বেঁচে আছেন সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, জানালেন মেয়ে
 প্রকাশিত: 
 ২১ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৪৯
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:৫৩
                                সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর মৃত্যুর খবর ছড়ালেও তিনি বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে। থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাহফুজউল্লাহর সঙ্গে থাকা তার মেয়ে নুসরাত হুমায়রা রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, বাবা বেঁচে আছেন। বাবার পাশেই আমি বসে আছি।
|আরো খবর
- পদ্মায় গোসল করতে নেমে তিন বোনের মৃত্যু
 - শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা: দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল
 - পতেঙ্গায় ‘কাঁকড়া’ খেয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু!
 
ব্যাংককের হাসপাতালটির চিকিৎসকরা মাহফুজউল্লাহকে বাঁচাতে চেষ্টা করছেন বলে জানান তার মেয়ে।
এর আগে বিকালে মাহফুজউল্লাহ মারা গেছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল।
তখন বিএনপি নেতা ও ড্যাবের সাবেক মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে মাহফুজউল্লাহর লাইফ সাপোর্ট খুলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এরপর মাহফুজউল্লাহর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে বিবৃতিও আসে দলটির পক্ষ থেকে।
তবে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের নেতা জাহিদ সন্ধ্যার পর বলেন, উনার লাইফ সাপোর্ট অফ করা হয়েছে, তবে হৃদস্পন্দন আছে। উনার মৃত্যুর ঘোষণা দেননি চিকিৎসকরা।
৬৯ বছর বয়সী মাহফুজউল্লাহ গত ২ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
স্কয়ারে কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১১ এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নিয়ে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে ব্যাংককে একবার তার বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল।
মাহফুজউল্লাহর জন্ম ১৯৫০ সালে নোয়াখালী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে ঊনসত্তরের ১১ দফা আন্দোলনে অংশ নেন। আইয়ুব খানের শাসনামলে তাকে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। তিনি পরে ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রাবস্থাতেই মাহফুজউল্লাহ সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বাংলাদেশের একসময়ের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রার ১৯৭২ সালে জন্মলগ্ন থেকেই তিনি জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি। পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতায় তার অবদান রয়েছে।
মাহফুজউল্লাহ মাঝে চীনে বিশেষজ্ঞ হিসেবে, কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন তিনি।
তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষকতায় যুক্ত। এছাড়া টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত দেখা যায় তাকে।
বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা মাহফুজউল্লাহর বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি।
বিষয়:

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: