বিক্ষোভে এখনো উত্তাল হংকং
প্রকাশিত:
১২ জুন ২০১৯ ০৫:৪৭
আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ২২:২৪

সন্দেহভাজন অপরাধীদের চীনে পাঠানোর সুযোগ রেখে প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এখনো উত্তাল হংকং। তবুও এ থেকে সরে না আসার অনড় সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন হংকং এর নেতা ক্যারি ল্যাম।
এ অপরাধী প্রত্যর্পণ আইনের বিরুদ্ধে হংকংয়ের রাজপথে লাখ লাখ মানুষ রোববার বিক্ষোভ করার পর সোমবার সকালেও বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে।
আইনটির ফলে চীন অঞ্চলটির রাজনৈতিক বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে বলে আশঙ্কা সমালোচকদের।
কিন্তু সোমবার হংকংয়ের নেতা ক্যারি ল্যাম এক সংবাদ সম্মেলনে জোর দিয়েই বলেছেন, এ আইনের প্রয়োজন আছে এবং এতে মানবাধিকারের রক্ষাকবচেরও কোনো নড়চড় হয়নি।
তাছাড়া, হংকং বিশেষ যে স্বাধীনতাগুলো পায় তার একটিও এ আইনের ফলে কোনোভাবেই ক্ষুন্ন হবে না বলেও ল্যাম দাবি করেন।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বা তাদের কোনো নির্দেশনায় তোলা হয়নি বরং ন্যায়পরায়নতা এবং হংকং এর প্রতি অঙ্গীকার থেকেই তা করা হয়েছে।
তবে জনগণের আশঙ্কা দূর করার চেষ্টায় ল্যাম এও বলেছেন যে, তার প্রশাসন প্রস্তাবিত বিলে আরো সংশোধনী আনছে। মানবাধিকারের সুরক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে এ সংশোধনী আনা হচ্ছে।
এসব সংশোধনীসহ বিলটি জুলাইয়ের আগেই পাস করতে চান ল্যাম। বুধবার বিলটি দ্বিতীয়বারের মত পড়ে দেখে বিতর্ক করা হবে বলেও জানান তিনি।
ল্যাম বিলটি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার এ অনড় অবস্থান জানানোর পর আরো বিক্ষোভের আশঙ্কায় সোমবার পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রেখেছে দাঙ্গা পুলিশ।
ওদিকে, হংকংয়ের রাজপথে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বুধবারও আরেকটি মিছিল বের করার পরিকল্পনা করেছে বিক্ষোভকারীরা।
হংকং ১৯৯৭ সাল থেকে চীনের অধীনে আসে। সাবেক এ ব্রিটিশ কলোনির জন্যই চীনকে ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ চালাতে হচ্ছে। আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ের শাসনপদ্ধতি চীনের মূল ভূখণ্ডের শাসনপদ্ধতির চেয়ে আলাদা।
গত দুই দশক ধরে চীন ধারাবাহিকভাবে এ ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর। এ নিয়ে বেশ কয়েকদফা আন্দোলনও করেছে তারা।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: