সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


যাদুকাটা নদী পর্যটন সম্ভাবনার আরেক নাম


প্রকাশিত:
২২ জুন ২০১৯ ০৬:১১

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৯

যাদুকাটা নদী পর্যটন সম্ভাবনার আরেক নাম

বিপুল সম্ভাবনা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ডালা সাজিয়ে আছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিগন্তে অবস্থিত ভাটির জনপদ। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদী রূপের নদী, সম্পদের নদী, শ্রম ও সমৃদ্ধির নদী। সৌন্দর্যে ষোলো কলায় পরিপূর্ণ এক লীলাভূমি যাদুকাটা নদী।



দেশের এ প্রান্তিক জনপদে প্রকৃতি যেন অকৃপণ হাতে বিলিয়ে দিয়েছে অফুরন্ত সম্পদ, সম্ভাবনা আর অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য। নীল আকাশে সাদা মেঘের খেলা। কখনো জমাট আবার কখনো হালকা বাতাসে দলছুট হয়ে পাগলা ঘোড়ার মত উত্তরে দাঁড়ানো আকাশে ছোঁয়া বিশাল মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ছে। তারই দৃশ্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত বারেক টিলা সংলগ্ন যাদুকাটা নদীর প্রান্তে ফুটে ওঠে। তখন যে কেউ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।



সীমান্তবর্তী নদী যাদুকাটার যেন রূপের শেষ নেই। এই রূপে মুগ্ধ হচ্ছেন হাজার হাজার দর্শনার্থী ও পর্যটক। প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের মিলনমেলায় পরিণত হয় যাদুকাটা নদীর তীর। দিন যতই যাচ্ছে বাড়ছে যাদুকাটা নদীর প্রতি সৌন্দর্য পিপাসুর সংখ্যাও বাড়ছে। যাদুকাটা নদী থেকে বালু, পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন হাজার হাজার শ্রমিক।



ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে আসা ১৮টি পাহাড়ি ছড়ার মাধ্যমে বর্ষায় দেখা যায় চোখ জুড়ানো পাহাড়ি ঝরনা। পাহাড়ি নদীর সঙ্গে যুক্ত আছে শাহ আরেফিন আউলিয়ার আস্তানা, হিন্দু সম্প্রদায়ের পনতীর্থ ও সাতশ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন বারেক টিলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য। পাশেই আছে দেশের বৃহত্তর শিমুল বাগান। এক সঙ্গে একাধিক সৌন্দর্য দেখার মত স্থান। তাই এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশ থেকেও এসে ভিড় করছে শত শত পর্যটক। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড়ের বুক চিড়ে পাহাড়ি ঝরনার পানি মিলিত হয়েছে সীমান্ত নদী যাদুকাটায়।



 



২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ যাদুকাটা নদী উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী। এ নদীতে সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বছরের ১২ মাসই ২০ হাজারের বেশি পাথর শ্রমিক জীবিকার তাগিদে নদী থেকে বালু, পাথর, নুড়ি পাথর আহরণ করছে। আহরিত বালু, পাথর ও নুড়ি পাথর দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগায়। বর্ষায় পাহাড়ি নদী যাদুকাটার বুকে জলের স্রোতধারা আর হেমন্তে শুকিয়ে যাওয়ায় দেখা যায় ধু-ধু বালুচর।



ভারতের সারি সারি উঁচু-নিচু মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড় ও বারেক টিলার বুকে ঘন সবুজের সমারোহ পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ায়। তার মাঝে দিঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী গারো সম্প্রদায়ের আধো আধো বাংলা বলার চেষ্টা বেশ আনন্দ দেয় পর্যটকদের। তারা কখনো ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ডিঙ্গি নৌকা, কখনো তীর ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাদুকাটার সৌন্দর্য উপভোগ করে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top