সিডনী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

পরবের বাজারে : অমর মিত্র 


প্রকাশিত:
১০ নভেম্বর ২০২০ ০২:৩৮

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ২১:০৮

ছবিঃ অমর মিত্র 

 

বাজার বসবে নাকি, বাজার?  রাঙামাটির বুড়ো নয়নচাঁদ জিজ্ঞেস করল, সংক্রান্তির বাজার?
বাজার না বসলে লোকে যাচ্ছে কোথায়? এক বুড়ি হাঁচড়-পাঁচড় করে হাঁটতে হাঁটতে বলল, বাজার এবার খুব বড় হবে শুনা যাচ্ছে, তুমিও আস, দেখা হবে।বুড়ো নয়নচাঁদ জিজ্ঞেস করল, ভাইটগড়ের ভাবুকচরণ আসবে?
বুড়ি বলল, গিয়ে দ্যাখো কেডা আসবে কেডা আসবে না, আমারে যেতি দাও।

নয়নচাঁদ বসে আছে তার ভিটের সামনে উঠনে তালপাতার পাটিতে। গায়ে একটি র‍্যাপার, মাথায় একটি সস্তার উলের টুপি। টুপিটি আগের বছর সংক্রান্তির বাজার থেকে কেনা। আবার এক সংক্রান্তি এসে গেল। মধ্যে কতবার মরো মরো হয়েছিল বুড়ো, মরেনি। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে চালান হয়েছিল, হাসপাতাল থেকে ড্যাং ড্যাং করে ফেরত এসেছিল। নানা রোগ তার লেগেই আছে, কিন্তু কোনোটিই তাকে কাবু করতে পারেনি। বুড়োর একটি আশ্রিতা আছে, কেউ বলে সে তার শেষ পক্ষ। সারা জীবনে আরো চার  পক্ষ হয়েছিল। তাদের একজন আগে চলে গেছে, আর একজন তাকে ত্যাগ করে গেছে। তার আগে তিন বিঘে লিখে নিয়েছিল তার নামে, সেই দলিল সমেত ভেগেছে। পরে শুনেছে জমি বেচে দিয়েই চলে গেছে পাঁচ কাহানিয়ার সর্বেশ্বর পতির সঙ্গে। তার বয়স কম ছিল। বয়স দিয়ে ভুলিয়েছিল তাকে। বুড়োর অভ্যেস এমন।কম়্ বয়স তাকে ভুলিয়ে দেয়। তৃতীয়জন অবশ্য ক’দিন খেয়ে দেয়ে গায়ে গতরে শাঁসাল হয়ে চলে গেল। আমি এবার যাই  নয়নচাঁদ, তুমি ভালো থেক। সব পক্ষই জুটিয়ে আনা সংক্রান্তির বাজার থেকে। সংক্রান্তি হলো পৌষের। সংক্রান্তিতে বড় পরব,  টুসু ভাসান, পিঠে পরবের  মোচ্ছব।  ঠিক তার আগে শনিবারের যে হাট তাই হলো সংক্রান্তির আগের বাজার। আজ সেই বাজার, সকাল থেকে সন্ধে অবধি চলবে, সন্ধের পরও চলবে। বেচা-কেনা শেষ হতে রাত হবে। তারপর ঘুমবে সব। চাদ্দিকে পরবের সূচনা হতে থাকবে।

বুড়ি চলে গেল। তার কি সময় আছে, সাতকেলে বুড়োর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলার। বুড়ো নয়নচাঁদের বয়স কত হবে, পাঁচ কুড়ি হলো কি?  না তার চেয়ে বেশি। চোখে দ্যাখে কি, না কি দ্যাখে না তেমন? যদি না দেখবে, তবে লোককে ডাকে কী করে। এই যে বুড়ি গেল, এই বুড়ি যখন ছিল যুবতী, নয়নচাঁদের কাছে এক সংক্রান্তির বাজারে পরস্তাব দিয়েছিল, হ্যাঁ গো আমারে তুমি নেবা?

অভাবী বাপের মেয়ে ছিল। বাপ তাকে দূর দেশের লোকের হাতে তুলে দেওয়ার তাল করছিল। এমনি হত কত। মেয়ে বাজার করতে আসত বিহার থেকে, পাঞ্জাব থেকে। বিনিময়ে মেয়ের বাপ কিছু পেত। তখন নয়নচাঁদের যৌবন। প্রথম পক্ষ থাকতেই দ্বিতীয় পক্ষ ঘরে তুলেছিল, তার সম্পত্তি কম ছিল না। বাপের সম্পত্তি, মায়ের সম্পত্তি, আর নিজের কেনা কিছু। সম্পত্তি হলে একটার বদলে দুটি বউ রাখা যায়। কিন্তু ফল হলো বিষময়, প্রথম পক্ষ তিনদিনের ভিতরে বিষ খেল।  হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে ভ্যান রিকশায় শেষ। তখন কত কথা উঠেছিল, দ্বিতীয় পক্ষ সরিয়ে দিল প্রথমকে। সেই সময়ই বুড়ি এসেছিল। তার নাম চাঁপা। কিন্তু বুড়ি বলেই চিনত সকলে।

বুড়ো নয়নচাঁদের সব মনে আছে। কালো পাথরের মতো রঙ, গোল মুখখানি, মানবী বৃক্ষে ফুল ফুটেছে, সর্ব অঙ্গ ভরে উঠেছে, কালো চাঁদের মতো বুক, তার ভিতরে দুটি নয়ন তারা ফুট ফুট,  তাকে খুলে দেখিয়েছিল সে। বলেছিল, ছুঁয়ে দ্যাখো, সংকেরান্তির বাজারে এমন তুমি পাবেনি।

জোয়ান নয়নচাঁদ বলেছিল, দুটি একসঙ্গে রাখা বড় সমিস্যার গো, তুমি যদি ঘরে ওঠ, তোমার সতীন বিষ খাবে।

না খাবে না, আমি এক বেলা তুমারে নেব, তারে এক বেলা দিয়ে দেব, ভাগ করে নেব গো।

নয়নচাঁদ বলেছিল, সে ভাগ দেবে না, কিন্তু তোমারে দেখে যদি বিষ খায়, দারোগা আমারে ছাড়বে না, বলেছে ফের যদি এমন হয়, ছমাস জেল, একমাস ফাঁসি।

আমার যে তুমারে বড় পছন্দ নয়নচাঁদ।

পছন্দ করলি তো হয় না মণি, বাজারে কত কিছু, সব পছন্দ হলেও কি সওদা করা যায়? 

মন খারাপ করে বাজারের ভিড়ে মিশে গিয়েছিল সে।  সংক্রান্তির বাজারে কত জিনিশ। সারা বছরের সওদা করে নাও। শাড়ি কাপড় থেকে থালা বাসন, কাঠের আলমারি, বারকোশ, আলনা, পিড়ে, চৌকি, তক্তপোষ, গুড়পাটালি, চাল ডাল লবন পিঁয়াজ আদা রসুন, কচি কচি মুর্গি মোরগ, হাণ্ডায় ভরা দুধ, ছানা, ঘি মাখন...। তারপর ভাইটগড়ের ভাবুক চরণ, যে বাতের ব্যথা দূর করে, চোখের অল্প দৃষ্টি ফিরিয়ে আনে, রাত কানার ওষুধ বেচে। তার সঙ্গে যৌবনবটিকা। বুড়ো মানষির জন্য অব্যর্থ ওষুধ। সে চলে যাওয়ার পর নয়নচাঁদের মনে হলো সে যে এল, তার কাছে পরস্তাব দিল, তার বদলে তার পাওনা কিছু তো হলো। দিতেই পারত একখানি লাল ডুরে শাড়ি, কিংবা সের কয়েক পাটালিগুড়, কাছিমের মাংস...। খুঁজেছিল চাঁপাকে। পায়নি। কিংবা পেয়েছিল। বাজারের শাড়ি কাপড়ের দোকানে এক আধবুড়োর সঙ্গে সওদা করছিল লাল ডুরে শাড়ি। তখন তার মন খারাপ হয়েছিল কিছু সময়। যাই হোক, সে ছিল সংক্রান্তির বাজারের কথা, বাজারে কথা হলো, বাজারেই মিটে গেল। সেই চাঁপা চলে গেল গিরিডি। ফিরেও এল ছ’মাস বাদে। হদ্দ এক বুড়োর সঙ্গে থাকবে কী করে, তার বড় হাত চালানো স্বভাব, পিঠে গায়ে দাগ নিয়ে তার সিন্দুক থেকে টাকা বের করে নিয়ে  চলে এসেছে। এদিকে যদি আসে, দেখা যাবে। এলাকার জোয়ানরা সব তৈরি থাকল লাঠিসোটা নিয়ে। তারা আর আসেনি।

