সিডনী মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


জাতির পিতা : এনামুল হক টগর


প্রকাশিত:
১১ আগস্ট ২০২২ ০১:৫৫

আপডেট:
৭ মে ২০২৪ ১০:০৫

 

জাতির পিতা,
তুমি শিখিয়েছিলে জীবন এক মহৎ সংগ্রাম ও দেশপ্রেমের সুষমবণ্টন নীতি।
যা পৃথিবীকে আলোকিত করে নতুন পণ্য উৎপাদন করে আধুনিক নির্মাণ।
তাৎপর্যপূর্ণ জীবনের প্রজ্ঞায় আবর্তন ও বিবর্তনে কর্ম রূপান্তর কারখানায় কারখানায় নিপুণ।
বাংলার নিগুঢ় মৃত্তিকায় তোমার বিনয় প্রেম সমুজ্জল ফসলের স্বনির্ভর জীবন।
তোমার মস্তিষ্কের শুভ চিন্তা থেকে অধিকারের দাবি জেগে ওঠে জাতির স্বপ্ন আশা।
ভবিষ্যৎ স্বাধীন অখণ্ড বাংলাদেশ গড়ার সূচনায় তুমি যেন সম্মেলিত জীবনের প্রত্যাশা।
মমতাময়ী জন্মভূমির ভালোবাসায় তোমার সংগ্ৰাম সুবাস ছড়ায় দীপ্ত সূর্য কিরণ।
তাঁর সাথে চন্দ্র নক্ষত্র ও তারকাগুলো তোমার প্রতিভাসে জেগে উঠে নন্দন কানন।
প্রত্যাশার নতুন আগামী বাংলাদেশকে চেতনা দেয় আলোয় আলোয় বিজ্ঞা বিশোধন।
পৃথিবীর উদ্যানে বসন্ত ফুলগুলো তোমাকে স্বাগত জানায় স্বাধীনতার চঞ্চল অরুণ।
সমুজ্জ্বল দিনের স্বপ্ন অধিকার মুক্তিযুদ্ধের রূপ ধারণ করেছিল মহান বিপ্লব।
অনাগত সাম্যের নিপুণ চৈতন্যে বিদগ্ধ মাঝিরা তোমার গান গেয়েছিল দেশপ্রেমের গৌরব।
সদ্য কুঁড়িগুলো ফুল হয়ে ফুটে উঠেছিল নতুন শস্যের সৌন্দর্য শোভা দীপ্তকর।
তোমার অভিজ্ঞতায় জীবন থেকে আন্দোলন পৌঁছে গিয়েছিল বিজ্ঞানের ধারায় আগামীর সংস্কার।
যা থেকে সম্মান আর মর্যাদার গৌরবে সভ্যতার কল্যাণ ছড়ায় কর্ম নিপুণ জাতি।
সূর্যালোকের জ্যোতির্ময় বিকিরণ থেকে মানবতার সম্মান ছড়াবে শুভ চেতনার দ্যুতি।
বীজের অঙ্কুর থেকে শস্যের কাঁচা রং পরিপক্ক হবে জীবনের চেতনা সুদূর -
নতুন আহ্বানে দক্ষ কর্মজীবী তরুণ যুবক ও যুবতীরা কর্ম নিপুণ হবে চৈতন্যে প্রগতি,
বিজ্ঞ প্রাণ মাথা তুলে দাঁড়াবে নব নব রূপ শ্রমজীবী অনাগত সুস্বাগতম!
কিন্তু তুমি চলে গেলে আর শত্রুরা ইতিহাস মুছে দিতে লাগলো দানবের যন্ত্রণায় সময় ক্লান্ত।
দুঃখ ও কষ্টগুলো জাতিকে বেদনাবিঁধুর করে তুললো অনাগত চেতনা বিফল।
তোমার সংগ্রাম ও দাবীগুলো মানুষের বুকের গভীরে শ্রদ্ধায় স্তব্ধ হয়ে রইলো।
তখন থেকেই দেশ জুড়ে শুধু মানবতার অগ্নি দহন যন্ত্রণা,
প্রতিনিয়ত দূর্নীতি সন্ত্রাস চুরি ডাকাতি লুটপাট জঙ্গিবাদ মাদক হানাহানি।
