সিডনী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ আর কবিতা: কবিতা আর ঈদ : ড. শাহনাজ পারভীন


প্রকাশিত:
১২ মে ২০২১ ২৩:৪৬

আপডেট:
১৩ মে ২০২১ ০৬:৪৬

ছবিঃ : ড. শাহনাজ পারভীন

 

ঈদ আর কবিতা, কবিতা আর ঈদ
কবিতায় জেগে উঠি, ঈদে ভাঙে নীদ।

পৃথিবীতে কে আগে এলো? কবিতা না ঈদ? নাকি ঈদ, অথবা কবিতা? চর্যাপদ থেকে শুরু করে নওরোজ সময়ের কথা! যেখানে ছিল না ঈদ, ছিল না কবিতা! তারপর? ধীরে ধীরে সব আসে পৃথিবীতে। ঈদ আসে- তার হাত ধরে আসে কবিতা! নাকি কবিতা আসে, তার হাত ধরে আসে ঈদ? যাই হোক, কে আগে সে বিতর্কে যাব না আর আজ, যাব না এখন। তার চেয়ে ঢুকে যাই কবিতার পথ ধরে ঈদের অলিন্দে। অথবা ঈদের রাজপথে কবিতার আসরে এখন। চর্যাপদ থেকে আজ অবধি কত শত কোটি কোটি কবিতা লেখা হয়েছে, সে হিসাব আজ কালের ইতিহাসে গৌণ। কারণ কাল পরম্পরায় কবিতার ইতিহাস, জাগরুক- সত্যের সমম্বয় মাত্র- যার মধ্যে আমরা পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া অসংখ্য কাহিনী এবং সময়-ব্যাপ্তির সুত্র গুলো খুঁজে পাই। ফলে একটি কাল পরিচয়ের মধ্যে কবিতারও পরিচয় উদ্ভাসিত হয়। তাতে প্রকৃত শিল্প কিংবা কবিতার কতটুকু পাওয়া সম্ভব সে বিষয়ে কোন স্পষ্ট ধারণা আমাদের নেই, থাকে না কখনো। তারপরও আমরা অহর্নিশ খুঁজে বেড়াচ্ছি, কে যেন আমাদেরকে তাড়া করে ফেরে। এই যে তাড়া! এই যে ফেরা। একেবারে পেছনে! বিশ্বের প্রথম কবিতাটি কোথা থেকে এল?

রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন পৃথিবীর আদি কবি বাল্মিকী। তার মতে পৃথিবীর প্রথম কবিতা হচ্ছে-  

মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শাশ্বতী সমাঃ।
যৎ ক্রোঞ্চ মিথুনাদেক মধবীঃ কামমোহিতম \

এখন জানব পৃথিবীর প্রথম ঈদ বিষয়ক কবিতাটির কথা- কুহেলি তিমির সরায়ে দূরে/ তরূণ অরূণ উঠিছে ধীরে/ রাঙিয়া প্রতি তরুর শিরে/ আজ কি হর্ষ ভরে!/ আজি প্রভাতের মৃদুল বায়/ রঙ্গে নাচিয়া যেন কয়ে যায়/ ‘মুসলিম জাহান আজি একতায়/দেখ কত বল ধরে?’(ঈদ: ডালি)

সৈয়দ এমদাদ আলী (১৮৮০-১৯৫৬ খ্রি.) সম্পাদিত ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে ‘নবনূর’ পত্রিকাই খুব সম্ভবত প্রথমবার ঈদ-সংখ্যা প্রকাশ করে। সেখানেই কবিতাটি প্রথম ছাপা হয়। পরবর্তীতে এই কবিতাটি তাঁর ডালি (১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে) নামক কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে অন্তর্ভূক্ত হয়।

কবি সৈয়দ এমদাদ আলীর এই কবিতাটি আজ থেকে ১১০ বছর আগে লেখা। অথচ ১১০ বছর বয়সের কবিতাটিকে মনে হচ্ছে চপলা, তন্বী-তরূনী। নুপুরের নিক্কন বাজে ছলছল- নাচে কলকল। তার গায়ে এতটুকু বয়সের ছাপ নেই, মেদ নেই। চির তরূন, চির যৌবনা। কি নিবিড় ভাললাগা, ভালবাসা জড়িয়ে রেখেছে এর ছত্রে-ছত্রে, লাইনে-লাইনে। মনে হয় এই তো এই মাত্র কবির কলম থেকে সে হেসে উঠল। চির আধুনিক তার ভাষার গাধুনি, চির সবুজ তার হৃদ্ধিক অনুভূতি। 