সেই বুড়ি এই সকালে গেল বাজারে। মনে পড়ে নয়নচাঁদের, সে গিরিডি থেকে  ফিরে এসেও বলেছিল, যদি মনে কর, আমারে খোঁজ করো সংকেরান্তির বাজারে, আমি চলে আসব তোমার ভিটেয়।

বুড়োর এই পঞ্চম পক্ষের নাম পঞ্চমী। সে খুব খরখরে। কথায় কথা শোনাতে খুব পারে। তৈরি হচ্ছে সংক্রান্তির বাজারে যাবে। না গেলে হয় না। যাওয়াই রীত। যা দরকার সওদা করে ভ্যান রিকশ চাপিয়ে নিয়ে আসবে। একটা তক্তপোষ কিনতে হবে। দড়ির খাটিয়ায় শুয়ে তার কোমরে ব্যথা ধরে যাচ্ছে। আর এই শীতে মাটির মেঝেয় শোয়া যায় না। বুড়ো আবার জমকা শীতে তাকে ছাড়া শুতে পারে না। একা শুলেই নানা রকম স্বপ্ন দেখে। সবই মরার স্বপ্ন। হাসপাতালের স্বপ্ন। কলেরা ম্যালেরিয়ার স্বপ্ন।  বুড়ো বলেছে নিয়ে আয় তক্তপোষ, আর যা যা লাগে নিয়ে আয়। আগেরবারও বাজারে গিয়েছিল সে। সেই  আগেরবার সংক্রান্তির বাজারেই পেয়েছিল পঞ্চমীকে। রুগ্ন মেয়েটা গাছ তলায় বসে আছে। তার শ্বশুরবাড়িতে তাকে পুড়িয়ে মারবে বলে ভয় দেখিয়েছিল। একবার কেরোসিনে ভিজে সে পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছিল। সেই কথা শুনে তার মায়া হয়েছিল, বলেছিল, ‘চ আমার সঙ্গে। ভাত পাবি, কাপড় পাবি, পান পাবি, সুপুরি পাবি, স্নো পাউডার সব দেব।’

সেই থেকে পঞ্চমী আছে। পঞ্চমী এলে তার সতীন বিন্দুবালা পান চিবোতে চিবোতে বাপের বাড়ি চলে গেল। বাপ মায়ের ছিল দুই সন্তান। বড় ভাই খুন হয়েছিল পার্টি করতে গিয়ে, সুতরাং সম্পত্তি সব তার। অভাব নেই বাপের বাড়িতে। সে সতীনের সঙ্গে ঘর করবে কেন? পঞ্চমী তার পা ধরেছিল, দিদি, আমি তোমার ঝি, যা বলবা তাই করব, আমি পুড়ে মরতাম শ্বশুরঘরে, খোঁজ নাও তুমি পাথরার আকুল পৈড়ার বাড়িতে, তাদের ঘরের বউ ছিলাম আমি।

কী খোঁজ নেবরে, তারা কি বলবে তোকে কেরোসিনে ভিজিয়ে দেশলাই ঠুকে দেবে।

না। পঞ্চমী চুপ করে গিয়েছিল। বরং বলবে বউ পালিয়েছে, দুশ্চরিত্রা। কিন্তু বুড়োর সঙ্গে কেউ পালায়? এই কথাটি বলবে কে?