জাতিকে আস্তে আস্তে আঁকড়ে ধরলো বেদনা বিষণ্ণ ক্ষত বিক্ষত আঁধার,
দেশজুড়ে হাজারও জনতার দুঃখ কষ্ট ও যন্ত্রণার পরিতাপে জীবনগুলো হাহাকার।
এমন দূর্দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তোমাকে মনে পড়ে মহাজীবন চেতনায়।
যখন দেখি দুঃশাসন অপরাধে রক্তাক্ত মানুষ পথে পথে বিধস্ত অবিচারে অসহায়।
আরও দেখি স্বাধীনতা বিরোধী মুখোশধারীদের গড়ীতে জাতির পতাকা উড়ে নির্লজ্জ বেদনায়।
মসজিদ মন্দির গোরস্থান ও গরীবদের অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করে বিস্ময়।
এ-যেন আর্দশহীন সততাহীন মানবতা বঞ্চিত এক ক্লান্ত কষ্টের দিন অসহায়।
কালো বিত্তবানদের ইশারায় এখনো দেশে হানাহানি খুনোখুনি জুলুম ব্যভিচার ও হাহাকার।
যৌনতার অবক্ষয়ে নেশাগ্রস্থ যুবকের সংসার ভাঙে ব্যর্থ জীবন অঙ্গার।
সময় যেন প্রাণের চৈতন্যকে হারিয়ে ফেলেছে যন্ত্রণায় বিষে দাউ দাউ আগুন জর্জর।
আতঙ্ক দূর্ভিক্ষভরা দুটি চোখ করুন ব্যথায় কাঁদে দুঃখ কষ্ট জীবনের ক্লান্ত আঁধার।
দীর্ঘ যন্ত্রণা আর দীর্ঘ বেদনা থেকে সমাজ যেন ক্ষত বিক্ষত কাঁদে দিশেহারা।
বকুল ঝরে যায় শেফালি ঝরে যায় টগর ঝরে পরে ক্লান্ত অনাহারী।
শুধু রোষ আর উন্মুত্ততার আঘাতে দানবরা রক্ত চোষে আহত শরীর অঙ্গার।
জীবনের ভেতর বিদ্বেষ কাঁটাগুলো পরিতাপে জ্বলে পুড়ে নিষ্ঠুর জীবন ক্ষুব্ধ!
জাতির মগজ যেন অযত্নে ও আঁধারে আঁধারে নিরব ক্লান্ত চিত্ত বিষণ্ণ স্তব্ধ!
অক্ষম প্রতিবাদহীন নিরুপায় দিন তবু জীবনগুলো অতন্দ্র অনাগত পূর্বাভাস ধ্বনি বিপ্লব।
অশুভ লোকনিন্দা ধিক্কার ও বেদনার আঁধার ভেঙে উত্তরসূরীরা হতে চায় সুষম বণ্টন শান্তির গৌরব।
সেই থেকে আমরা বিপন্ন ক্ষুধার দহনে মানবতার ছবি আঁকি বেদনা বিষাদ।
অকাল বলিদান ও অশনি সংকেতে কাঁদে বিপন্ন আগামী প্রিয়তমার চাষাবাদ।
স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকরা আবার নিষ্ঠুর নির্মম মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় ভয়ংকর ষড়যন্ত্র।
জাতিকে আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করতে চায় নির্মম নির্দয় ঘাতকরা যত।
এমন সময় বঙ্গবন্ধু তোমাকে মনে পড়ে প্রেম ও ভালোবাসার মিছিলে বিদগ্ধ চেতনায়।
তুমি ফিরে এসো জাতির পিতা,বাংলার সুন্দর সমুদ্রকে বহমান করো পরিচ্ছন্ন জনতার বিজয়।
