সিডনী মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১

ঘুম চোর : ঋভু চট্টোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
২৭ মার্চ ২০২১ ১৯:১১

আপডেট:
১৪ মে ২০২৪ ০৮:০৭

 

বুকটা কেমন ধড়ফড় করে উঠল। মনে হল কেউ যেন কাঁধটা ধরে নাড়িয়ে দিল। তক্তার উপর শুয়েই চারদিকের অন্ধকারে একবার চোখ দুটো বুলিয়ে অতনু বালিশের নিচ থেকে মোবাইলটা বের করেই দেখতে পেল, মিসকলেরও সাইন দেখাচ্ছে। এত রাতে যখন নিশ্চয় কোন ধান্দায়। এখন অবশ্য ধান্দা ছাড়া অতনু মানে রাজুকে কেউই ফোন করে না। ফোন করলেই, ‘দাদা, একটা পেয়েছি, তিনদিনের, তুলে নেবো। ’ অতনুর জবাব তৈরী থাকে, ‘হয় তুলে নে। ’ অথবা ‘না টেঁসে গেছে, মাল দাঁড়াবে না। ’ চোখদুটো একটু কচলে মোবাইলটা ভালো করে দেখতেই বড়বাবুর চারটে মিসকল দেখতে পেল। মাত্র কয়েক মিনিট আগেই শেষের মিসকলটা হয়েছে। তারমানে ঐ ভাইব্রেশনটাতেই ঘুমটা ভাঙল। অতনু একটু খুশি হয়ে গেল, ‘যাক অনেকদিন পরে একটু ভালো করে ঘুম হয়েছে। ’ বড়বাবু ঘুমের কথাটা শুনলেই এক্ষুণি দেবে। অতনু ঘুরিয়ে ফোন করতেই ওপাশ থেকে শুনতে পেল, ‘এই যে অঘোরী, ঘুমিয়ে গেছিলে নাকি?’

–উফঃ, আপনাকে আর পারা যাবে না। কতবার বলব বলুন তো, আমি অঘোরী নয়। আমার এই সংসারে এখনো চরম ঘোর আছে, দিব্যি টাকা কামাচ্ছি, ভোগ করছি। যাক গে কি ধান্দা বলুন।

–তোমার সাথে ধান্দা ছাড়া কি কেউ কোন কথা বলে না?

–বলত, যখন অতনু ছিলাম, স্কুল কলেজে পড়তাম, টিউসন পড়াতাম, চাকরির পরীক্ষা দিতাম। এমনকি হাসপাতালে সাপ্লাই করতাম। রাজুদা হয়ে যাবার পরে আর কেউ বলে না।

বড়বাবু হেসে উঠলেন। ‘একটা কথা বলতো, ঐ জঙ্গলের মধ্যে তোমার ভয় করে না?’

–ভয়!

 অতনুদের এককামরার ঘরটা ছিল শ্মশান যাবার রাস্তায়। বাবা তখন একটা ছোট কারখানায় কাজ করত। সপ্তাহের তিনদিন নাইট ডিডটি থাকত। ছোটবেলায় একা মায়ের সাথে শুয়ে শুয়ে রাস্তা দিয়ে মরা কাঁধে করে নিয়ে যাবার আওয়াজ পেত। ঘরের সঙ্গে লাগানো একটা ছোট বারান্দা ছিল। অতনু আর ওর মা ঘরের মেঝেতে শুয়ে থাকত। প্রায় রাতে শ্মশানে যাবার সময় কতজন বাইরের বারান্দাতে বিশ্রাম নিত, মরাটাকে বারান্দাতেই নামিয়ে রাখত। কোন কোন দিন আবার মরার খাট নামাবার সময় দরজাটা ফাঁক হয়ে যেত। সেই ফাঁক দিয়ে ঘরের ভিতর থেকে চাদর, খাট সব কিছু দেখতে পেয়ে অতনু ভয়ে শিউড়ে উঠত। মাকে আরো জাপটে ধরত। মা সারাটা রাত আঁচলটা অতনুর হাতে বেঁধে শুয়ে থাকত, মাথায় হাত বুলিয়ে বলত, ‘আমি আছি ভয় কি রে?’