কবিতাটিতে কবি পাঠকদেরকে চিরকালীন প্রত্যাশার বাণী শুনিয়েছেন। যেখানে ঈদের দিন সকালটাই শুরু হয় এক অন্য রকম এক ভাললাগার অনুভূতি নিয়ে। ঈদের আনন্দে কুহেলি তিমির দূরে সরিয়ে রেখে তরূণ সূর্যের আগমনে কিভাবে পৃথিবীর প্রতিটি বৃক্ষ আনন্দে মেতে ওঠে। বাতাসে গুঞ্জরিত মৃদুল তপবন কি আলোড়নের মাধ্যমে নেচে ওঠে তার সুক্ষাতিসুক্ষ বর্ণনা রয়েছে কবিতাটিতে।

ঈদ সম্পর্কিত ‘ঈদ আবাহন’ শিরোনামের দুটি কবিতা কায়কোবাদ লিখেছিলেন। ১৩১১ বঙ্গাব্দে তার একটি কবিতা অশ্রুমালা কাব্যগ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়। অন্যটি তাঁর অমিয়ধারা কাব্যগ্রন্থে ১৩২৯ বঙ্গাব্দে গ্রন্থাবদ্ধ হয়। দুটি কবিতাতেই তিনি মুসলমানের জাগৃতি কামনা করেছেন। তিনি লিখেছিলেন-

আজি এ ঈদের দিনে হয়ে সব এক মনঃপ্রাণ,/ জাগায়ে মোশ্লেম সবে গাহ আজি মিলনের গান।
ডুবিবে না তবে আর ঈদের এ জ্যোতিষ্মান রবি,/ জীবন সার্থক হবে, ধন্য হইবে এ দরিদ্র কবি।

ঈদ আবাহন: অশ্রুমালা

কবি কায়কোবাদ মুসলমানদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি নিয়ে অনেকগুলি গভীর লেখা তৈরি করেছেন। যা কালজ কালান্তরে প্রবিষ্ট হয়েছে। এ কবিতা দুটিও আজ থেকে ১১২ বছর আগে লেখা। অথচ চির নতুন, চির আধুনিক বিষয়বস্তু নিয়ে কবিতাদুটিও হয়ে উঠেছে আধুনিক। এখানেও কবিতায় মুসলিম জাতির পবিত্র উৎসব ঈদ‘’কে কেন্দ্র করে এ জাতি আবার কিভাবে পৃথিবীর বুকে নিজেদেরকে পরিশ্রমী জাতি হিসেবে সম্মানের সাথে প্রতিষ্ঠিত করবে তার একটি চমৎকার দিকনির্দেশনা রয়েছে। ঈদ বিষয়ক দুটি কবিতাই সার্থক।

মোজাম্মেল হক (শান্তিপুর, ১৮৬০-১৯৩৩ খ্রি.) ‘ঈদ’ শিরোনামের কবিতাটিতে লিখেছেন-

মুসলেমের আজ ঈদ শুভময়/ আজ মিলনের দিন,/ গলায় গলায় মাখামাখি/ আমরা ফকির হীন।

আজ সবারি হস্ত পূত/ ধোওয়া স্বরগ নীরে?/ তাই যে চুমোর ভিড় লেগেছে/ নম্র নত শিরে। (মোসলেম ভারত, ‘জ্যৈষ্ঠ ১৩২৭ খ্রি.) কবি এখানে মুসলিম জাতির পবিত্র ঈদকে কেন্দ্র করে তারা সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে ধনী গরীব মিলে মিশে সবাই কিভাবে একাকার হয়ে যায় সেই দিকটাই তুলে ধরেছেন। ঈদ মানেই এক সাথে মিলে যাওয়া, মিশে থাকা।

শাহাদাৎ হোসেন (১৮৯৩-১৯৫৩ খ্রি.) ঈদ বিষয়ক চমৎকার কবিতা লিখেছেন। তিনি ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ‘ঈদুল ফিতর’ কবিতায় লিখেছেন- কোথা মক্কা- মোয়াজ্জেমা মদিনা কোথায়/ প্রাণকেন্দ্র এ মহা সাম্যের/

কোথা আমি ভারতের প্রান্ততটে ক্ষুদ্র ঈদগাহে।/ সিন্ধু-মরূ-গিরি-দরী-কান্তার-তটিনী

রচিয়াছে ব্যবধান দুর্জয় বিপুল/ তবু শুনি বায়ুস্তরে তরঙ্গদোলায়/ ভেসে আসে সে উদাত্ত নির্ঘোষ।