তোমার ন্যায়পরায়ণ অভিযান থেকে বৈচিত্র্যময় জ্ঞান হয়ে উঠুক নিপুণ আলোর পরিচয়।
তোমার প্রেম থেকে নতুন ভ্রুন অঙ্কুরিত হোক স্বচ্ছ আলোর জন্মভূমি স্বপ্নময়।
আমাদের ন্যায়পরায়ণ অধিকার যেন দূর্যোগ পাড়ি দিতে পারে অশনি দেয়াল ভেঙে বিজয়।
অশ্রু বিরহের যন্ত্রণাকে ফুলের সাথে আলিঙ্গন করাতে পারে আগামী ক্ষুধামুক্ত সুদিন বিনয়।
জীবন কর্মে জাতি যেন আশার সংসার গড়ে তুলতে পারে সুন্দর নিপুণ,
কিষাণ রূপে উষর জমিতে নতুন ফসল ফলাতে পারে উৎপাদন ভাণ্ডার নতুন।
অন্তরঙ্গ দহন পিপাসা বুকে আমরা দাঁড়িয়ে থাকি দৃঢ় দীপ্ত শুধু আলো খুঁজি চেতনার সূর্য।
জীবনের রিক্ত হাহাকার বুকে নিয়ে সময়ের দাবিতে জীবন হোক গতিশীল সমুদোয়।
মহা-জীবনের সাথে এক মহামিলনের জ্ঞান চৈতন্য প্রত্যাশার আকাঙ্ক্ষায়।
তুমি ফিরে এসো আর এই মাটির সানুদেশে চেতনা দাও নতুন আলোতে শস্য উদয়!
শ্রমজীবী আর কর্মজীবী শ্রমিকের শ্লোগানে তুমি রাখাল রাজা জীবন্ত মহা-সংগ্রামী।
সাহসী বীরের মতো বাঁশি বাজাও গ্রাম ও নগরের দিকে দিকে নতুন সংসার আগামী।
বাংলার মৃত্তিকা দৃঢ় দীপ্ত হোক তোমার নতুন সূর্যের সাম্য নীতি জীবন উদয়।
সজাগ প্রজ্ঞায় অবিচল চারাগাছগুলো বেড়ে উঠুক আবাদের খামারে বিজ্ঞ অভিজ্ঞতায়,
শিল্পের নগরে নগরে রৌদ্রময় উত্তাপ ধ্বনিত হোক পরিতৃপ্ত পণ্য আবিষ্কার।
মহৎ ভালোবাসায় জীবনের পরিশুদ্ধ দরজাগুলো খুলে যাক ধন্য ধন্য।
আত্মার পাখি অনুরাগে সুবাস ছড়াক মহৎ সভ্যতার দেশপ্রেমে অনন্যা।
তোমার সততার রাজ মুকুট জাতির চোখে উদ্ভাসিত হোক মাতৃভূমির প্রেম মমতায়।
কে বলে তুমি একা,কে বলে তুমি দলে,কে বলে তুমি নেই, জয় বাংলা বিশ্বময়।
তুমি সমগ্র বাংলাদেশের,তুমি সমগ্র স্বাধীনতার অখণ্ড ভূমির,
তুমি মহা-দেশপ্রেমিক,তুমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু অক্ষয় অমর।
তোমার অভিজ্ঞতার অমৃত প্রেম সুধায় জাতি জাগ্রত হোক প্রজ্ঞাময় সংস্কার।
তুমি স্বাধীনতার মহানায়ক,তুমি জাতির পিতা ষ,তুমি সভ্যতার আর্দশ পরিচয়।
তুমিই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, তুমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান দৃঢ় দীপ্ত জ্ঞানে উদয়।
তোমাকে মনে পড়ে শুধু তোমাকেই মনে পড়ে বাংলার মৃত্তিকায় অনাদি অক্ষয়।

 

এনামুল হক টগর
কবি ও সংগঠক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top