সিডনী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

বাংলার গর্ব বিজ্ঞানী প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও সত্যেন্দ্রনাথ বোস : সুদীপ ঘোষাল


প্রকাশিত:
১৭ আগস্ট ২০২১ ১৮:৪৯

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ০৮:১৯

ছবিঃ বিজ্ঞানী প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও সত্যেন্দ্রনাথ বোস



পৃথিবীর সকল বিশ্ববরেণ্য প্রতিভার শিক্ষাজীবনই পুঁথিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে আবদ্ধ থাকে না বরং তা এইসব গণ্ডি অতিক্রম করে গেল রতনের আকর, পুস্তক ভান্ডারের দিকে এগিয়ে যায়। প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। ছেলেবেলায় কলকাতার হেয়ার স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু করলেও রক্ত আমাশয় রোগের কারণে তার পড়ালেখায় ব্যাপক ঘটে এবং অবশেষে তাকে গ্রামের বাড়ীতে ফিরে আসতে হয়।
বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, জাতীয়তাবাদী স্বপ্নদ্রষ্টা। বর্তমান খুলনা এবং তদানীন্তন যশোর জেলার অন্তর্গত রাড়ুলি গ্রামের এক ভূস্বামী পরিবারে ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট তাঁর জন্ম। প্রফুল­চন্দ্র ছিলেন হরিশচন্দ্র রায়ের তৃতীয় পুত্র। তাঁর পিতা ছিলেন একজন ছোটখাটো জমিদার। উদার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তিনি সুপরিচিত ছিলেন। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে প্রফুল্ল চন্দ্র ১৮৭০ সালে হেয়ার স্কুলে (কলকাতা) ভর্তি হন।