নয়নচাঁদ দেখে পঞ্চমীকে। পঞ্চমী কি তার পঞ্চম নারী, সংক্রান্তির বাজার থেকে ভাত কাপড়ের বিনিময়ে নিয়ে আসা। বুড়োর এখন মাথার ঠিক থাকে না। ভুলে যায় খুব। পঞ্চমীর আগে কে ছিল, চাঁপা? না চাঁপা তো আসেইনি তার ঘরে। একবার আসতে চেয়েছিল। তার মনে আছে সেই দিনটির কথা। বাতাসে উঠিছে রোল, টুসু ভাসিবে, মদে মাতাল মানুষ বাজারে টলে বেড়াচ্ছে, তারও নেশা ছিল। সংক্রান্তির বাজারে নেশা করতে হয়। না করলে হয় না। আর সংক্রান্তিতে তো চলে মহুয়া, হাঁড়িয়া, চোলাই...। সে পঞ্চমীকে বলল, পারলে এক বোতল আনিস তো।

কী আনব, কেরাচিন?
উফ, কী যে বলিস তুই, মহুল।
তুমি নেশা করবা?
সংকেরান্তির দিন, মাংস আর মহুল কি চলে না?
তারপর হাসপাতাল নিয়ে যাবে কে?
হাসপাতাল যাব কেন, কিছু হবেনি।

পঞ্চমী খরখর করে উঠল, ছ-মাসে তিনবার গেছ কত্তা, এবার গেলে আর ফিরবা না।

বুড়ো নয়নচাঁদ চুপ করে থাকে। পঞ্চমীর মুখের জন্যই শ্বশুরঘরে তার স্থান হয়নি যে তা বোঝা যায়। তার কথাটা যেন ধরেই নিল পঞ্চমী, বলল, যাও না পাথরার পৈড়া ঘরে, খুঁজ নিয়ে এস পঞ্চমী কেমন ছিল, শুনেছি আমার শাউড়ি আমার জন্য কাঁদে।

একথা বলছিস কেন, আমি কি খারাপ বলেছি?
খরখর করি বললে না, আমি কুঁদুলি।
কখন বললাম?
এই তো বললে, ওই জন্য শ্বশুরঘরে আমার জায়গা হয়নি, জীয়ন্ত পুড়িয়ে মারবে ভেবেছিল শ্বউর আর তার ছোট ছেলে।
ছোট ছেলে তোর সোয়ামী?

মুখে কাপড় দিল পঞ্চমী, ধ্যাত তা হবে কেন, সে তো মিলিটারি, শুধু যুদ্ধ করে আর যুদ্ধ করে, বরফের দেশে যুদ্ধ করে।

বুড়ো এত কথা জানত না। মিলিটারির বাবার খুব টাকার খাঁই, বাজারে পয়সা দেওয়া ঘর অনেক আছে, সেই ঘরের মেয়ে আনলেই হত। মিলিটারির বাবার খুব দর্প, একটা বউকে যদি পুড়িয়ে মারে আর একটা আনা যাবে ছেলের জন্য। কে কী করবে? সে মিলিটারির বাবা, দারোগা পুলিশ তাকে কত সম্মান দিয়ে কথা বলে। বলে, ‘শত শহীদের রক্তে দেশের মাটি রক্ষা হচ্ছে।’

মরণ! সবাই শহীদ হবে কেন। মাথামোটা মিলিটারির বাপ বাড়ি ফিরে কথাটা বড় মুখ করে বলেছিল মিলিটারির মাকে। তাতেই ক্ষেপে উঠেছিল পঞ্চমী, যা তা বলেছিল মিলিটারির বাপকে। তারপরেই গোলমাল।

পৌষমাস আর ক’দিন মাত্র। শীত এবার বেশি পড়েছে। বর্ষাও বেশি হয়েছিল। গরমও খুব পড়েছিল। এত কিছু বেশির ভিতরে  সে সিজিনে সিজিনে মরতে মরতে বেঁচে ফিরেছে পঞ্চমীর গুণে। পঞ্চমী সংসার সাজিয়ে দিচ্ছে। তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যা পঞ্চমী, খরখর যা, খরখর ফের। ভাইটগড়ের ভাবুকচরণ দাস যদি আসে চোখের বটিকা নিয়ে আসিস, আঁধারকানার জন্য ভাবুক দাসের ওষুধ অব্যর্থ।