কথাগুলো বড়বাবুকে না বললেও উত্তর দিল, “আপনি জানেন সব মরাগুলো এখন আমাকে ভয় পায়। আমি তো ওদের হাড় মাংস আলাদা করে দিচ্ছি। ওরা এক হয়ে থাকলে আমাকে ভয় দেখাত। এখন আমি ওদের ভয় দেখিয়ে বলি,‘এই মাংস আলাদা করে দেবো, হাড় বিক্রি করে দেবো। ’ বুঝলেন। ”

রাজু বড়বাবুকে প্রথমদিন কবর থেকে মরা বের করবার সময় শুধু ভয়ে আড়ষ্ঠ নয়, বমি না থামার কথাও বলেনি। কত দিন ভালো করে খেতে পারেনি। এখনও মাঝে মাঝেই পচা মাংসের টুকরো হাতে লেগে গেলে ধুলো বালি ঝাড়ার মত ঝেড়ে নেয়। মরাটা ডোবানোর পর হাতটাও ভালো করে দিয়ে ধুয়ে নেয়।

এই রে কালকে হাইডোজেন পারঅক্সাইড ও ব্লিচিং পাউডার দুটোই অর্ডার দিতে হবে। সনাতন কয়েকদিন আগেই বলেছে। এবার না এলে ও ব্যাটা রেগে উঠবে। এমনিতেই সব সময় মদে টোর হয়ে থাকে। কিছু জিজ্ঞেস করলেই বলে, ‘তুমি মালিক আমরা কর্মচারি, এখন তো আর নিজে হাতে কিছু কর না। করলে বুঝতে মাংসগুলো যখন খসে খসে চৌবাচ্চাতে পড়ে লাশটা কি রকম ভয়ানক লাগে। ’ সনাতন ভুল বকে। রাজুও মরা নাড়ে, মাংসের গন্ধ ওর নাকেও ঢোকে। সনাতনকে রাজু উত্তর দেয়,‘এমন করছিস যেন আমি কোন দিন লাশ তুলিনি। কোনদিন ঐ সলিউস্যেনে ডোবাই নি। ’

বড়বাবু লোকটাও কিছু বোঝে না। মাঝে মাঝেই বলে, ‘তোমার ব্যবসাটা হেবি, কোন কম্পিটিটার নেই। একাই মারছ। ’

– কেন শালা, আপনাকে দিচ্ছি না, নাকি পার্টিকে দিচ্ছি না।

রাজু একবার বড়বাবুকে একটা কেশ খাওয়া থেকে বাঁচিয়ে ছিল। বড়বাবু এক গুণ্ডাকে পুলিশের গাড়ি করে থানায় নিতে আসার রাস্তাতেই কোন কারণে লাঠি পিটিয়ে মেরে ফেলে। হয়ত ইচ্ছে করে মারতে চান নি, কিন্তু লোকটা মরে যায়। কোনো এক পার্টির লিডারের মাধ্যেম বড়বাবু রাজুকে ফোন করে। রাজু সব শুনেই সনাতনকে পাঠিয়ে লাশটাকে নিজের কারখানায় নিয়ে আসে।

কারখানা কথাটা শুনে রাজুর নিজেরই খুব হাসি আসে। কারখানাই বটে, জনা দশ লোক তো সরাসরি ভাত পাচ্ছে। আরো কয়েক জন একটু ঘুর পথে। জঙ্গলের মাঝে পুরানো একতলা বাড়িটা পড়েই ছিল। কোন এক জমিদার নাকি ফূর্তি করবার জন্য এই বাড়িটা তৈরী করেছিলেন। সে সব কত দিন আগেকার কথা। রাজু একটু সারিয়ে নিয়ে দিব্যি তার অফিস বানিয়ে নিয়েছে। আর বাইরেটাতে মাটিতে গর্ত করে কয়েকটা বড় বড় চৌবাচ্চা বানিয়েছে। লাশ এলেই গরমজলে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার মাখিয়ে রেখে একদিন রাখার পর হাইডোজেন পারঅক্সাইডে ডুবিয়ে দেয়। কয়েকদিনের মধ্যেই চৌবাচ্চার নিচে ডেডবডি থেকে মাংসগুলো খসে খসে পড়ে। তারপর আবার ব্লিচিং পাউডার মেশানো জলে ধুলেই এক্কেবারে কঙ্কাল রেডি।

সেদিন বড়বাবুর কাছে সনাতনকে পাঠিয়ে লাশটাকে নিয়ে আসে। মুখটা রাজুর খুব চেনা লাগছিল। একটু মনে করবার চেষ্টা করলেই অনেক কিছু মনে পড়ে যায়। রাজু ইচ্ছে করেই সব ভুলে থাকবার চেষ্টা করে। মৃত মা বাবা এমনকি নিজেদের বেহাত হওয়া বাড়ি, সব ভুলে থাকতে চায়। কিন্তু সব ভুলতে পারছে কই ? এতদিন হল সোনালিকেও তো ভুলতে পারছে না। এখন সুখেই আছে? শুনেছিল ওর বর সরকারি কাজ করে। রাজুও কাজ করে আধা সরকারি, কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে,‘মেডিক্যাল কলেজে অর্ডার সাপ্লায়ার। ’

রাজু হাসে, আর শুধু মনে রাখে রমেন কাকাকে। টিউসন থেকে হাসপাতালে অর্ডার সাপ্লাই, সেখান থেকে কাকাই তাকে এই লাইনে নিয়ে এসে বলে,‘ঠিক করে কাজ করলে দু’ হাতে টাকা আসবে। তারপর দেখবি পুলিশ পার্টি সব তোকেই খুঁজছে। ’

কথাগুলো সত্যি। রাজুর হাত দিয়ে কত লাশ যে রাতারাতি গুম হয়ে গেছে তার হিসাব কেউ জানে না। তার ওপর পুলিশ তো আছেই। সব থেকে মজার ব্যাপার হল এত সুন্দর ভাবে সব কিছু হয়ে যায় রাজুর নিজেরও খুব অবাক লাগে। প্রত্যেকটা মেডিক্যাল কলেজের সামনে কেউ না কেউ আছে যার থেকে আরেকটা ভায়া হয়ে রাজু খবর পায়। অবশ্য খবর পাবার আগেই কারখানাতে মাল তৈরী হতে থাকে। রমেন কাকা একদিন খুব সুন্দর ভাবে সব বুঝিয়ে ছিল। ‘মেডিক্যালে প্রতি বছর যত স্টুডেন্ট পড়ে তার ষাট ভাগ সিনিয়ারদের থেকে কঙ্কাল নিয়ে নেয়। বাকি থাকল চল্লিশভাগ। এই চল্লিশ ভাগের তুই যদি কিছু বাজার ধরতে পারিস তাহলেই তোকে আর দেখতে হবে না। ’

–কিন্তু কাকা অত লাশ পাবো কোথায়?

–দুর খ্যাপা, এত কবর, এত পার্টি, এত মারামারি, আর তুই বলছিস লাশ কোথায় পাবো? কয়েকটা মাস একটু অসুবিধা হবে, তারপর যখন সবাই জানবে দেখবি এমনিই লাশ এসে যাচ্ছে। এখানে ঢুকে গেলে কে বুঝবে কোনটা তোর আর কোনটা তোর বাবার? এমনিতেই গলা কেটে দিলেই বোঝা যায় না। শুনিসনি দাঙ্গার সময় সব লাশের গলা কেটে দিত। লোকের অত খেয়ে কাজ যে ছিল না, ছেলেগুলোর প্যান্ট খুলে খুলে দেখবে।

তবে বিপদ যে নেই তা নয়। দুবছর আগেই কয়েকজন ধরাও পড়ে। কি ভাগ্যি মাঝের লোকটাকে ধরতে পারে নি। রাজুকে অবশ্য একবার জায়গাটা বদলাতে হয়েছে।

রাজু প্রতিদিন ভাবে তার অফিসের দেওয়ালে মা কালির ছবির পাশে রমেন কাকারও একটা ছবি টাঙিয়ে রাখবে। কিন্তু পাবে কোথায়? একে তো সোনালির বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর গ্রামে যাওয়া তো এক্কেবারে ছেড়েই দিয়েছে। এখন এই জঙ্গলের বাইরে মাঝেমাঝে বেরোনো মানে শুধু ব্যবসার কাজ। ভজন দোকান বাজার রান্নাবান্না করে। লাশ তোলার চারজন। তোলা লাশের বাকি কাজ থাকে সনাতন আর মুকুলের দায়িত্ব। বঙ্কু গ্রামে গ্রামে ঘুরে খবর নেয়, দুজন বাইরে ব্যবসা দেখে। রাজুর কাজ পুলিশ, পার্টি। এখন বাইরের রাজ্যেও মাল যাচ্ছে। সব মিলিয়ে সত্যিই ইন্ডাস্ট্রি। তবে এখন যা অবস্থা মাসে দশটা মাল বিক্রি না করতে পারলে সবাইকে দিয়ে নিজের পরতা হয় না। না দিলেই আবার পিছনে লাগতে আরম্ভ করবে।

গ্রামে কয়েক সপ্তাহ আগেই নাকি থানায় কারা যেন আশেপাশের বেআইনী কঙ্কাল কারবারিদের বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছে। একটা নাকি মিটিংও হয়েছে। বঙ্কু এসে খবরটা দিতেই রাজু বোতল থেকে একটা পেগ বানিয়ে বড়বাবুকে ফোন করলে বড়বাবু সব শুনে বলেন,‘তুমি তো মানুষের উপকার করছ, কত লোককে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচাচ্ছো,কত হবু ডাক্তারকে সাহায্য করছ, তোমাকে তো সমাজসেবী বলতে হয়। আমি তোমার একটা নতুন টাইটেল দিয়ে দিলাম বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজু...’

–রাজু নয়, অতনু।

-অতনু কি যেন ?

–আগে চক্রবর্তী ছিলাম, এখন ডোম হয়ে গেছি। চক্রবর্তী শুনলে লোকে এমনিই গাল দেবে।

সেদিন দুজনেই হেসে উঠেছিল। আজ ফোনটা ধরেই রাজু ধান্দার কথা বলতেই বড়বাবু ওপাশ থেকে বলেন, ‘তোমার এখনো ঘুম ছাড়ে নি। ’

রাজু কথাটার কোন উত্তর না দিয়ে সরাসরি জিজ্ঞেস করে,‘কবেকার লাশ?’

-দুটো আছে। একটা মনে হয় দশ বারো দিনের হবে। হিন্দু ছেলে, কবর দিয়ে ছিল। এখন কেশটেশ হয়েছে কবর থেকে বের করে ফরেনসিক করবে বলছে, অমনি আমাকে ফোন করছে।

-কিন্তু বড়বাবু দশ বারো দিনের লাশ কিছু করা যায় না। চারদিনের মধ্যেই উঠিয়ে দিতে হয়।

-আরে তোমাকে তুলতেও টাকা দেবে।

-আরেকটা বলুন।

বড়বাবু এবার একটু গলা ঝেড়ে বলতে আরম্ভ করেন, ‘এটা একটু কনফিডেন্সিয়াল, মানে আমার শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে শালা হয়, সরকারি কাজ করে, চার হাতে রোজগার। তোমাদের এদিকেই কোথাও বিয়ে হয়েছিল। তাও বছর পাঁচ ছয় হল, বাচ্চাকাচ্চা হয় নি, তারপর কি হল কে জানে, আমাকে একটু আগেই ফোন করে। তোমাকে ভাই এটার একটা ব্যবস্থা করে দিতেই হবে। ’

কথাগুলো শুনতে শুনতেই রাজুর মনে সোনালির মুখটা ভেসে ওঠে। কতদিন বিয়ে হয়েছে? ছয় হবে? ওর বাবা মা যদি রাজি হত তাহলে আজ হয়ত! মেয়েটাও কিছুতেই পালিয়ে যেতে চাইল না, বলতে লাগল,‘যদি বাবা মায়ের কিছু হয়ে যায়, তাহলে তো সবাই আমাকেই দোষ দেবে। ’

–কিন্তু যদি আমাদের কিছু হয়?

অতনু জিজ্ঞেস করতেই একটা লম্বা শ্বাস ফেলে সোনালি উত্তর দিয়েছিল,‘জানবো আমার ভাগ্য। ’

সোনালির বিয়ে হয়ে যাবার পর রাজু শুনতে পেল ওর বর সরকারি কাজ করে, অনেক টাকা রোজগার। কোন দেনা পাওনা না নিয়ে বিয়ে হয়েছে। গ্রামের সবাই ধন্য ধন্য করতে করতেই রাজুর শরীর জ্বলতে থাকে। দেখা হলে অনেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন করতে আরম্ভ করে। তারপরেই রাজু গ্রাম ছাড়ে।

কথাগুলো মনে পড়তেই রাজুর মনটা কেমন যেন উদাস হয়ে যায়। বড়বাবু আরো অনেক কথা বলে গেলেও রাজুর কোন জবাব দিতে ইচ্ছে করে না। মনের মধ্যে হাজার হাজার প্রশ্ন এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে আরম্ভ করতেই ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। অন্ধকার গম্বুজের মত চারদিকটা ঘিরে রেখেছে। লাশ ভেজানোর চৌবাচ্চাগুলোও দেখতে পায় না। রাতে ঐ দিকটাতে এমনিতেই আলো জ্বলে না, শুধু নিজের অফিস ঘর আর বাইরে একটা করে ছোট ডুম জ্বালিয়ে রাখে। সনাতন টর্চ জ্বেলেই রাতের অন্ধকারে চৌবাচ্চার ঢাকা খুলে মাঝে মাঝে দেখে আসে। প্রথমে বাবা তারপর মা মারা যাবার পর একাকিত্ব অতনুকে গ্রাস করলে অতনু রাজু হয়ে একটা অদ্ভুত একটা পৃথিবীর ভিতর ঢুকে যায়। থানা, পুলিশ ও মদের সাথে সেই সরুগলির হাড় বের করা মেয়েগুলোর কাছে যাওয়া আর জোর করে সব ভুলে থাকবার মাঝে একটা বড় সমীকরণ তৈরী করলেও এবার রাজুর শরীরের ভিতর থেকে একটা হাহাকার বেরিয়ে আসার রাস্তা খুঁজতে গিয়ে আটকে যায়। এই প্রথম শরীর থেকে পচা মাংসের গন্ধ ওঠে। কি করবে এখন? ওটা কি সোনালি! এখানেই আসবে, থাকবে?

দরজার কাছে হাঁটু ভেঙে বসতে যেতেই কান্না আসে। সনাতন! আরো অন্ধকার দে, সব ডুমগুলো এবার নেভা, এই আলো অসহ্য।

 

ঋভু চট্টোপাধ্যায়
পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top