সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


ভ্রমণ উপযোগি অষ্ট্রেলিয়ার কিছু দর্শনীয় স্থান


প্রকাশিত:
৮ আগস্ট ২০১৯ ২২:৪২

আপডেট:
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৪১

ভ্রমণ উপযোগি অষ্ট্রেলিয়ার কিছু দর্শনীয় স্থান

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: মহাদেশের মূল ভূখণ্ড, তাসমানিয়া দ্বীপ ও অন্যান্য ছোট দ্বীপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দেশটি গঠিত। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড, নিউগিনি ও ইন্দোনেশিয়া। অস্ট্রেলিয়াতে এমন কিছু বিস্ময়কর স্থান আছে যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে একে আলাদা করেছে। তাই অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে এসব স্থানে যেতে অবশ্যই ভুলবেন না।



১। লর্ড হাও দ্বীপ



নির্জন, মনোমুগ্ধকর এবং আধা গ্রীষ্মমন্ডলীয় দ্বীপ এই লর্ড হাও দ্বীপ যা প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য স্বর্গ স্বরূপ। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাঝামাঝি অবস্থিত অর্ধচন্দ্রাকার ও আগ্নেয়গিরির অবশিষ্টাংশের এই দ্বীপটি তাসমানিয়া সাগরে অবস্থিত। এই দ্বীপের বেশির ভাগ স্থানই কার্যত অক্ষত বন, প্রচুর উদ্ভিদ ও প্রানী নিয়ে গঠিত। ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র এই দ্বীপের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক। মহাসাগরীয় আগ্নেয়শীলার বৈচিত্র, দক্ষিণের প্রবাল প্রাচীর, সামুদ্রিক পাখির বাসা এবং এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এই দ্বীপটিকে অনন্য করে তুলেছে।



২। আয়ারস পর্বত



এই পর্বতটি অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত। একে উলুরু ল্যান্ডমার্ক ও বলা হয়। এই পর্বতটি প্রস্রবণ, পাথুরে গুহা ও ঐতিহাসিক নিদর্শন দিয়ে চারপাশে ঘেরা যা এই একে বিস্ময়কর করে তুলেছে।



৩। টুয়েলভ অ্যাপসটেলস



টুয়েলভ অ্যাপসটেলস হচ্ছে চুনা পাথরের স্তূপ যা ক্রমান্বয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গঠিত হয়েছে। ভিক্টোরিয়ান উপকূলে অবস্থিত এই টুয়েলভ অ্যাপসটেলস। নাম টুয়েলভ অ্যাপসটেলস হলেও এখানে ৯টি চূড়া ছিলো। সাম্প্রতিক পতনের ফলে বর্তমানে ৮ টি চূড়া আছে। এদের ভিত্তি বছরে ২ সেন্টিমিটার করে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে।



৪। কাকাডু



কাকডু একটি সুন্দর পার্ক যা অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অংশে অবস্থিত এবং ডারউইন দ্বীপের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। সুন্দর ভূ-প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি সমৃদ্ধ বন্যপ্রাণী ও চমৎকার গাছপালা নিয়ে এটি গঠিত। জলপ্রপাতের সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করে। পরিবেশগত বিভিন্ন গবেষণার জন্য এই স্থানটিতে বিজ্ঞানী ও বাস্তুবিদেরা যান। এর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সৌন্দর্য উজ্জীবিত করে মানুষকে।



৫। ওলগাস



আয়ারস পর্বতের পশ্চিম দিকে ওলগাস অবস্থিত। এটি ৩৬টি গঠনের পাথুরে এলাকা এবং পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ শুষ্ক স্থান। এটি আয়ারস পর্বত থেকে ১২০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত সমতল মরুভূমি। দুঃসাহসিক কাজ করতে যারা ভালোবাসেন তারাই মূলত এই মরুভূমিতে যান প্রকৃতির শুষ্কতার সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য। এছাড়াও এখানে পর্বতের কিছু বিরল গঠন দেখা যায়।



এছাড়াও আউটব্যাক, সিডনি অপেরা হাউস, গ্রেট বেরিয়ার রিফ, এনা ক্রিক কেটেল স্টেশন, শার্ক বে, ডায়েন্ট্রি রেইন ফরেস্ট, দ্যা পিনাকলস ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত স্থান।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top