সিডনী শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


আফগানিস্তান ছাড়ছেন সব মার্কিন সেনা


প্রকাশিত:
১৪ এপ্রিল ২০২১ ১৯:৪২

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ১২:৪০

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: ২০০১ সালের ১১ সেপ্টম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে হামলার ২০ বছর পূর্তির আগেই মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়তে যাচ্ছে। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার এমন ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন।

আগামী ৯/১১ অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বরের আগে সব মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়বে। বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

তবে গত বছর ট্রাম্প প্রশাসন এ বছরের মে মাসের মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র তা রক্ষা করতে পারছে না। বাইডেন আগেই বলেছিলেন, ১ মের আগে এটা অনেক কঠিন হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের কর্মকর্তারা বলেছেন, তালেবানও সহিংসতা কমানোর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি।

আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে সমঝোতা আলোচনার ধীরগতিতে আন্দাজ করা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের আগে সহসাই উভয় পক্ষের মাঝে সহসাই ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি হচ্ছে না।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য তালেবানকে ছাড় দিতেই হবে। তবে অনেকে মনে করছেন, বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের অপেক্ষায় রয়েছে তালেবান। এরপরই তারা তাদের শক্তিমত্তার বহিপ্রকাশ ঘটাবে। আফগান সরকার এখনও আফগানিস্তানের বহু এলাকায় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বিমান হামলার ওপর নির্ভরশীল।

এদিকে, মঙ্গলবার তালেবান জানিয়ে দিয়েছে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগে আফগান সরকারের সঙ্গে আর কোনো আলোচনায় বসবে না তারা। এ মাসের শেষের দিকে তুরস্কে সমঝোতা আলোচনায় বসার কথা রয়েছে দুই পক্ষের।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আজ বুধবার ন্যাটো জোটকে সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করবেন।

আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে স্থান না দেওয়াসহ বেশকিছু শর্ত দিয়ে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট জানায়, ১৪ মাসের মধ্যে দেশটি থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে। আলোচনা শুরুর শর্ত হিসেবে তাদের বন্দি সদস্যদের মুক্তির দাবি জানিয়েছিল তালেবান। পরে গত সেপ্টেম্বরে কাতারের দোহায় আলোচনা শুরু হলেও চূড়ান্ত কোনো অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

২০০১ সাল থেকে ২০ বছরের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। দুই দশকের এই দীর্ঘ যুদ্ধে দুই হাজারের বেশি মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top