সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়াল, আক্রান্ত ২৯ লাখ


প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৩৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪১

 

প্রভাত ফেরী: মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত করোনায় আক্রান্ত এবং এর সংক্রমণে কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। সর্বশেষ হিসাব বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ লাখ।

সবশেষ ১৮ এপ্রিল করোনায় মৃতের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়ায়। সেই হিসাবে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে প্রাণ গেছে আরও ৫০ হাজার মানুষের। আক্রান্ত ও মৃত্যুর উভয় দিক দিয়ে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। চীনে উৎপত্তি হলেও ইউরোপে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই মৃত্যু ও আক্রান্ত দ্রুতই বাড়তে থাকে।

এখন পর্যন্ত ২০১টি দেশ ও অঞ্চল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭২। মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজার ৭৫৫ জনের। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৩৭২ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে স্পেনে। সে দেশে ২ লাখ ২৩ হাজারের বেশি ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৯০২ জনের। তবে মৃতের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৮৪। আর আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৩৫১ জন।

ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৪ জন। মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে।

যুক্তরাজ্যেও করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৯ জন। যুক্তরাজ্যের চেয়ে জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও তুলনামূলক মৃত্যু অনেকটাই কম সেখানে। সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৩। আর মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮৭৭ জনের।

চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৬৩২। তবে এশিয়ায় ৫ হাজার ৬৫০ মৃত্যু নিয়ে চীনের উপরে রয়েছে ইরান। তুরস্কে মারা গেছে ২ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ। এদিকে আক্রান্তের দিক দিয়ে চীন ও ইরানের উপরে রয়েছে তুরস্ক। দেশটিতে এখন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার প্রায়।

এদিকে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, জাপান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনায় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। তবে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও তাইওয়ানের মতো দেশ ও অঞ্চলগুলোতে সংক্রমণ অনেক কম।


বিষয়: করোনা


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top