সাম্যের দিশারী আমি-আমি মুসলমান/ দেশ-কাল-পাত্র মোর সর্ব একাকার/ বহুত্বে একক আমি

আত্মার আত্মীয় মোর দুনিয়া জাহান।

ঈদুল আযহা সম্পর্কিত তাঁর কবিতার শিরোনাম ‘ঈদ- বোধন’। এ কবিতাটিও কবি ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে লিখেছেন- ত্যাগপন্থী ‘ইসমাইল’ সবুজ তরুণ/ নব জীবনের আশে রঙিন অরূণ

যুগে যুগে এ আহবানে জেগেছিস তোরা/ আজিও জাগরে যুগে খুলে দে রে শোণিতের উম্মাদিনী ঝোরা।

তাজা খুনে লালে লাল হয়ে যাক ‘মীনা’র ময়দান,/ মরণের আলিঙ্গনে হোক পুন জীবনের নব অভ্যুত্থান।

 কবি তার দুটি কবিতাতে তার ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি ধর্ম কৃষ্টি সব কিছুকে একাকার করে চিনিয়ে দিয়েছেন। দুটি কবিতাই সার্থক কবিতার উপমা।

কবি গোলাম মোস্তফা (১৮৯৭-১৯৬৪ খ্রি.) ঈদ বিষয়ক অনেক বেশি কাহিনীধর্মী কবিতা লিখেছেন। তিনি ঈদুল আযহার বর্ণনায় কয়েকটি কবিতা লিখেছেন। কবির ‘ঈদ-উৎসব’ কবিতাটি অত্যন্ত গীতিময়। এ কবিতাটি রক্তরাগ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত। প্রথম প্রকাশ সওগাত, ভাদ্র, ১৩২৬ বঙ্গাব্দ। কবিতাটিতে তিনি লিখেছেন- ‘আজিকে আমাদের জাতীয় মিলনের পুণ্য দিবসের প্রভাতে/ কে গো ঐ দ্বারে দ্বারে ডাকিয়া সবাকারে ফিরিছে বিশ্বের সভাতে!/ পুলকে সদা তার চরণ চঞ্চল/ উড়িছে বায়ু- ভরে বসন চঞ্চল,/ কণ্ঠে মিলনের ধ্বনিছে প্রেম-বাণী,/ বক্ষে ভরা তার শান্তি।

ঈদ উৎসব কবিতায় কবি ঈদের দিনকে প্রেমের মিলনের-শান্তির-করুণার স্নিগ্ধ গতিধারায় বিশ্বকে উৎভাসিত দেখেছেন। ঈদ পৃথিবীকে প্রীতি ও মিলনের দৃশ্য দেখায়। নিখিল বিশ্বে হাহাকার ঘুচিয়ে বিয়োগ বেদনার শ্রান্তিকে ম্লান করে দেয়।

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.) তাঁর লেখনিতে ইসলামী সাহিত্য সংস্কৃতির এক অসাধারণ সাহিত্যিক রূপ দিয়েছেন। তিনি তার সাহিত্যে আরবি-ফারসি শব্দ তথা একটি মুসলিম সংস্কৃতির আবহে তার সাহিত্য রচনা করেন। ঈদ সম্পর্কিত তিনি বেশ কিছু কবিতা, গান, নাটক, গীতিবিচিত্রা লিখেছেন। ঈদ মোবারক কবিতায় তিনি লিখেছেন-‘ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই/ সুখ-দুখ সম-ভাগ করে নেবো সকলে সবাই/ নাই অধিকার সঞ্চয়ের। /... ... ... / দেহ নয়, দিল্ হবে শহীদ।

কবি এখানে সাম্যবাদের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ এঁকেছেন। ঈদ উৎসব যে শুধু সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, বরং আধ্যাত্মিক। এই বিষয়টি তিনি এই কবিতার মাধ্যমে দেখিয়েছেন। কাজী নজরুল ইসলামের সমসাময়িক ও পরবর্তী সময়ে ঈদ সম্পর্কিত প্রচুর কবিতা লেখা হয়। তারমধ্যে কবি জসীমউদদিন, বেগম সুফিয়া কামাল, কবি মঈনুদ্দীন, কবি আশরাফ আলী খান, সিকান্দার আবু জাফর, ফররূখ আহমেদ, আবুল হোসেন, তালিম হোসেন, আহসান হাবীব, সানাউল হক, আজিজিজুর রহমান, আশরাফ সিদ্দিকী, মনোমোহন বর্মন প্রমুখ অনেক কবি।

