্য ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের বাইরে থাকাকালীন পুরো সময়টা তিনি কোর্টে কাটাতে বোধহয় সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। জৈষ্ঠ্য এ আইনজীবী আইন বিষয়ে বই না লিখলেও অন্যান্য বিষয়ে তিনি এযাবত নয়টি বই লিখেছেন। তাঁর বইয়ের মধ্যে- সংসদে যা বলেছি, দক্ষিণ এশিয়া: উন্নয়নের সংকট, Democracy and the Challenge of Development, চলমান ইতিহাস,
Bangladesh: Era of Sheikh Mujibur Rahman &
Bangladesh: Constitutional Quest for Autonomy প্রণিধানযোগ্য।

ব্যারিষ্টার মইনুর হোসেন। জৈষ্ঠ্য আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি। ইত্তেফাকের মইনুল হোসেন হিসেবে সমধিক পরিচিত। তিনিও আইন বিষয়ক বই না লিখলেও 'গনতন্ত্রের সাফল্য চাহিয়াছি' নামক একটি বই লিখেছেন। এ ছাড়াও তিনি পত্রপত্রিকায় বহু নিবন্ধ লিখেছেন।

ব্যারিষ্টার মোকছেদুল ইসলাম তাঁর লিখিত বইয়ের তিনটি সৌজন্য কপি আমাকে দিয়েছেন। তিনি 'মরিচিকা' ও 'অবশেষে' নামে দুটো উপন্যাসতো বহু আগেই প্রকাশ করেছেন।এছাড়াও তাঁর 'একাকিত্ব' নামে একটি কবিতার বইও বেরিয়েছে। তিনি সদা হাস্যোজ্জ্বল, প্রানবন্ত ও  নিয়মিত একজন ভাল আইনজীবী।

এডভোকেট শংকর প্রসাদ দে একজন দক্ষ ও নিয়মিত আইনজীবী,একই সাথে একজন গুণী লেখক। তিনি অর্থনীতি, পরিবেশ, সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ক একজন বিচক্ষণ বিশ্লেষক ও বটে। তিনি 'বিশ্ববাণিজ্যে আঞ্চলিকতা' ও 'কৃষ্ণসময়' নামক চমৎকার দুটি বই আমাকে উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও 'সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দু' বছর', 'পৃথিবী ব্যাপী শঙ্কা: বিপর্যস্ত বায়ুমণ্ডল ও জলবায়ু পরিবর্তন' নামক তাঁর আরো দুটি বই বেরিয়েছে।

এডভোকেট শেখ আখতারুল ইসলাম বেশ আগে 'বয়ে চলে কুড়া নদী' ও 'মুক্তিযুদ্ধের সিপাহশালার বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী' নামে বেশ ভাল দুটি বই লিখেছেন। তিনি একজন ভাল মানুষ,সংগঠক ও বারের পরিচিত মুখ। তিনিও বহু আগে সৌজন্য কপি দিয়েছেন।

এডভোকেট কামাল আমরোহী 'জলজ অনল' নামে একটি ভাল কবিতার বই প্রকাশ করেছেন এবং আমাকে একটি সৌজন্য কপি দিয়েছেন। ব্যস্ত এই আইনজীবী মানুষ হিসেবেও চমৎকার ও কোমল হ্নদয়ের অধিকারী।

এডভোকেট শেখ আব্দুল হক চাষী ভাই শুধু একজন  সুপরিচিত আইনজীবীই নন, তিনি একাধিক গল্প  উপন্যাস ও কবিতার বই লিখেছেন এবং আমাকেও উপহার দিয়েছেন। কবিতায় অন্তপ্রান এই মানুষটির কাব্যগ্রন্থসমুহের মধ্যে- আদিম অরণ্যেবাস, জনাকীর্ণ জনপথ, নক্ষত্র উদ্যান, বিশ্বাসহীন বসবাস, শব্দ নৈঃশব্দ, হ্নদয়ে বঙ্গবন্ধু, লাল কামিজের মত বৃষ্টি, কারাগারের কাব্য উল্লেখযোগ্য। তাঁর প্রকাশিত গল্প ও উপন্যাসের মধ্যে-ছাড়া বাড়ির ভূত(শিশু কিশোর), মেঘের মমতা, ছায়াবাতাসের ঘর, সোনামনিদের মজার মজার গল্প, আদিগন্ত উপমা তুমি উল্লেখযোগ্য। এডভোকেট কাজী ইলিয়াছুর রহমান ও এডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী একাধিক কবিতার বই প্রকাশ করেছেন।