তার বাবার প্রতিষ্ঠিত এম ই স্কুল থেকে তার পড়াশোনা শুরু হয়। এবং পরে ১৮৭২ সালে কলকাতায় এসে কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন। তবে রক্ত আমাশায় রোগের জন্য তাকে আবার গ্রামে ফিরে যেতে হয়। দুই বছর পরই ১৮৭৪ সালে কলকাতায় ফিরে আসেন এবং সেখানে অ্যালবার্ট স্কুলে ভর্তি হন।
১৮৭৯ সালে অ্যালবার্ট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পরে, তিনি ‘বিদ্যাসাগর কলেজ’ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। তবে সেখানে বিজ্ঞানের বিষয় পড়ানোর কোনও সুবিধা না থাকায় তিনি ‘প্রেসিডেন্সি কলেজ’ পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের পাঠ করেন।
কিন্তু ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে তিনি দুবছরের বেশি সেখানে লেখাপড়া করতে পারেন নি। দুবছর বিরতির পর তিনি পুনরায় আলবার্ট স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন এবং সেখান থেকে ১৮৭৮ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অতঃপর তিনি মেট্টোপলিটান ইনস্টিটিউশনে (বর্তমান বিদ্যাসাগর কলেজ) ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৮৮০ সালে এফ.এ পরীক্ষায় পাস করেন। তিনি ১৮৮২ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৮৮৫ সালে বি.এসসি এবং ১৮৮৭ সালে রসায়ন শাস্ত্রে ডি.এসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বেঙ্গল এডুকেশন সার্ভিসে যোগ দেন এবং ১৮৮৯ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে রসায়নের অস্থায়ী সহকারী অধ্যাপক পদে যোগদান করেন।
১৯০২ সালে প্রফুল্ল চন্দ্র তাঁর বিখ্যাত History of Hindu Chemistry গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ১৯০৪ সালে বইটির পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বইটির ব্যাপক জনপ্রিয়তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯০৯ সালে তিনি এর দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশ করেন। মারকিউরাস নাইট্রাইট তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বৈজ্ঞানিক পরিমন্ডলে প্রফুল্ল চন্দ্র একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেন। বিজ্ঞান গবেষণায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯১২ সালে তাঁকে সম্মানসূচক ডি.এসসি ডিগ্রি প্রদান করে। ব্রিটিশ সরকার প্রথমে তাঁকে রাজকীয় খেতাব সি.আই.ই এবং পরে ১৯১৯ সালে ‘নাইট’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেন। ১৯১৬ সালে প্রফুল্ল চন্দ্র প্রেসিডেন্সি কলেজ ছেড়ে রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে নব প্রতিষ্ঠিত ‘ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি কলেজ অব সায়েন্স’-এ যোগদান করেন। ১৯২০ সালে তিনি ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের জেনারেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
বিজ্ঞানের উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ কলকাতা, বেনারস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরপর তাঁকে সম্মানসূচক ডি.এসসি ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৩২ সালে তাঁর আত্মজীবনী Life and Experiences of a Bengali Chemist-এর প্রথম খন্ড এবং ১৯৩৫ সালে দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশিত হয়। ১৯৩৬ সালে ৭৫ বছর বয়সে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নের ‘পালিত অধ্যাপক’ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন এবং ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন তারিখে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি একজন ‘এমেরিটাস’ প্রফেসর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।পড়াশুনো শেষ করে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় আরও এক বছর গবেষণা চালিয়ে যান পরে ১৮৮৮ সালে কলকাতায় ফিরে আসে। পরের বছর তিনি শহরের ‘প্রেসিডেন্সি কলেজ’ এ অস্থায়ী পদে নিযুক্ত হন। ভারত যেহেতু ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল তাই তাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও উচ্চপদস্থ অবস্থান থেকে দূরে রাখা হত। যদিও তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন।
১৮৯৬ সালে তিনি মারকিউরাস নাইট্রাইট (HgNO2) নিয়ে তাঁর গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছিলেন; তিনি স্থিতিশীল যৌগিক পারদর্শী নাইট্রাইট তৈরি করেছিলেন এবং এটি অন্যান্য বিজ্ঞানীদের ধাতব নাইট্রাইট এবং অ্যামাইনগুলির অধ্যয়ন করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
বাঙালি বিজ্ঞানী মহলে একটি পরিচিত ও প্রশংসিত নাম হল সত্যেন্দ্রনাথ বোস। তিনি তাঁর অসামান্য কিছু সৃষ্টিকর্মের জন্য আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার বিখ্যাত বোস সংখ্যায়ন গবেষণার জন্য তিনি আজও পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য হয়ে আছেন। তিনি ভারতীয় হওয়ার পাশাপাশি একজন বাঙালি বৈজ্ঞানিক রূপে গাণিতিক পদার্থবিদ্যার গবেষণা করে খ্যাতি লাভ করেন।
সত্যেন্দ্রনাথ বোস যুগ্মভাবে আইনস্টাইনের সঙ্গে বোস আইনস্টাইন থিওরি প্রকাশ করেন। সত্যেন্দ্রনাথের একটি অসামান্য অবদান হল - বোস-আইনস্টাইন সংখ্যায়ন যা পরবর্তীকালে বোস সংখ্যায়ন নামে পরিচিত হয়। 1924 সালে তিনি প্লাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্ব কে গ্রহণ করে তার কিছু ত্রুটি দূর করেছিলেন।