 ফররূখ আহমেদ তাঁর একান্ত নিজস্ব স্বপ্নের মাধ্যমে ঘুমন্ত এ জাতিকে জাগাতে চেয়েছিলেন। তাঁর প্রতিটি কবিতা-ই নিজস্ব স্বপ্ন দিয়ে ঘিরে থাকে। এখানেও তার ‘ঈদের স্বপ্ন’ কবিতায় ঈদের চাঁদ দেখে তিঁনি স্বপ্ন জগতেই ডুব দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন-

আকাশের বাঁক ঘুরে চাঁদ এলো ছবির মতন,/ নতুন কিশতি বুঝি এলো ঘুরে অজানা সাগর
নাবিকের শ্রান্ত মনে পৃথিবী কি পাঠলো খবর/ আজ এ স্বপ্নের মাঠে রাঙা মেঘ হল ঘন বন! (ঈদের স্বপ্ন: কাফেলা)

বর্তমান সময়ে শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, আবদুল মান্নান সৈয়দ, সৈয়দ শামসুল হক, ফজল শাহাবুদ্দীন, কেজি মোস্তফা, রফিক আজাদ, মোহাম্মদ রফিক, জাহানারা আরজু, রবিউল হুসাইন, আবিদ আনোয়ার, শিহাব সরকার, সানাউল হক খান, খোন্দকার আশরাফ হোসেন, জাফরুল আহসান, জাহিদুল হক, মাশুক চৌধুরী, আসাদ চৌধুরী, মাকিদ হায়দার, বেগম রাজিয়া হুসাইন, হাসান হাফিজ, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, সুজাউদ্দিন কায়সার, সোহরাব পাশা, রেজাউদ্দিন স্টালিন, দারা মাহমুদ, আসলাম সানী, ফেরদৌস সালাম, সরকার মাহবুব, শাহিন রেজা, রোকেয়া ইসলাম, মুকুল চৌধুরী, তমিজউদদীন লোদী, মারুফ রায়হান, মিলন সব্যসাচী, জুননু রাইন, সরকার আমিন, ওবায়েদ আকাশ, শাহনাজ পারভীন প্রমুখ কবি প্রতি বছরই সাগ্রহে ঈদের কবিতা লিখছেন। 

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর পত্র-পত্রিকায় প্রতি বছর ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করে ঈদের কবিতা ছাড়াও ছড়া, গল্প, উপন্যাস, গদ্য প্রকাশের মাধ্যমে ঈদের রচনার সংখ্যা আশাতিত রূপে বেড়েছে। তবে পাশাপাশি এ কথা না বললেই নয় যে, ঈদ সংখ্যায় যে শুধু ঈদের লেখা ছাপা হয় তা নয়, বরং সেখানে প্রকাশিত অসংখ্য কবিতার মধ্যে হয়ত বা হাতে গোনা দু একটি কবিতা ঈদ সম্পর্কিত। অথচ এখানে এ সম্পর্কিত লেখা পাবার প্রাধান্য ছিল বেশি। তারপরও আমাদের বর্তমান সময়ে নামী দামী পত্রিকার ঢাউস ঈদ সংখ্যাগুলো আমাদের ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দেয় বহুগুন সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ইদানিং প্রিন্টেড মিডিয়ার পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায়ও বেশ কিছু পত্রিকা ছাপা হয়। সেখানেও থাকে ঈদ সংখ্যার ছড়াছড়ি। তাছাড়া বর্তমানে এসএমএস, ইন্টারনেট, ফেস বুক, টুইটারের মত বেশ কিছু সামাজিক সম্পর্কের মাধ্যম আমাদের ঈদের আনন্দ-বন্ধন বাড়িয়ে দেয় বহুগুন। তবে যতকিছুই থাক না কেন, প্রিন্ট্রেড মিডিয়ার সাথে কখনোই কোন কিছুর তুলনা চলবে না। অনাদি কাল থেকে আজ পর্যন্ত- এমন কি পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিনই থাকবে তার সরব উপস্থিতি, থাকবে ঈদ, থাকবে কবিতা। জয়তু ঈদ, জয়তু কবিতা।

 

ড. শাহনাজ পারভীন
কবি, গবেষক, কথাসাহিত্যিক, অধ্যক্ষ, তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ, যশোর

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top