মা সন্তানের সংকটে যা করেন, নেত্রী তাই করেছেন: ওবায়দুল কাদের


প্রকাশিত:
১৬ মে ২০১৯ ০৭:০৫

আপডেট:
৫ মে ২০২৫ ১৪:২৮

মা সন্তানের সংকটে যা করেন, নেত্রী তাই করেছেন: ওবায়দুল কাদের

একজন মা সন্তানের সংকটে যা করেন, শেখ হাসিনা তাই করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 



বুধবার (১৫ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে ২ মাস ১১ দিন পর দেশে ফিরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

  

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনিশ্চিয়তার মধ্যে আমার জীবন ছিলো। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পরম করুণাময় আল্লাহ ও আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে এসেছেন। একজন মা যেমন সন্তানের সংকটে যা করেন তিনি তাই করেছেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা নেই। তিনি মমতাময়ী মা। তার কাছে ঋণের বোঝা আরও বেড়ে গেলো। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা আমার জন্য কোরআন শরীফ পড়ে দোয়া করেছেন। তাঁর প্রতিও কৃতজ্ঞ।’



তিনি বলেন, ‘আমার দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা দোয়া করেছেন। হাসপাতালে ছুটে গেছেন। আমি যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, তখন আমি আমার মধ্যে ছিলাম না। আমি জানতাম না, আমি শুনেছি। দেশবাসী ও প্রবাসীরা আমার জন্য দোয়া করেছেন।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি শুনেছি, আর অবাক হয়েছি। আমার চরম মূহুর্তগুলো অজানা ছিলো। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  আমাদের পার্টির বাইরেরও অন্যান্য দলের যারা আমাকে হাসপাতালে দেখতে এসেছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’



ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জীবনটাকে স্রোতের প্রতিকূলে সাতার কাটানো বঙ্গবন্ধু,  শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখেছি।’

তিনি বলেন,  ‘দেশের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। আমাদের নেত্রীর অনুরোধে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেবী শেঠি ছুটে এসেছেন, তাঁর প্রতি ও সিঙ্গাপুর হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’



এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টিম ওর্য়াক করে দলকে এগিয়ে যাবো।’ 



এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ,  তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কৃষি সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপুসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা। 



হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে গত ২ মার্চ সকালে ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে এনজিওগ্রামে তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে একটি ব্লক অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।



এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সেতুমন্ত্রীকে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরে। ওই রাতেই মেডিকেল বোর্ড গঠন করে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হয়। গত ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের। 



উল্লেখ্য, ৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ) ভুগছিলেন। 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top