সিডনী মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


সরকারের আপত্তি না থাকলে কলকাতায় প্রধান বিচারপতি হবেন শ্রীবাস্তব


প্রকাশিত:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০৪

আপডেট:
৭ মে ২০২৪ ১৯:৫২

 

প্রভাত ফেরী: কলকাতা হাই কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তবে এতে যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও আপত্তি না থাকে। তিনি এখন মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের দ্বিতীয় প্রবীণতম বিচারপতি। কলকাতার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে বদলির সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।
সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার নেতৃত্বে কলেজিয়াম মোট আট জন বিচারপতিকে বিভিন্ন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। আরও পাঁচ জন প্রধান বিচারপতি ও ২৮ জন বিচারপতিকে দেশের এক হাই কোর্ট থেকে অন্য হাই কোর্টে বদলির সুপারিশ করেছে।
বিচারপতি রাজেশ বিন্দল কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হওয়ার পর থেকেই একাধিক বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। শাসক শিবিরের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। নারদ মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তড়িঘড়ি এক পক্ষের বক্তব্য শুনে নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বিচারপতি বিন্দলের অপসারণ ও বদলি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছিলেন। হাই কোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিংহ তাঁর সতীর্থ বিচারপতিদের চিঠি লিখে আদালতের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তাৎপর্যপূর্ণ হল, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি বিন্দলকে ইলাহাবাদে বদলির পাশাপাশি বিচারপতি অরিন্দম সিংহকেও ওড়িশা হাই কোর্টে বদলির সুপারিশ করেছে। আইনজীবী শিবির মনে করিয়ে দিচ্ছে, সামনেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। এই সময় ইলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ রদের সময় বিচারপতি বিন্দল জম্মু-কাশ্মীর হাই কোর্টের শীর্ষ পদে ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের স্পর্শকাতর সময়ে তিনি কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
কেন্দ্রীয় সরকার কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে নিলে বিচারপতি শ্রীবাস্তব কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হবেন। তিনি দীর্ঘ দিন সুপ্রিম কোর্টে কর, সাংবিধানিক মামলায় ওকালতি করেছেন। ২০০৮-এ তিনি মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। তাঁকে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবেই নিয়োগ করার সুপারিশ করেছে কলেজিয়াম। আইনজীবীরা মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে কলেজিয়াম সমস্ত হাই কোর্টে স্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করে, শূন্যপদ পূরণ করে বিচারব্যবস্থাকে মজবুত করার চেষ্টা করছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টেও এক সঙ্গে ন’জন নতুন বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছিল কলেজিয়াম।

যে সব প্রধান বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ত্রিপুরার প্রধান বিচারপতি আকিল কুরেশিও রয়েছেন। তাঁকে রাজস্থানের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছে কলেজিয়াম। বিচারপতি কুরেশি গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি থাকার সময় সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় অমিত শাহকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কলেজিয়াম ২০১৯-এ তাঁকে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করলেও কেন্দ্র সেই ফাইল আটকে রেখে পরে তা ফেরত পাঠায়। কলেজিয়াম তাঁকে ত্রিপুরায় নিয়োগের সুপারিশ করে। গোটা দেশের হাই কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় প্রবীণতম হলেও তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top