সত্যেন্দ্রনাথ বসু, একজন ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী। তার গবেষণার ক্ষেত্র ছিল গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান। সত্যেন্দ্রনাথ বসু আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথভাবে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান প্রদান করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে বিবেচিত হয়। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী সত্যেন্দ্রনাথ কর্মজীবনে সংযুক্ত ছিলেন বৃহত্তর বাংলার তিন শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। সান্নিধ্য পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মারি ক্যুরি প্রমুখ মনীষীর। আবার অনুশীলন সমিতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগও রাখতেন দেশব্রতী সত্যেন্দ্রনাথ। কলকাতায় জাত সত্যেন্দ্রনাথ শুধুমাত্র বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রবল সমর্থকই ছিলেন না, সারা জীবন ধরে তিনি বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার ধারাটিকেও পুষ্ট করে গেছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসু তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞান ও এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফির ওপর কাজ শুরু করেন। এ ছাড়া তিনি শ্রেণিকক্ষে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা পড়াতেন। ক্লাসে এক দিন আলোকতড়িৎ ক্রিয়া ও অতিবেগুনি বিপর্যয় পড়ানোর সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বর্তমান তত্ত্বের দুর্বলতা বোঝাতে এই তত্ত্বের সঙ্গে পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের ব্যতয় তুলে ধরেন। সে সময় তিনি ঐ তত্ত্ব প্রয়োগ করতে গিয়ে একটি ভুল করেন। পরে দেখা যায় তার ঐ ভুলের ফলে পরীক্ষার সঙ্গে তত্ত্বের অনুমান মিলে যাচ্ছে! (বসু পরে তার ঐ দিনের লেকচারটি একটি ছোট নিবন্ধ আকারে Planck's Law and the Hypothesis of Light Quanta নামে প্রকাশ করেন।)
তাঁর এই ভুলটিকে পরিসংখ্যানের একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে। দু’টি ভালো মুদ্রাকে যদি নির্বিচারে প্রয়োগ করা হয়, তা হলে এক‌-তৃতীয়াংশ বার দু’ হেড পড়বে - এমন অনুমান স্বভাবতই ভুল। ঠিক এমন একটি ভুল তিনি করেছিলেন। কিন্তু ফলাফলটা এমন হল যে তা মিল খেয়ে গেল পরীক্ষার সঙ্গে। তাতে তিনি ভাবলেন‌ - এই ভুল ভুল নয়। প্রথম বারের মতো তার মনে হল ম্যাক্সওয়েল বোলৎজম্যানের সংখ্যাতত্ত্ব আণুবীক্ষনিক কণার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ সেখানে হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা তত্ত্ব-এর কারণে কণার যে আন্দোলন তা গ্রাহ্যসীমার মধ্যে। কাজেই তিনি কণার ভরবেগ ও অবস্থানের ব্যাপারটি বাদ দিয়ে দশা-কালে কণার প্রাপ্যতা নির্দেশ করলেন। এটি দাঁড়ায় প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবকের ঘনমান (h³)।
পদার্থবিজ্ঞানের বিশ্বখ্যাত জার্নাল ‘ফিজিক্স জার্নালস’ বসুর ঐ প্রবন্ধ প্রকাশে অস্বীকৃতি জানায়। তারা ধরে নেয় যে, ঐ ভুল, ভুলই; নতুন কোনও কিছু নয়। হতাশ হয়ে বসু বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের কাছে তা লিখে পাঠান। আইনস্টাইন ব্যাপারটা বুঝতে পারেন এবং নিজেই একটি প্রবন্ধ লিখে ফেলেন এবং বসুর নিবন্ধটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন। এর পর তাঁর ও বসুর নিবন্ধ দু’টি জার্মানির ‘ৎসাইটশ্রিফট ফুর ফিজিক’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি ঘটে ১৯২৪ সালে।
বসুর ‘ভুল’ সঠিক ফলাফল দেওয়ার কারণ হল একটি ফোটনকে আর একটি ফোটন থেকে আলাদা করা মুশকিল। তাই দু’টি ফোটনের একদম একই শক্তি ভাবাটা ঠিক নয়। কাজেই দু’টি মুদ্রা একটি ফোটন আর একটি বোসন হয় তবে দু’টি হেড হওয়ার সম্ভাবনা তিনের-এক হবে। বসুর ভুল এখন বোস‌-আইনস্টাইন সংখ্যাতত্ত্ব নামে পরিচিত।
আইনস্টাইন এই ধারণাটি গ্রহণ করে তা প্রয়োগ করলেন পরমাণুতে। এই থেকে পাওয়া গেল নতুন প্রপঞ্চ যা এখন বোস‌-আইনস্টাইন কনডেনসেট নামে পরিচিত। এটি আসলে বোসন কণার একটি ঘণীভূত স্যুপ। ১৯৯৫ সালে এক পরীক্ষায় এটির প্রমাণ পাওয়া যায়। আর বিশ্বজগতের যে কণাগুলোর স্পিন পূর্ণসংখ্যা, বসুর নামে পল ডিরাক তাঁর নামকরণ করা করেন বোসন কণা।
বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান, বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন, বোসনের উপর গবেষণা করে ১৯৮৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন কার্লো রুবিয়া এবং সাইমন ভান ডেয়ার মির, ১৯৯৬ সালে ডেভিড এম লি, ডগলাস ডি ওশেরফ এবং রবার্ট সি রিচারডসন, ১৯৯৯ সালে মার্টিনাস জে জি ভেল্টমান ও গেরারডুস টি হুফট, ২০০১ সালে এরিক আলিন কর্নেল, কার্ল এডুইন ভাইমান এবং ভলফগাং কেটেরলে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বোসকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি।বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চ্চার ক্ষেত্রে তাঁর অমূল্য অবদান রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে কলকাতায় ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ গঠিত হয়। এই পরিষদের মুখপাত্র হিসাবে বাংলা ভাষার বিজ্ঞান পত্রিকা ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’ প্রকাশিত হয়।
আইনস্টাইনের সাধের একটা ধারণাও যে ভুল, সত্যেন্দ্রনাথ তা ধরিয়ে দেওয়ার সাহস করেছিলেন। আইনস্টাইনের ধারণা ছিল যে, উত্তেজিত পরমাণু থেকে দু’ভাবে রশ্মি নির্গত হতে পারে। একটা স্বতঃস্ফূর্ত (যা কোয়ান্টাম চরিত্রের) আর অন্যটা উদ্দীপিত (যা ধ্রুপদী চরিত্রের)। সত্যেন্দ্রনাথের মনে হয়েছিল, এই বিভাজনের ধারণা কৃত্রিম এবং অমূলক। উদ্দীপিত বিকিরণ মেনে নিলেই স্বতঃস্ফূর্ত বিকিরণ নতুন বসু সংখ্যায়ন থেকে চলে আসে। এটা আইনস্টাইন মানেননি। পরে, ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পল অ্যাড্রিয়েন মরিস ডিরাক যে তত্ত্ব প্রস্তাব করেন, তাতেও এই বিভাজন মানা হয়নি। তা ছাড়া, আধুনিক পরীক্ষা দেখিয়ে দিয়েছে, এ ব্যাপারে আইনস্টাইন ভুল কথা বলেছিলেন। স্বতঃস্ফূর্ত বিকিরণ পরমাণুর একান্ত নিজস্ব ধর্ম নয়। এটা বাড়ানো বা কমানো যায়।
তথ্য সংগৃহীত - বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, গ্রন্থ ও উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেট।

 

সুদীপ ঘোষাল
পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top