সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, আল কায়েদার নতুন ঘাঁটি ইরান


প্রকাশিত:
১৪ জানুয়ারী ২০২১ ০০:৪৭

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৫:০৬

 

প্রভাত ফেরী: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ইরান হচ্ছে আল কায়েদার নতুন ঘাঁটি। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ইরানের বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে তার এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।

পম্পেও এক বিবৃতি বলেন, আল কায়েদা তাদের নেতৃত্বের কেন্দ্র তেহরানে গড়ে তুলেছে এবং তাদের নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরির প্রতিনিধিরা বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ওবামা প্রশাসনের সময় থেকেই তেহরানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্কের ব্যাপকভাবে উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সে বছরই যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেনের সঙ্গে ইরানে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির ফলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার ইউরেনিয়ামের মজুদ সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল।

শিয়াভিত্তিক ইরান এবং সুন্নিভিত্তিক আল কায়েদা দীর্ঘদিন ধরেই শত্রু বলে গণ্য হয়ে আসছে। কিন্তু পম্পেওর কথায় তা উল্টে যাচ্ছে। তার দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে আল-কায়েদার সদস্যদের ইরানি অঞ্চল ব্যবহার করার খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু এর আগে এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংগঠন এবং কংগ্রেসের মধ্যে যথেষ্ঠ সংশয় ছিল।

ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে এক বিবৃতিতে পম্পেও বলেন, আল কায়েদা নতুন ঘাঁটি গেড়েছে। সেটা হলো ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান। আমি বলতে চাই ইরান এখন নতুন আফগানিস্তান অর্থাৎ আল-কায়েদার মূল ভৌগলিক কেন্দ্র। আর এটা আসলেই খুব খারাপ হচ্ছে। তবে আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরানের কিছু পার্থক্য আছে। আফগানিস্তানে আল-কায়েদা পাহাড়ে আত্মগোপন করেছিল। আর আজ ইরানে তারা দেশটির সরকারের কঠোর সুরক্ষায় অবস্থান করছে।

আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা জো বাইডেনকে হস্তান্তর করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন মাইক পম্পেওর জন্যও তার কার্যালয়ের শেষ দিন। কিন্তু ক্ষমতা শেষ হওয়ার আগে পম্পেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, এক টুইট বার্তায় পম্পেওর এ ধরনের অভিযোগকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top