এডভোকেট সাকলান ইমন আইনের ব্যাখা বিশ্লেষণ করে খুব সুন্দর করে লেখার যোগ্যতা রাখে। বিভিন্ন ইস্যুতে তরুণ সম্ভাবনাময় আইনজীবী স্নেহাস্পদ ব্যারিষ্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন ও ভাল লেখেন। ব্যারিষ্টার হাসান আজিম দোলন একজন ভাল আইনজীবী। তিনিও মাঝে মাঝে সুন্দর করে আইন আদালত বিষয়ক নিবন্ধ লিখেন। এডভোকেট রতন কুমার রায় ও একজন সুলেখক বটে। প্রস্তাবিত ভূমি আইন,২০২০ বিষয়ে তিনি একটি সুন্দর মতামতধর্মী নিবন্ধ লিখেছেন। এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি আদালত ও আইনজীবীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধু বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরই নন লেখালেখির মাধ্যমেও তিনি আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন। মেধাবী আইনজীবী জোসনা পারভীনের ছোট ছোট হ্নদয় ছুঁয়া বুদ্ধিদীপ্ত লেখাগুলো ও আমাদের অনাবিল আনন্দ দেয়।

এডভোকেট বি সি সরকারের প্রতিনিয়ত রঙ্গ রসে টইটম্বুর মিনি ফানী রসিকতাপূর্ন পোস্টগুলো শুধু যে আমাদের হাসির খোরাক জোগায় তা নয়, মনকেও চাঙ্গা, প্রাণবন্ত ও সতেজ করে রাখে।

স্বনামধন্য সিনিয়র এডভোকেট শ্রদ্ধেয় জেড আই খান পান্না স্যার অত্যন্ত স্পষ্টভাষী, সদালাপী,উদার ও একজন বড় মাপের মানুষ। তাঁর মত সর্বজনাব শ্রদ্ধেয় এডভোকেট তবারক হোসেন, এডভোকেট বেলায়েত হোসেন‌, এডভোকেট জাহেদুল বারী ও এডভোকেট ফিরোজুর রহমান মোল্লা অল্পকথায় সমসাময়িক বিষয়ে স্বীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্য ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে অকপটে ও দ্বিধাহীনচিত্তে প্রকাশ করেন। মাঝে মাঝে তব দেখা পাই প্রিয় সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র এডভোকেট এ কে এম ফয়েজ, এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, এডভোকেট সগীর আনোয়ার, এডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন, এডভোকেট আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া,এডভোকেট আব্দুল আলীম মিয়া জুয়েল, এডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল ও এডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু ভাইদের মত লব্দ প্রতিষ্টিত আইনজীবীদের প্রাসঙ্গিক টুকটাক লেখনীর।

এডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন লিপু, এডভোকেট   জিয়া উদ্দিন বুলবুল, এডভোকেট শহিদুজ্জামান চৌধুরী, এডভোকেট মোঃ শামসুল ইসলাম, এডভোকেট সরদার আবুল হোসেন, এডভোকেট কাজী হেলাল উদ্দিন, ব্যারিষ্টার মাসুদ হোসেন দোলন, এডভোকেট হুমায়ূন কবীর বাবুল, এডভোকেট মোঃ ইকবাল করিম, এডভোকেট কুমার দেবুর দে, এডভোকেট মোঃ মুজিবুল হক, এডভোকেট স্বপন কুমার দত্ত, এডভোকেট কাজী রেহানা পারভীন, এডভোকেট ফয়ছল সিদ্দিকী, এডভোকেট আফিফা আফরোজ রানী,ব্যারিষ্টার মাহদীন চৌধুরী, ব্যারিষ্টার ওমর ফারুক, এডভোকেট ফজলে এলাহি অভি, এডভোকেট নাজমা আফরিন সুমনা, এডভোকেট ইনামুল হোসেন সুমন, ব্যারিষ্টার সাখাওয়াত হোসেন খান, এডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ব্যারিষ্টার ফারজানা রশিদ, এডভোকেট অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য, এডভোকেট রিফাত চৌধুরী, এডভোকেট সেলিম রেজা চৌধুরী, এডভোকেট শেখ আলী আহমদ খোকন, এডভোকেট রাশেদ খোকন, এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, এডভোকেট শাহ নেওয়াজ, এডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, এডভোকেট কাজী আকতার হোসেন, এডভোকেট আনিসুর রহমান, এডভোকেট ফরহাদ আহমেদ ভূঁইয়া, এডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম, এডভোকেট আব্দুল আজিজ মিন্টু, এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু, এডভোকেট কাজী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, এডভোকেট মোহাম্মদ সরফরাজ মিয়া,এডভোকেট খন্দকার আরিফুল হক, এডভোকেট রাশিদা আলীম ঐশী, এডভোকেট পিকে সরকার, এডভোকেট মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান, এডভোকেট মোস্তফা কামাল বাচ্ছু, ব্যারিষ্টার ইমরানুল কবির, এডভোকেট নেছা মোছাম্মৎ খাইরুন, এডভোকেট মাহমুদুল মুরছালিন, এডভোকেট কালিপদ মৃধা, ব্যারিষ্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট এস, এম, শাহনূর,এডভোকেট সুরজিৎ ভট্টাচার্য, এডভোকেট জাহেরুল ইসলাম, এডভোকেট মোজাম্মেল হক, এডভোকেট মলয় রায়, এডভোকেট টাইটাস হিল্লোল রেমা, এডভোকেট সামসুদ্দিন দুলাল, এডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ, এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দীপন, এডভোকেট শাহ মোঃ এজাজুর রহমান, এডভোকেট সফিউল আজিজ ফয়সল, এডভোকেট ফারজানা সুলতানা, এডভোকেট মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, এডভোকেট জিয়াউর রহমান, এডভোকেট নাহরীন তানিয়া, ব্যারিষ্টার উপমা সাহা,এডভোকেট মাসুদ রুমী ও এডভোকেট দেওয়ান ফেরদৌস আরা মুন্নি, প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে দক্ষ ও খ্যাতিমান আইনজীবী। তাঁরাও কমিবেশী ছোট ছোট সুন্দর সুন্দর মন্তব্য, গল্প, ছড়া, কবিতা, কৌতুক এবং অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিকথার পসরা নিয়ে ফেসবুকে হাজির হয়ে স্বীয়  চিন্তা,চেতনা ও মননশীলতার পরিচয় দেন।

তবে লেখক, প্রকাশক, ও বইপ্রেমীদের জন্য সবচেয়ে বড় সুসংবাদ হলো সেই ১৯৪৭ সাল থেকে ঢাকা হাই কোর্টের ৭৩ বছরের ইতিহাসে কোর্ট প্রাঙ্গণে বইপত্র বিক্রির জন্য কোন নির্দিষ্ট স্থান ছিল না। যত্রতত্র বসে বিক্রেতারা বইপত্র ও ল'জার্নালগুলো বিক্রি করতেন। বারের বর্তমান দূরদর্শী নেতৃবৃন্দ মূল বার ভবনের নিচতলার মধ্যখানের খোলা স্থানে বুক সেলারদের স্থায়ীভাবে বুকষ্টল বানিয়ে দিয়ে একটি কাজের কাজ করেছেন। নবনির্মিত এই ষ্টলগুলোর একপাশে বারের প্রবেশমুখ থেকে সরিয়ে এনে যুৎসই স্থানে ওকালতনামা বিক্রির জন্য স্বচ্ছ কাঁচ ঘেরা একটি কাউন্টার তৈরি করা হচ্ছে এবং সেইসাথে লিগ্যাল এপারেল ও ইস্যুগুলো বিক্রির জন্য আলাদা দুটো রুম তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এজন্য নব নিযুক্ত এ্যটর্ণী জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির জনপ্রিয় সম্মানিত সভাপতি আমার পরম শ্রদ্ধেয় জনাব এ এম আমিন উদ্দিন এবং বারের স্বার্থে নিবেদিতপ্রাণ, উন্নয়নবান্ধব চৌকস সেক্রেটারি ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সহ বর্তমান কমিটিকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিতেই হয়।

সদ্য প্রয়াত এ্যটর্ণী জেনারেল জনাব মাহবুবে আলম স্যার বইয়ের পোকা ছিলেন। সঙ্গীত ও বইয়ের সাথে ছিল তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। পরিশেষে এ নিবন্ধটি আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ত্ব শ্রদ্ধেয় মাহবুবে আলম স্যারসহ মহামারী করোনা কালে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া আমার সতির্থ বিজ্ঞ শতাধিক আইনজীবী বন্ধুদের অমর স্মৃতিতে উৎসর্গ করলাম।
                      

দিদার আলম কল্লোল
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top