বাংলাদেশ সোসাইটি ফর পূজা অ্যান্ড কালচার-এর আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী ২০২৫ উদযাপিত হল সানন্দে


প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২৫ ১১:৫৫

আপডেট:
৫ জুন ২০২৫ ২১:৪৮

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে BSPC বাংলা স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করে।

ওয়েন্টওয়ার্থভিল, ১৭ মে ২০২৫ — বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর পূজা অ্যান্ড কালচার (BSPC) এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

সার্বিক সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মিতা দে, বাংলা স্কুলের প্রোগ্রাম পরিচালনা করেন শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, এবং সমগ্র আয়োজন তদারকি করেন BSPC-র জনসংযোগ সচিব পায়েল রায়। Wentworthville-এর রেডগাম ফাংশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাঙালি সম্প্রদায়ের বিপুল সমাগম হয়।


অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে BSPC বাংলা স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করে। এগুলো দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপন করেন বাংলা স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকারা — শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, লারিনা নুপূর রোজারিও, শ্রেয়সী দাস, প্রঞ্জা বর্ণিকা কর্মকার এবং প্রধান শিক্ষিকা পায়েল রায়। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা ছিল হৃদয়স্পর্শী এবং প্রাঞ্জল।



এরপর গীতি-আলেখ্য বিভাগে BSPC-র সদস্য এবং বাংলা স্কুলের অভিভাবকরা মিলে বাঙালি সংস্কৃতির নানা দিক উজ্জ্বল করেন। গানের সাথে আবৃত্তি এবং সংলাপ মিশ্রিত এই পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।

ঠিক এরপর মঞ্চস্থ হয় দুই নাট্য-রূপায়ণ: প্রথমে গীতি-নাট্য “চণ্ডালিকা”, পরিচালনায় শ্রেয়সী দাস ও প্রঞ্জা বর্ণিকা কর্মকার, যা মনোমুগ্ধকর আবেগের উদ্রেক ঘটায়; এবং পরবর্তীতে নাটক “শাস্তি”, নির্দেশনায় সৌমিক দাস, যেখানে সামাজিক বার্তা সহজসাধ্য নাট্যরূপে ফুটে ওঠে।

শ্রেয়সী দাস ও প্রঞ্জা বর্ণিকা কর্মকারের পরিচালনায় এবং সৌমিক দাসের নাট্য-রূপায়ণে পরিবেশিত নাটকের একটি দৃশ্য।



শ্রেয়সী দাস ও প্রঞ্জা বর্ণিকা কর্মকারের পরিচালনায় এবং সৌমিক দাসের নাট্য-রূপায়ণে পরিবেশিত নাটকের একটি দৃশ্য।

শ্রেয়সী দাস ও প্রঞ্জা বর্ণিকা কর্মকারের পরিচালনায় এবং সৌমিক দাসের নাট্য-রূপায়ণে পরিবেশিত নাটকের একটি দৃশ্য।

সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অতিথি শিল্পী অমিয়া মতিন তাঁর সুমিষ্ট কণ্ঠে ধারাবাহিক নজরুল গীতি পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।

নজরুল গীতি পরিবেশনা করছেন অমিয়া মতিন।

সাড়ে তিন ঘণ্টা স্থায়ী এই সমারোহের সমাপ্তি হয় BSPC সভাপতি অশোক রায় এবং সাধারণ সম্পাদক তপস কুমার দে-র বক্তব্যে। তারা শিল্পী, শিক্ষক, ছাত্র–ছাত্রী ও অভিভাবকসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সাফল্য নিশ্চিত করেন।

২০২৫ সালের রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী শুধুমাত্র তিন বরেণ্য কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনই নয়, বরং প্রবাসী বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও শিল্পায়নের উজ্জ্বল প্রকাশ বহন করে।

 

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top