ঈদে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা


প্রকাশিত:
১০ আগস্ট ২০১৯ ২২:২৯

আপডেট:
৩ মে ২০২৫ ১৫:০৪

ঈদে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: গত বছরের তুলনায় অন্তত ২৫ লাখ পিস চামড়া কম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা। যদিও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি। গত বছরের চেয়ে বেশি কোরবানি হবে বলেও ধারণা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। কোরবানির পশুর সংখ্যা বাড়লেও কেন চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি সংগঠনের নেতারা।



সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের এমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ফলে চামড়ার দাম নিয়ে এখনই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও বরাবরের মতোই সরকার এ বছরও কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।



প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ। এর মধ্যে অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে ধারণা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। অন্যদিকে, গত বছর ঈদে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ। এর মধ্যে ১ কোটি ৫ লাখের মতো পশু কোরবানি হয়েছিল।



কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর আমরা এক কোটি পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি। গত বছরের চেয়ে এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম।



বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম।বলেন, ‘দেশে চামড়ার বাজার উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলে এখান থেকে চামড়া কিনতে পারবেন। ব্যবসায়ীরা লক্ষ্যমাত্রা কম নির্ধারণ করলেও বাজারে এর প্রভাব তেমন পড়বে না।’



এদিকে, ট্যানারি মালিকেরা বলছেন, তারা গত বছর ৯৫ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন। এ বছর বন্যার কারণে এই সংখ্যা পাঁচ থেকে সাত লাখ কম হতে পারে।



বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, মূলত বন্যার কারণেই চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কম ধরা হয়েছে। আমরা মনে করছি, এবার কোরবানি কম হবে। এছাড়া আমাদের হাতে তেমন টাকা নেই। আন্তর্জাতিক বাজারেও চামড়ার দাম কমেছে। আমরা চামড়ার দাম কমাতে বলেছিলাম। গত বছরের মতো দাম অপরিবর্তিত রাখার প্রভাব বাজারে পড়বেই।



এদিকে, এ বছর চামড়ার দাম গতবছরের মতোই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে গত সাত বছরের চামড়ার দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। গেল কোরবানি ঈদে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন সব পক্ষ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top