তাকে খাইয়ে বেরোল পঞ্চমী। সে শীতের রোদে শুয়ে থাকল। কী ওম! এত ওম মেয়েমানুষের গায়েও নেই। পঞ্চমী হলুদ শাড়ি পরে লাল জুতো পায়ে, নীল হার গলায়, গোলাপি লিপস্টিক ঠোঁটে  বুলিয়ে চলল সংক্রান্তির বাজারে। বুড়ো নয়নচাঁদ আগের বার গিয়ে পঞ্চমীকে নিয়ে ফিরেছিল, এবার যাওয়ার ক্ষমতা নেই। এবার পঞ্চমী যাচ্ছে সওদা করতে। 

বেলা গড়িয়ে এল। রোদের তাপ কমে এল। ভ্যান রিকশা এল সন্ধের মুখে। বুড়ো তখন দাওয়ায় গিয়ে উঠেছে। পঞ্চমীর জন্য বসে আছে। কাল বাদে পরশু সংক্রান্তি। পিঠে পরব। মাংস হবে। মহুল হবে। আহা! বুড়োর চোখ জুড়িয়ে আসে।

এলাম শেষ পর্যন্ত। নারী কন্ঠ গোধুলিবেলায় বেজে ওঠে। কে এল?
চাঁপা, চম্পা, মোর নাম চম্পাবতী...।
বুড়ি, সকালে বাজারে গেলি না তুই?

হ্যাঁ, গিছি বলেই এসিছি, বাজারেই পঞ্চমীর মুখে   শুনলাম তোমার ক্ষমতা নাই আসার, পঞ্চমীর মিলিটারি বর তাকে নিয়ে ঘর গেল, যুদ্ধ জিতে ফিরেছে সে, মিলিটারি বলল, নয়নচাঁদের কাছে খপর দিতে, মিলিটারি কাল তুমার জন্যি বিলিতি মদ আনবে আর মাংস রেঁধে আনবে পঞ্চমী, আমারে পাঠাল তারা, নিজি আসি নাই। 

নিজি আসিস নাই, তবু এলি তো শূন্য ভিটায়। মনে মনে বলল নয়নচাঁদ।
কথাটা ধরে নিল চম্পা। এগিয়ে এসে বলল, বলতে পার তা, আসা তো হলো।

বলতে বলতে চম্পাবতী এসে বুড়োর গায়ের র‍্যাপার ঠিক করে দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল, বুড়ো কী বলে। সংক্রান্তির বাজার থেকে এলি চম্পা...। নিজে এলি চম্পা। শিথিল দুটি হাত পরস্পরের দিকে এগিয়ে গেল। পরবের দিনে এমন হয়। এমন হলে পরব হয়।

সমাপ্ত

 

অমর মিত্রঃ অমর মিত্র এই সময়ের একজন জনপ্রিয় বাঙালি লেখক। বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে ‘ধ্রুবপুত্র’ উপন্যাসের জন্য ভারতে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। অশ্বচরিত’ উপন্যাসের জন্য ২০০১ সালে বঙ্কিম পুরস্কার পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ শিক্ষা দপ্তর থেকে। এ ব্যতীত ২০০৪ সালে শরৎ পুরস্কার (ভাগলপুর ), ১৯৯৮ সালে সর্ব ভারতীয় কথা পুরস্কার স্বদেশযাত্রা গল্পের জন্য। ২০১০ সালে গজেন্দ্রকুমার মিত্র পুরস্কার পান। ২০১৭ সালে সমস্ত জীবনের সাহিত্য রচনার জন্য যুগশঙ্খ পুরস্কার, ২০১৮ সালে কলকাতার শরৎ সমিতি প্রদত্ত রৌপ্য পদক এবং গতি পত্রিকার সম্মাননা পেয়েছেন। খ্যাত্নামা অভিনেতা ও নাট্যকার মনোজ মিত্র তার অগ্রজ।

 

অমর মিত্র
লেখকসাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারবঙ্কিম পুরস্কার এবং যুগশঙ্খ পুরস্কার প্রাপ্তভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top