২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সকল আসামি খালাস
প্রকাশিত:
১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৯
আপডেট:
১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:০৯
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সকল আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। ১ ডিসেম্বর রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ২১ নভেম্বর একই বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ড রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিল। রোববার রায় ঘোষণার জন্য মামলা দুটি কার্যতালিকায় ছিল।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এই গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় (হত্যা ও বিস্ফোরক) মামলায় ২০০৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেয়।
ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপ-শিক্ষামন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও জরিমানা হয়।
রায়ের পর মামলার নথিপত্র ও রায়সহ হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড রেফারেন্স হিসেবে পাঠানো হয়।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, যেকোনো ফৌজদারি মামলায় ট্রায়াল কোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। এটাকেই মৃত্যুদণ্ড রেফারেন্স বলা হয়। এর পাশাপাশি আসামিদের জেল আপিল, রেগুলার আপিলসহ বিভিন্ন আবেদন করার সুযোগ থাকে।
সাধারণত মৃত্যুদণ্ড রেফারেন্স ও এসব আপিলের শুনানি একসঙ্গে হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ড রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি হাইকোর্টে শুরু হয় গত ৩১ অক্টোবর।
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।
অভিযোগ উঠেছিল, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ঘটনার তদন্ত নষ্ট করার নানা চেষ্টা করে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক) পুনঃতদন্ত শুরু করে।
২০০৮ সালে সিআইডি ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করতে জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছিল।
পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুনরায় তদন্ত করে তারেক রহমানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করা হয়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: